
ময়মনসিংহের ঈশ্বরগঞ্জে একটি সেতু ভেঙে মাটি ভরাটের অভিযোগে বিএনপি নেতা শেখ এমদাদুল হক মিলনকে ১৫ হাজার টাকা জরিমানা করেছে ভ্রাম্যমাণ আদালত। মঙ্গলবার বিকেল ৩টায় এলাকাবাসীর একটি লিখিত অভিযোগের ভিত্তিতে উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট সানজিদা রহমান উপজেলার মগটুলা ইউনিয়নের নাউরী গ্রামের ইকরিয়া কান্দা নামক স্থানে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করেন।
এলজিইডির একটি সড়কে থাকা প্রায় ৫০ বছর পূর্বের একটি ছোট সেতুর একাংশ ভেঙে ফেলার জন্য উপজেলা বিএনপির সদস্য শেখ এমদাদুল হক মিলনকে স্থানীয় সরকার (ইউনিয়ন পরিষদ) আইনে এ জরিমানা করা হয়। গত সোমবার দুপুরে সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, উপজেলার মগটুলা ইউনিয়নের নাউরী গ্রামের ইকরিয়া কান্দা নামক স্থানে এলজিইডির একটি সড়কে থাকা প্রায় ৫০ বছর পূর্বের একটি সেতুর একাংশ ভেঙে মাটি ভরাটের কাজ করছেন উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক কমিটির সদস্য শেখ ইমদাদুল হক মিলন।
এলাকাবাসী জানান, সেতুটি দিয়ে আশপাশের কয়েকটি গ্রামের প্রায় হাজার খানেক কৃষকের কয়েকশ একর জমির পানি নিষ্কাশন হয়। সেতুটিতে পানি নিষ্কাশন বন্ধ হলে জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হয়ে কয়েকশ একর ফসলসহ নাউরী, ইকরিয়া কান্দা, নয়াপাড়াসহ আশপাশের বেশ ক’টি গ্রাম পানির নিচে তলিয়ে যাবে। নাউরী গ্রামের কৃষক শাহজাহান মন্ডল বলেন, ব্রিটিশ আমল থেকে এই সেতু দিয়ে আশপাশের কয়েকটি গ্রামের পানি নিষ্কাশন চলমান রয়েছে। হঠাৎ করে সেতুর সামনের জমিতে বিএনপি নেতা শেখ ইমদাদুল হক মিলন মাটি ভরাটের চেষ্টা করেন।
এলাকাবাসী বাধা দিলেও তিনি কারো কথা শোনেননি। সোমবার সকাল থেকে তার লোকজন মাটি ভরাট ও সেতু ভাঙা শুরু করে। পরে বিষয়টি উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও থানা পুলিশকে অবগত করলে পুলিশ এসে মাটি ভরাট ও সেতু ভাঙার কাজ স্থগিত করে।
শেখ ইমদাদুল হক মিলন বলেন, জমিটি মাসেক খানিক আগে ক্রয় করেছি। বাড়ি নির্মাণ করতে সেখানে মাটি ভরাটের কাজ চলছে। সেতু ভাঙার বিষয়ে তিনি বলেন, আমি এলজিইডি অফিসের অনুমতি নিয়েছি। এলজিইডি অফিস সবই অবগত। উপজেলা প্রকৌশলী মো. মোজ্জাম্মেল হোসেন বলেন, আমি সেতু ভাঙার বিষয়টি শুনে সেখানে অফিসের সিইও নাঈম সাহেবকে পাঠিয়েছি। ব্যক্তিগত মালিকানাধীন জায়গায় মাটি ভরাটের বিষয়ে আমি তো তাকে কিছু বলতে পারি না। তবে তাকে আমি পানি নিষ্কাশন প্রবাহ ঠিক রেখে কাজ করতে বলেছি, সেতু ভাঙার কথা বলিনি।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট সানজিদা রহমান বলেন, একটি লিখিত অভিযোগের ভিত্তিতে ঘটনাস্থলে গিয়ে অভিযোগের সত্যতা মেলে। পরে ভাঙা অংশটি পুনরায় মেরামত করতে নির্দেশ দেওয়া হয় এবং স্থানীয় সরকার (ইউনিয়ন পরিষদ) আইনে ১৫ হাজার টাকা অর্থদণ্ড প্রদান ও আদায় করা হয়।
সালাউদ্দিন/সাএ
সর্বশেষ খবর
জেলার খবর এর সর্বশেষ খবর