
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) নির্বাচনে স্বতন্ত্র ভিপি (সহ-সভাপতি) পদপ্রার্থী মো. জুলিয়াস সিজার তালুকদারের প্রার্থিতা বাতিলের সুপারিশ করেছে অভিযোগ নিষ্পত্তি ট্রাইব্যুনাল। তবে এ সিদ্ধান্তকে একপাক্ষিক ও উদ্দেশ্যপ্রণোদিত দাবি করে চিফ রিটার্নিং কর্মকর্তার কাছে পাল্টা আবেদন জমা দিয়েছেন তিনি।
ট্রাইব্যুনালের সুপারিশে বলা হয়, জুলিয়াস সিজার ছাত্রলীগের সঙ্গে সম্পৃক্ত ছিলেন এবং সংগঠনের অপরাধ কর্মকাণ্ডে জড়িত ছিলেন। এই অভিযোগের ভিত্তিতেই তার প্রার্থিতা বাতিল ও ভোটার তালিকা থেকে নাম বাদ দেয়ার প্রস্তাব করা হয়।
এ বিষয়ে চিফ রিটার্নিং কর্মকর্তা অধ্যাপক ড. জসীম উদ্দিন বলেন, “এটি উচ্চতর কমিটির সিদ্ধান্ত। তাদের সুপারিশ কমিশনকে মানতে হবে। পূর্ণ কমিশন বসে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবে।”
অন্যদিকে, জুলিয়াস সিজার অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, “আমার বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ সম্পূর্ণ মিথ্যা, মনগড়া ও ভিত্তিহীন। আমাকে অবহিত করা হয়নি এবং আত্মপক্ষ সমর্থনের সুযোগও দেয়া হয়নি। এটি আইনের শাসন ও গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়াকে ব্যাহত করছে। এ ধরনের পদক্ষেপ ডাকসু ও হল সংসদ নির্বাচন ২০২৫-কে প্রশ্নবিদ্ধ করবে।”
তিনি জানান, ২০১৭ সালে তিনি ছাত্রলীগের পদে দায়িত্ব পালন করেছিলেন। তবে ২০১৯ সালে সলিমুল্লাহ মুসলিম হলে সম্মিলিত শিক্ষার্থী সংসদ প্যানেল থেকে জিএস নির্বাচিত হওয়ার পর ২০২০ সাল থেকেই ছাত্রলীগের সঙ্গে তার কোনো সম্পর্ক নেই। বরং তিনি ক্যাম্পাসে লেজুড়বৃত্তিক রাজনীতির বিরুদ্ধে সোচ্চার ছিলেন। এ কারণে বিভিন্ন সংগঠন তার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করছে বলে দাবি করেন তিনি।
জুলিয়াস সিজার আরও বলেন, ২০২০ সালে তিনি ‘ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় নিরাপত্তা মঞ্চ’ প্রতিষ্ঠা করেন, যার মাধ্যমে ৭০০-এর বেশি শিক্ষার্থীর জটিল সমস্যা সমাধান হয়েছে এবং প্রায় ১৮ হাজার শিক্ষার্থী বিভিন্ন উদ্যোগে উপকৃত হয়েছেন। বিশ্ববিদ্যালয় ও শিক্ষার্থীদের কল্যাণই তার একমাত্র লক্ষ্য ছিল।
তিনি দাবি করেন, সাধারণ শিক্ষার্থীদের ন্যায্য অধিকার আদায়ে তিনি সবসময় আন্দোলন করেছেন এবং সরকারের অন্যায়ের বিরোধিতা করেছেন। জুলাই আন্দোলনসহ বিভিন্ন ছাত্র আন্দোলনে তার নেতৃত্বাধীন প্ল্যাটফর্ম অগ্রণী ভূমিকা পালন করেছে।
জুলিয়াস সিজার আশা প্রকাশ করেন, প্রার্থিতা বাতিলের সুপারিশ আমলে নেয়া হবে না এবং তাকে ন্যায্য প্রতিদ্বন্দ্বিতার সুযোগ দেয়া হবে।
সর্বশেষ খবর
ক্যাম্পাস এর সর্বশেষ খবর