
বখাটে কিশোরদের বেপরোয়া হোন্ডাড্রাইভের কারনে অনিরাপদ সড়কে পরিণত হয়েছে চাটমোহর উপজেলার রাস্তা ঘাট। কোন রকম আইনকানুনের তোয়াক্কা না করে দিনে রাতে দাপিয়ে বেড়াচ্ছে তারা। শুধু বেপরোয়া গতিতেই সীমাবদ্ধ না থেকে এখন তারা হোন্ডার সাইলেন্সে তীব্র শব্দ বিশিষ্ট এ´হস্ট মেশিন ব্যবহার করে পথচারী মানুষদের অতিষ্ঠ করে তুলেছে। দীর্ঘ দিন যাবৎ এমন ঘটনা চলে আসলেও প্রশাসন এদের বিরুদ্ধে কোন ব্যবস্থা গ্রহণ করছে না।
অনুসন্ধানে দেখা গেছে, বেশ কিছুদিন যাবৎ চাটমোহর উপজেলার পৌর শহর সহ বিভিন্ন বাজার এলাকায় কিছু বখাটে যুবক দলবদ্ধ ভাবে আঞ্চলিক সড়ক ও মহাসড়কে বেপরোয়া মোটরসাইকেল চালিয়ে দাপিয়ে বেড়াচ্ছে। তাদের মোটরসাইকেলে ২/৩ জন কিশোর প্রায়ই দেখা যায়। তাদের নেই কোন ড্রাইভিং লাইসেন্স, মাথায় নেই হেলমেট, এমন কি তাদের চালানোর গাড়িটিরও নেই কোন ফিটনেস। পথচারীরা রাস্তায় হেঁটে যাওয়ার মূহুর্তে তাদের ভয়ে থাকে আতংকিত। এছাড়াও তাদের মোটরসাইকেলের সাইলাইন্সার খুলে তীব্র শব্দ হওয়ার জন্য এক্সহস্ট লাগিয়ে রাখে। এতে করে শব্দ দূষণের ফলে শিশু ও বৃদ্ধ শ্রেণির মানুষ বেশি মানসিক ভাবে ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছেন। এদের দ্বারা মাঝে মধ্যেই ঘটছে মারাত্বক দুর্ঘটনা। ফলে অনেকেই অকালে মৃত্যুকে বরণ করছে, আবার অনেকে বরন করছে সারা জীবনের পঙ্গুত্ব। আবার অনেক পথচারীর প্রাণ চলে যাচ্ছে এক নিমিষে।
এসব বিষয়ে জানতে চাইলে চাটমোহরের সঙ্গীত ব্যক্তিত্ব ও সাংবাদিক দেওয়ান জামিউল ইসলাম কাবলী জানান, চাটমোহর পৌর শহরের অলি গলি সহ প্রত্যন্ত গ্রাম গঞ্জে উঠতি বয়সী ছেলেদের বেপরোয়া মোটরসাইকেল ড্রাইভ এখন ওপেন সিক্রেট হয়ে দাঁড়িয়েছে।
এগুলোর বিরুদ্ধে প্রশাসনের নজরদারি না থাকায় এদের দৌরাত্ম্য দিন দিন বেড়েই চলেছে। আর বিশেষ করে এসকল উঠতি বয়সী কিশোর যুবকদের চলা ফেরার বিষয়ে তাদের অভিভাবকদের সচেতন হওয়া বেশি জরুরি। নতুবা তাদের আদরের সন্তানের জন্য একদিন তাদেরকেই চোখের পানি ফেলতে হতে পারে।
চাটমোহর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ওসি মনজুরুল আলম জানান, এই বিষয়টি নিয়ে অনেকেই আমাদের মৌখিক ভাবে অভিযোগ দিয়েছেন। খুব শীঘ্রই থানা পুলিশের পক্ষ থেকে এদের বিরুদ্ধে অভিযান পরিচালিত হবে।
সালাউদ্দিন/সাএ
সর্বশেষ খবর
জেলার খবর এর সর্বশেষ খবর