
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) ও হল সংসদগুলোতে নির্বাচন আগামী ৩০ অক্টোবর পর্যন্ত স্থগিত করেছেন হাইকোর্ট। পাশাপাশি কোন প্রক্রিয়ায় ডাকসু নির্বাচনের প্রার্থী মনোনয়ন, বাছাই ও চূড়ান্ত করা হচ্ছে এবং ভোটের প্রস্তুতির প্রক্রিয়া কী— সেইসব বিষয়েও জানতে চেয়েছেন আদালত।
এক রিট আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে সোমবার (১ সেপ্টেম্বর) হাইকোর্টের বিচারপতি হাবিবুল গণি ও বিচারপতি এস কে তাহসিন আলীর সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ এ আদেশ দেন। আদালতে রিটের পক্ষে শুনানি করেন ব্যারিস্টার জ্যোতির্ময় বড়ুয়া।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী মোহাম্মদ শিশির মনির। রিট আবেদনকারী জিএস প্রার্থীর শিবির প্যানেলের সব ধরনের প্রমাণসহ নির্বাচনী ট্রাইব্যুনালে অভিযোগ করতে বলা হয়েছে। অভিযোগ গ্রহণ করে সব পক্ষের শুনানি নিয়ে আগামী ২১ অক্টোবরের মধ্যে প্রতিবেদন দিতে নির্দেশ দেন আদালত।
ঘোষিত তফসিল অনুযায়ী, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদের (ডাকসু) কেন্দ্রীয় কমিটি ও হল সংসদগুলোর নির্বাচন আগমী ৯ সেপ্টেম্বর অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা ছিল।
রিটের আবেদনে বলা হয়, এস এম ফরহাদ আগে ছাত্রলীগের কমিটিতে ছিলেন। এর পরও তিনি কিভাবে ইসলামী ছাত্রশিবিরের প্যানেলে প্রার্থী হলেন—এমন প্রশ্ন তুলে তাঁর প্রার্থিতা চ্যালেঞ্জ করা হয়েছে।
সম্প্রতি ডাকসু নির্বাচনে ছাত্রশিবির সমর্থিত প্যানেলের সাধারণ সম্পাদক পদপ্রার্থী এস এম ফরহাদের প্রার্থিতার বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে আদালতে একটি রিট করা হয়। বামজোট মনোনীত প্যানেলের মুক্তিযুদ্ধ ও গণতান্ত্রিক আন্দোলন বিষয়ক সম্পাদক প্রার্থী বি এম ফাহমিদা আলম এ রিটটি করেন।
বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিহাসে এখন পর্যন্ত ডাকসু নির্বাচন হয়েছে ৩৭ বার। আর স্বাধীনতার পর মাত্র সাতবার হয় ডাকসু নির্বাচন। যার মধ্যে সর্বশেষ ভোটগ্রহণ হয় ২০১৯ সালে।
রার/সা.এ
সর্বশেষ খবর