
কুমিল্লায় আধিপত্য বিস্তারের জেরে মহরম আলী (৩৫) নামের এক যুবককে কুপিয়ে হত্যা করেছে দুর্বৃত্তরা। শনিবার (৩০ আগস্ট) রাত ৮টার দিকে নগরীর কাটাবিল এলাকায় এ হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটে।
মহরম আলী নগরীর দ্বিতীয় মুরাদপুর এলাকার মৃত চারু মিয়ার ছেলে। তিনি স্ত্রী-সন্তান নিয়ে কাটাবিল এলাকায় শ্বশুরবাড়ির পাশে ভাড়া বাসায় থাকতেন। তিনি পেশায় অটোচালক ছিলেন। পায়েল ও পিয়াল নামে তার দুই সন্তান রয়েছে। তার স্ত্রী অন্তঃসত্ত্বা। মহরমের বিরুদ্ধে হত্যা, চাঁদাবাজি, মাদক ও ছিনতাইসহ বিভিন্ন অপরাধে থানায় ১৮টিরও বেশি মামলা রয়েছে। কুমিল্লা কোতোয়ালি মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মহিনুল ইসলাম রোববার সকালে তথ্যটি নিশ্চিত করেছেন।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, মোটরসাইকেলে করে মহরম নগরীর পাথুরিয়াপাড়ার দিকে যাচ্ছিলেন। কাটাবিল এলাকায় পৌঁছালে পূর্ব থেকে ওঁতপেতে থাকা ১৫ থেকে ২০ জনের একদল দুর্বৃত্ত তাকে অতর্কিত কোপ দেয়। এতে তিনি ছিটকে পড়েন। স্থানীয় অপু নামে এক ব্যক্তি জানান, মহরম মোটরসাইকেল চালাচ্ছিলেন। এ সময় দুর্বৃত্তরা তাকে কোপ দিলে তিনি ছিটকে পড়েন। পরে অপুকে জিম্মি করে দুর্বৃত্তরা। প্রাণভয়ে মহরম পাশের একটি দোকানে আশ্রয় নিলে দুর্বৃত্তরা সেখানে তাকে উপর্যুপরি কোপায়। গুরুতর আহত অবস্থায় মহরমকে কুমিল্লা মেডিক্যাল কলেজ (কুমেক) হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
মহরমের স্ত্রী শারমিন আক্তার কুমেক হাসপাতালে কান্নাজড়িত কণ্ঠে বলেন, ১৫ দিন আগে একটি মারামারির ঘটনা ঘটে। এ নিয়ে তাদের মধ্যে দ্বন্দ্ব চলছিল। তারা কেন আমার স্বামীকে হত্যা করল—আমি জানি না। আমার এক ছেলে ও এক মেয়ে আছে। আমি এখন অন্তঃসত্ত্বা। আমি এখন সন্তানদের নিয়ে কোথায় দাঁড়াব। তারা আমার সন্তানদের এতিম করল কেন! যারা আমার স্বামীকে হত্যা করেছে, আমি তাদের ফাঁসি চাই।
কোতোয়ালি মডেল থানার ওসি মহিনুল ইসলাম জানান, খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। মহরমের মরদেহ উদ্ধার করে কুমেক হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনায় অভিযুক্তদের ধরতে অভিযান চলছে। এলাকায় আধিপত্য বিস্তারের জেরে এ হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটতে পারে বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে। মামলা প্রক্রিয়াধীন।
সর্বশেষ খবর