
হবিগঞ্জের সবচেয়ে বড় বালুমহাল কুশিয়ারা নদীর স্বচ্ছ সাদা বালি অবৈধভাবে উত্তোলন করা হচ্ছে। গতকাল কয়েকটি পত্রিকায় এ সংক্রান্ত সংবাদ প্রকাশের পর নবীগঞ্জ উপজেলা প্রশাসনের টনক নড়ে। গতকাল বুধবার দুপুর ২টা থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত নবীগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ রুহুল আমীনের নেতৃত্বে অভিযান পরিচালনা করা হয়। এ সময় অবৈধ বালু ব্যবসায়ীরা সটকে পড়েন। তবে প্রশাসনের লোকজন ১৫ হাজার ঘনফুট বালুসহ দুটি নৌকা আটক করেন।
সরকার পরিবর্তনের পর থেকে কুশিয়ারার চরগুলো থেকে নামে-বেনামে সাদা বালু উত্তোলন করা হচ্ছে। কমপক্ষে ১০ থেকে ১৫টি স্থানে প্রতিদিন কয়েক লক্ষ ঘনফুট বালু তোলা হয়, যার বেশিরভাগ ব্যবহৃত হচ্ছে ঢাকা-সিলেট ছয় লেনের নির্মাণ কাজে। অবৈধভাবে বালু উত্তোলনের ফলে সরকার কোটি কোটি টাকার রাজস্ব হারাচ্ছে এবং কুশিয়ারা তীরের চরগুলো বালুশূন্য হয়ে পড়ছে।
এই খবর পেয়ে গতকাল নবীগঞ্জ উপজেলার দীঘলবাগ এবং ইনাতগঞ্জ ইউনিয়নের কুশিয়ারা নদী এলাকায় অবৈধভাবে বালু উত্তোলনকারীদের বিরুদ্ধে প্রায় তিন ঘণ্টাব্যাপী মোবাইল কোর্ট অভিযান পরিচালনা করা হয়। এ সময় ঘটনাস্থলে কাউকে পাওয়া যায়নি। অভিযানে প্রায় ১৫ হাজার ঘনফুট বালু জব্দ করা হয়। একই সাথে হ্যান্ড মাইকে নদী থেকে অবৈধভাবে বালু উত্তোলন না করার বিষয়ে সতর্ক করা হয়। উপজেলা প্রশাসন জানিয়েছে, অবৈধভাবে বালু উত্তোলনকারীদের বিরুদ্ধে এই অভিযান অব্যাহত থাকবে।
নবীগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ রুহুল আমীন বলেন, সংবাদমাধ্যমে কুশিয়ারা নদী থেকে অবৈধ বালু উত্তোলনের খবর পেয়ে আমরা তিন ঘণ্টাব্যাপী অভিযান চালিয়ে ১৫ হাজার ঘনফুট বালু জব্দ করি। উত্তোলনকারী নৌকাগুলো পালিয়ে যায়। অবৈধভাবে বালু উত্তোলনকারীদের বিরুদ্ধে এই অভিযান অব্যাহত থাকবে।
সালাউদ্দিন/সাএ
সর্বশেষ খবর
জেলার খবর এর সর্বশেষ খবর