
নোয়াখালীর জেলা শহর মাইজদীতে পরিবারের সদস্যদের আটকে রেখে এক গৃহবধূকে (১৮) ধর্ষণচেষ্টার অভিযোগে সুধারাম থানার পুলিশ দুজনকে গ্রেপ্তার করেছে। গতকাল রবিবার রাতে স্থানীয় বাসিন্দাদের সহযোগিতায় তাঁদের গ্রেপ্তার করা হয়।
গ্রেপ্তারকৃত দুজন হলেন জেলার সদর উপজেলার কাদিরহানিফ ইউনিয়নের দরবেশপুর গ্রামের ওলি উল্যার ছেলে মো. হানিফ (২৯) ও একই ইউনিয়নের বাহাদিপুর গ্রামের আবুল কাশেমের ছেলে মো. কামরুল (৪৫)।
ভুক্তভোগী গৃহবধূ জানান, গত শুক্রবার তাঁর স্বামী পারিবারিক বিষয়ে ঝগড়াঝাঁটির জেরে বাড়ি থেকে বের হয়ে মাইজদী চলে আসেন। তিনিও স্বামীকে অনুসরণ করে অন্য একটি গাড়িতে মাইজদীতে পৌঁছান। সকাল সাতটার দিকে পৌরবাজারের একটি দোকানের সামনে তাঁরা স্বামী-স্ত্রী তর্কে লিপ্ত হন। এ সময় হানিফসহ দুজন এসে তাঁর কাছে স্বামীর পরিচয় জানতে চান। একপর্যায়ে তাঁর স্বামীকে মারধর শুরু করেন।গৃহবধূর অভিযোগ, মারধরের পর তাঁদের পৌরবাজারের একটি পরিত্যক্ত ভবনের দ্বিতীয় তলায় নিয়ে যান হানিফ। হানিফের সঙ্গে ৪-৫ জন সহযোগীও এ সময় যুক্ত হন। তাঁকে ও তাঁর স্বামীকে পৃথক দুটি কক্ষে আটকে রাখা হয়। এর মধ্যে তাঁর স্বামীর ফোন পেয়ে ঘর থেকে তাঁর শাশুড়ি ও দেবর পরিত্যক্ত ভবনটিতে আসেন। সেখানে দ্বিতীয় তলার সিঁড়ির নিচের একটি কক্ষে তাঁর শাশুড়ি ও দেবরকেও আটকে রাখা হয়। একপর্যায়ে হানিফসহ কয়েকজন তাঁকে ধর্ষণের চেষ্টা করেন। গৃহবধূ বলেন, ‘তাঁরা আমার পরনের জামাকাপড় ছিঁড়ে ফেলে। আমি কোনো রকমে দোতলার ছাদ থেকে লাফ দিয়ে নিজেকে রক্ষা করি।
গৃহবধূর শাশুড়ি বলেন, তাঁর পুত্রবধূ লাফ দিয়ে নিচে পড়ে আহত হওয়ার পরও তাঁকে টেনেহিঁচড়ে আবার দোতলার কক্ষটিতে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করা হয়। এ সময় স্থানীয় বাসিন্দারা এগিয়ে এলে হানিফ ও তাঁর সহযোগীরা পালিয়ে গেছেন। পরে তাঁর পুত্রবধূকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
মাইজদী পৌর বাজার ব্যবসা পরিচালনা কমিটির সাধারণ সম্পাদক আবদুল করিম বলেন, এ ঘটনার পর গতকাল সন্ধ্যায় হানিফ ও কামরুলকে পৌর বাজারে দেখতে পান স্থানীয় লোকজন। এ সময় তাঁদের আটক করে পুলিশে খবর দেওয়া হয়। পরে পুলিশ তাঁদের গ্রেপ্তার করে।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে সুধারাম মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কামরুল ইসলাম বলেন, ধর্ষণচেষ্টার ঘটনায় ভুক্তভোগী নারীর স্বামী বাদী হয়েছে থানায় মামলা করেছেন। হানিফ ও কামরুলকে মামলাটিতে গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে।
সালাউদ্দিন/সাএ
সর্বশেষ খবর
জেলার খবর এর সর্বশেষ খবর