
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) নির্বাচনে প্রশাসনের নিরপেক্ষতা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে ইসলামী ছাত্র আন্দোলন সমর্থিত প্যানেল ‘সচেতন শিক্ষার্থী সংসদ’। তাদের অভিযোগ, নির্বাচনে সবার জন্য সমান সুযোগ নিশ্চিত হচ্ছে না এবং আচরণবিধি লঙ্ঘনের একাধিক ঘটনায়ও প্রশাসন পক্ষপাতমূলক আচরণ করছে।
মধুর ক্যান্টিনে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে প্যানেলের সাধারণ সম্পাদক (জিএস) পদপ্রার্থী খায়রুল আহসান মারজান এসব অভিযোগ তুলে ধরেন। তিনি বলেন, নির্বাচন বিধিমালা অনুযায়ী ২৬ তারিখের আগে কোনো ধরনের ব্যানার-ফেস্টুন লাগানো যাবে না। কিন্তু অনেক প্রার্থী নিয়ম ভেঙে নিয়মিত প্রচারণা চালাচ্ছেন। গতকালও আমরা দেখেছি উমামা ফাতেমা রোকেয়া হলে প্রচারণা করেছেন। বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন কি তাকে আগে থেকেই ভিপি নির্বাচিত ধরে নিয়েছে? যদি না হয় তবে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে না কেন?
মারজান আরও অভিযোগ করেন, ছাত্রদল সমর্থিত ভিপি প্রার্থী আবিদুল ইসলাম খান ও তার প্যানেলের সদস্যরা পাঠকক্ষে গিয়ে শিক্ষার্থীদের সঙ্গে কুশল বিনিময় করেছেন। সাধারণ সম্পাদক (জিএস) পদপ্রার্থী শেখ তানভীর বারী হামিমও মনোনয়ন জমা দেওয়ার সময় দলবল নিয়ে স্লোগান দিয়েছেন। একইভাবে ছাত্রশিবির সমর্থিত ‘ঐক্যবদ্ধ শিক্ষার্থী জোট’ প্রতিদিন বিভিন্ন স্থানে প্রচারণা চালাচ্ছে।
তিনি বলেন, নিষিদ্ধ ঘোষিত ছাত্রলীগের এক নেতা জুলিয়াস সিজারকে ভিপি পদে প্রার্থী হওয়ার সুযোগ দেওয়া হয়েছে। অথচ তার বিরুদ্ধে প্রশাসন কোনো পদক্ষেপ নেয়নি। এসব ঘটনায় প্রমাণ হয় যে নির্বাচনকে সুষ্ঠু ও সমান প্রতিযোগিতামূলক করতে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন ব্যর্থ হয়েছে এবং পক্ষপাতিত্ব করছে।
ভোটকেন্দ্রের স্বল্পতা নিয়েও উদ্বেগ প্রকাশ করেন মারজান। তিনি বলেন, প্রায় ৪০ হাজার শিক্ষার্থীর জন্য মাত্র ৮টি কেন্দ্র রাখা হয়েছে। যেখানে একজন ভোটারকে ৪২টি ভোট দিতে হবে। এতে ভোটগ্রহণ শেষ হতে দিন পেরিয়ে রাত হয়ে যাবে।
সংবাদ সম্মেলনে তিনি দ্রুত কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ করে সুষ্ঠু নির্বাচনের পরিবেশ নিশ্চিত করার আহ্বান জানান।
সর্বশেষ খবর
ক্যাম্পাস এর সর্বশেষ খবর