• ঢাকা
  • ঢাকা, মঙ্গলবার, ২৬ আগস্ট, ২০২৫
  • শেষ আপডেট ১৮ সেকেন্ড পূর্বে
দেওয়ান নাঈম
হালুয়াঘাট (ময়মনসিংহ) প্রতিনিধি।
প্রকাশিত : ২৬ আগস্ট, ২০২৫, ০৯:২২ রাত

স্বামীকে থানায় খাবার দিতে গিয়ে গ্রেফতার হলেন স্ত্রী

ছবি: প্রতিনিধি, বিডি২৪লাইভ

ময়মনসিংহের হালুয়াঘাটে একটি সিআর মামলায় বাদি-বিবাদীর হাতাহাতি থামাতে গিয়ে সোমবার থানার এক উপ-পরিদর্শক (এসআই) শহিদুল আঘাতপ্রাপ্ত হন। এ ঘটনায় বিবাদীকে গ্রেফতার করে সোমবার সন্ধ্যায় থানায় নিয়ে আসা হয়। মঙ্গলবার সকালে গ্রেফতার স্বামীর জন্য খাবার নিয়ে গেলে তার স্ত্রীকেও গ্রেফতার করে থানা পুলিশ। এ নিয়ে এলাকায় ব্যাপক ক্ষোভ ও চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে।

প্রত্যক্ষদর্শী ও ঘটনাসূত্রে জানা যায়, জমি সংক্রান্ত বিষয়ে উপজেলার ধারা ইউনিয়নের কলনীপাড়া এলাকার শরীফা খাতুন বাদী হয়ে আদালতে একটি মামলা দায়ের করেন। গত সোমবার সন্ধ্যায় বাদী শরীফা খাতুনকে নিয়ে তদন্তকারী কর্মকর্তা উপ-পরিদর্শক (এসআই) শহিদুল ইসলাম বিবাদীর বাড়িতে যান। এ সময় দু’পক্ষই পুলিশের সামনে হাতাহাতিতে জড়িয়ে পড়েন। ঝগড়া থামাতে গিয়ে এসআই শহিদুল ইসলামের চোখের কোণে অসাবধানতাবশত সামান্য আঘাত লাগে। এতে তিনি ক্ষিপ্ত হয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হাফিজুল ইসলাম হারুনকে অবগত করেন। পরে উপ-পরিদর্শক (এসআই) শুভ্র সাহা ও সঙ্গীয় ফোর্স নিয়ে ঘটনাস্থল থেকে সিআর মামলার বিবাদী আব্দুর রশিদ (৫৫) কে আটক করে থানায় নিয়ে আসে।

তবে প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, আব্দুর রশিদকে আটকের পর শারীরিক নির্যাতন করেন এসআই শুভ্র সাহা। কিন্তু শুভ্র সাহাকে এ বিষয়ে প্রশ্ন করলে তিনি শারীরিক নির্যাতনের কথা অস্বীকার করেন। মঙ্গলবার সকালে গ্রেফতার আব্দুর রশিদের স্ত্রী জাহানারা বেগম থানায় তার স্বামীর জন্য খাবার নিয়ে গেলে তাকেও গ্রেফতার করে পুলিশ। পরে বিকেলে স্বামী-স্ত্রী দু’জনকেই আদালতে প্রেরণ করা হয়।

প্রত্যক্ষদর্শী দেলায়ার হোসেন বলেন, শরীফা একজন অসাধু মাদক ব্যবসায়ী। এই নারীকে নিয়ে এলাকাবাসী বিপাকে। গত সোমবার এক মামলায় পুলিশ তদন্তে এলে কথাকাটাকাটির এক পর্যায়ে বাদী শরীফা আব্দুর রশিদকে চড়-থাপ্পড় ও লাথি মারেন। এ সময় ক্ষিপ্ত হয়ে রশিদ শরীফার দিকে তেড়ে গেলে এসআই শহিদুল সামান্য আঘাতপ্রাপ্ত হন। এ ঘটনায় তাৎক্ষণিক ক্ষমা চেয়ে বিষয়টি সমাধান করা হয়। পরে আবার তাকে কেন গ্রেফতার করা হলো এ ব্যাপারে আমার জানা নেই।

এ বিষয়ে জানতে উপ-পরিদর্শক (এসআই) শহিদুল ইসলামের ব্যক্তিগত মুঠোফোনে একাধিকবার যোগাযোগ করেও তাকে পাওয়া যায়নি।

এ বিষয়ে জানতে হালুয়াঘাট থানায় গেলে ওসি হাফিজুর ইসলাম হারুনকে পাওয়া যায়নি। পরে তার সরকারি নম্বরে ফোন দিলে তিনি বলেন, দু’জনকে গ্রেফতার করে আদালতে পাঠানো হয়েছে। আদালতে না পৌঁছানো পর্যন্ত মামলার বিষয়ে কোনো তথ্য দেওয়া যাবে না।

সালাউদ্দিন/সাএ

বিডি২৪লাইভ ডট কম’র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
পাঠকের মন্তব্য:

BD24LIVE.COM
bd24live.com is not only a online news portal. We are a family and work together for giving the better news around the world. We are here to give a nice and colorful media for Bangladesh and for the world. We are always going fast and get the live news from every each corner of the country. What ever the news we reached there and with our correspondents go there who are worked for bd24live.com.
BD24Live.com © ২০২০ | নিবন্ধন নং- ৩২
Developed by | EMPERORSOFT
এডিটর ইন চিফ: আমিরুল ইসলাম আসাদ
বাড়ি#৩৫/১০, রোড#১১, শেখেরটেক, ঢাকা ১২০৭
ই-মেইলঃ [email protected]
ফোনঃ (০২) ৫৮১৫৭৭৪৪
নিউজ রুমঃ ০৯৬০৩২০২৪৩৪
মফস্বল ডেস্কঃ ০১৫৫২৫৯২৫০২
বার্তা প্রধানঃ ০৯৬০৩১৫৭৭৪৪
ইমেইলঃ [email protected]