
যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (যবিপ্রবি) সরকারি চাকরিতে বিএসসি প্রকৌশলীদের প্রতি বৈষম্য নিরসন, ডিপ্লোমা টেকনিশিয়ানদের কোটার বিরুদ্ধে এবং তিন দফা দাবিতে ক্লাস-পরীক্ষা বর্জন ও বিক্ষোভ সমাবেশ করেছে যবিপ্রবির প্রকৌশল ও প্রযুক্তি অনুষদের শিক্ষার্থীরা।
বিক্ষোভ মিছিলটি স্যার জগদীশ চন্দ্র বসু অ্যাকাডেমিক ভবনের সামনে থেকে শুরু হয়ে যবিপ্রবির বিভিন্ন রাস্তা প্রদক্ষিণ করে শহীদ মিনারে এসে সংক্ষিপ্ত সমাবেশের মাধ্যমে শেষ হয়।
এ সময় উত্থাপিত দাবিগুলোর মধ্যে প্রথম হলো ৯ম গ্রেড (সহকারী প্রকৌশলী বা সমমান পদ) পদে প্রবেশের জন্য সবাইকে সমানভাবে নিয়োগ পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করতে হবে এবং ন্যূনতম শিক্ষাগত যোগ্যতা বিএসসি ইঞ্জিনিয়ারিং ডিগ্রি হতে হবে, কোনোভাবেই কোটার মাধ্যমে পদোন্নতি নয়, এমনকি অন্য নামে সমমান পদ তৈরি করেও পদোন্নতি দেওয়া যাবে না। দ্বিতীয় দাবি হলো ১০ম গ্রেড (উপসহকারী প্রকৌশলী বা সমমান পদ) ডিপ্লোমাদের জন্য বরাদ্দকৃত ১০০% কোটা বাতিল করতে হবে, এই পদে ন্যূনতম যোগ্যতা হবে ডিপ্লোমা ইন ইঞ্জিনিয়ারিং, তবে উচ্চতর যোগ্যতাসম্পন্ন বিএসসি বা এমএসসি ডিগ্রিধারীরাও আবেদন করতে পারবে। তৃতীয় দাবি হলো "ইঞ্জিনিয়ার" পদবীর ব্যবহার শুধুমাত্র বিএসসি ইঞ্জিনিয়ারিং ডিগ্রিধারী প্রকৌশলীরাই নামের পাশে "ইঞ্জিনিয়ার" পদবী ব্যবহার করতে পারবেন, অন্য কেউ এই পদবী ব্যবহার করলে তার বিরুদ্ধে কঠোর আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে।
বিক্ষোভ মিছিলে শিক্ষার্থীরা "আমার সোনার বাংলায় বৈষম্যের ঠাই নাই", "২৪ এর হাতিয়ার গর্জে উঠুক আরেকবার", "এই মুহূর্তে দরকার কোটা প্রথার সংস্কার", "কোটার নামে অবিচার, চলবে না চলবে না" ইত্যাদি স্লোগান দিতে থাকে।
সমাবেশে শিক্ষার্থীরা বলেন, প্রকৌশলীদের সরকারি চাকরিতে যে বৈষম্যমূলক কোটাব্যবস্থা রয়েছে তার বিরুদ্ধে সারা বাংলাদেশের সকল প্রকৌশলী ও প্রকৌশল শিক্ষার্থীদের যে আন্দোলন চলছে তারই ধারাবাহিকতায় যবিপ্রবির প্রকৌশলী শিক্ষার্থীরাও আজ রাস্তায় নেমে এসেছে। প্রকৌশল খাতে ২০১৩ সালে যে ১০ম গ্রেড সৃষ্টি করা হয় সেখানে ১০০% ডিপ্লোমাদের জন্য কোটা রয়েছে যেখানে বিএসসি প্রকৌশলীদের প্রতি বৈষম্য করা হচ্ছে এবং আমাদের এই ৯ম গ্রেডেও প্রমোশনের মাধ্যমে ৩৩% কোটা তারা দখল করে নিচ্ছে এতে আমাদের প্রকৌশলীদের অধিকার ক্ষুণ্ণ হচ্ছে।
শিক্ষার্থীরা আরও বলেন, আমরা কোনো কোটা চাই না। আমরা এখান থেকে সরকারকে হুঁশিয়ারি দিতে চাই তারা যেন আমাদের ১০ম গ্রেডের জায়গাটা রয়েছে সেটা সংস্কার করে আমাদেরকে পরীক্ষা দেওয়ার যথাযথ সুযোগ দেয় এবং প্রকৌশলীদের সঙ্গে এত বছর ধরে যে বৈষম্য হচ্ছে দ্রুত এই বৈষম্যের একটি যৌক্তিক অবসান করে ন্যায্য অধিকার দিতে হবে। এছাড়াও এই অন্তর্বর্তীকালীন সরকার যেন কোটা নয় বরং মেধা ও যোগ্যতার ভিত্তিতে সুষ্ঠু পরীক্ষার মাধ্যমে নিয়োগ দেওয়া হয় এই আহ্বান জানাই।
সর্বশেষ খবর