ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে নতুন রাজনৈতিক দলের নিবন্ধন দিতে ২২টি দলকে মাঠ পর্যায়ে তদন্তের জন্য পাঠিয়েছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। এক্ষেত্রে আগামী ৩১ আগস্টের মধ্যে প্রতিবেদন জমা দেওয়ার নির্দেশনা দিয়েছে সাংবিধানিক এ সংস্থাটি।
সোমবার (২৫ আগস্ট) ইসির সিনিয়র সহকারী সচিব মোহাম্মদ দেলোয়ার হোসেনের মাঠ পর্যায়ে পাঠানো এ সংক্রান্ত নির্দেশনা থেকে এসব তথ্য জানা যায়।
নির্দেশনায় বলা হয়েছে, জেলা পর্যায়ে সিনিয়র জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা, জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা বা অতিরিক্ত জেলা নির্বাচন কর্মকর্তারা দায়িত্ব পালন করবেন। তারা নির্ধারিত চেকলিস্ট পূরণ করে সকল কাগজপত্রে পৃষ্ঠানম্বর দিয়ে সিলগালা করে বিশেষ খামে আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তার কাছে পাঠাবেন। এরপর আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তারা রাজনৈতিক দলভিত্তিকভাবে খাম একত্রিত করে গোপনীয়ভাবে নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ে পাঠাবেন।
একইভাবে উপজেলা পর্যায়ে তদন্ত কার্যক্রম সম্পাদন করবেন সংশ্লিষ্ট উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তারা। তারাও চেকলিস্ট পূরণ করে কাগজপত্র সিলগালা করে জেলা পর্যায়ে পাঠাবেন। জেলা নির্বাচন কর্মকর্তারা উপজেলা থেকে পাওয়া খামগুলো রাজনৈতিক দলভিত্তিকভাবে একত্রিত করে বিশেষ খামে সিলগালা করে কমিশন সচিবালয়ে পাঠাবেন।
ইসি কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, মাঠ পর্যায় থেকে তদন্ত হয়ে আসলে কমিশন তা পর্যালোচনা করে নিবন্ধনের কার্যক্রম সম্পন্ন করবে।
যে ২২ দলের আবেদন মাঠ পর্যায়ে তদন্ত করছে ইসি:
প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী দলগুলো হলো-
১. ফরোয়ার্ড পার্টি: এই দলের মহাসচিব হিসেবে রয়েছেন মো. মাহবুবুল আলম চৌধুরী।
২. আমজনতার দল: কর্নেল মিয়া মসিউজ্জামান এই দলের সভাপতি।
৩. বাংলাদেশ গণতান্ত্রিক পার্টি (বিজিপি): চেয়ারম্যান এমএম শাহাদাত।
৪. বাংলাদেশ সংস্কারবাদী পার্টি (বিআরপি): জনাব মো. নুরুল হক ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন।
৫. বাংলাদেশ নেজামে ইসলাম পার্টি: মহাসচিব মুহাম্মদ মুসা বিন ইযহার।
৬. বাংলাদেশ সমাজতান্ত্রিক দল (মার্কসবাদী): এই দলের সমন্বয়ক মাসুদ রানা।
৭. মৌলিক বাংলা: সাধারণ সম্পাদক ফুয়াদ সাকী।
৮. বাংলাদেশ জাস্টিস অ্যান্ড ডেভোলপমেন্ট পার্টি: চেয়ারম্যান মো. দেলোয়ার হোসাইন।
৯. জাতীয় জনতা পার্টি: অ্যাডভোকেট মো. হুমায়ুন কবীর আকন এই দলের চেয়ারম্যান।
১০. জনতার দল: ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) মো. শামীম কামাল চেয়ারম্যান পদে রয়েছেন।
১১. জনতা পার্টি বাংলাদেশ: ভাইস চেয়ারম্যান হিসেবে আছেন এবিএম ওয়ালিউর রহমান খান।
১২. বাংলাদেশ আম জনগণ পার্টি: আহ্বায়ক মোহাম্মদ রফিকুল আমিন।
১৩. জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি): মো. নাহিদ ইসলাম এই দলের আহ্বায়ক।
১৪. বাংলাদেশ জাতীয় লীগ: চেয়ারম্যান মাহবুবুল আলম।
১৫. ভাসানী জনশক্তি পাটি: শেখ মো. রফিকুল ইসলাম এই দলের চেয়ারম্যান।
১৬. বাংলাদেশ বেকার মুক্তি পরিষদ: সভাপতি মো. আতিকুর রহমান (রাজা)।
১৭. বাংলাদেশ কমিউনিস্ট পার্টি (মার্কসবাদী)-সিপিবি (এম): সভাপতি আব্দুস সামাদ সুজন।
১৮. জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল (জাসদ-শাহজাহান সিরাজ): এই দলের সাধারণ সম্পাদক আব্দুল জলিল।
১৯. জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম ও নেজামে ইসলাম পার্টি: মহাসচিব মুফতি মোহাম্মদ আবদুল কাইয়ুম।
২০. বাংলাদেশ বেকার সমাজ (বাবেস): সভাপতি মোঃ হাসান।
২১. বাংলাদেশ সলুশন পার্টি: শামছুল হক এই দলের সভাপতি।
২২. নতুন বাংলাদেশ পার্টি: চেয়ারম্যান মেজর সিকদার আনিসুর রহমান (অব.)।
আইন অনুযায়ী, নিবন্ধন পেতে ইচ্ছুক দলের একটি কেন্দ্রীয় কমিটি, এক-তৃতীয়াংশ জেলা ও ১০০টি উপজেলা কমিটি এবং প্রতিটি কমিটিতে ২০০ ভোটারের সমর্থনের প্রমাণ থাকতে হয়। এছাড়াও কোনো দলের কেউ পূর্বে সংসদ সদস্য থাকলে বা পূর্বের নির্বাচনের পাঁচ শতাংশ ভোট পেলেও নিবন্ধন পাওয়ার যোগ্যতা হিসেবে ধরা হয়। এই প্রধান শর্তগুলো ছাড়াও বেশকিছু নিয়মকানুন মেনে আবেদন করতে হয়। প্রাথমিক বাছাইয়ে এসব নিয়মকানুনগুলোই সাধারণত খেয়াল করা হয়।
সর্বশেষ খবর
জেলার খবর এর সর্বশেষ খবর