
উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢল ও বৃষ্টির কারনে যমুনা নদীর পানি সিরাজগঞ্জ পয়েন্টে আবারো বাড়তে শুরু করেছে। ফলে চৌহালী উপজেলার জোতপাড়া এলাকায় বেঁড়ি বাধের দুইটি স্থানে ৫০ মিটার এলাকায় ধ্বস দেখা দিয়েছে।
সোমবার (১ সেপ্টেম্বর) ভোরে উপজেলার জোতপাড়া নদীর ঘাটের পশ্চিমে অবস্থিত বেঁড়িবাধের দুইটি স্থানে অন্তত: ৪৫ মিটার এলাকার ব্লক নদীতে ধ্বসে গেছে। এ ঘটনায় নদীতীরের বসতিদের মধ্যে আতংক বিরাজ করছে।
চৌহালী উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোস্তাফিজুর রহমান সোমবার দুপুরে ঘটনাস্থল পরিদর্শন শেষে বলেন, বাধ ধ্বসের সংবাদ পেয়ে দুপুর ১টার দিকে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি। জোতপাড়া নদীর ঘাটের পশ্চিমে চৌদ্দরশি এলাকার দুইটি স্থানের একটিতে প্রায় ৩৫ মিটার এবং পাশের আরেকটি স্থানে ৭/৮ মিটার এলাকার বেঁড়ি বাধের ব্লক নদীতে ধ্বসে গেছে। বিষয়টি সিরাজগঞ্জ পাউবো’র কর্মকর্তাদের অবগত করা হয়েছে।
এ প্রসঙ্গে সিরাজগঞ্জ পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মোখলেছুর রহমান বলেন, সংবাদ পেয়ে বাধ ধ্বসের স্থান পরিদর্শন করেছি। ৫০ মিটার এলাকায় বেড়ি বাধের ব্লক নদীতে ধ্বসে গেছে। এতে আতংকের কিছু নেই। মঙ্গলবার থেকে বালি ভর্তি জিওব্যাগ ফেলে ভাঙ্গনরোধ করা হবে।
এদিকে, মাঝে কয়েকদিন কমলেও ২৯ আগষ্ট থেকে যমুনা নদীর পানি আবারো বাড়তে শুরু করেছে। এতে সিরাজগঞ্জের ৫টি উপজেলা কাজিপুর, সিরাজগঞ্জ সদর, বেলকুচি, চৌহালী ও শাহজাদপুর উপজেলার নদীতীরের নিম্মাঞ্চল নদীর পানিতে প্রবেশ করছে। এসব এলাকার আবাদি জমির ফসল তলিয়ে যাচ্ছে। নদীতীরের এসব এলাকার বসতিদের মধ্যে ভাঙ্গন আতংক বিরাজ করছে।
সিরাজগঞ্জ পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মোখলেছুর রহমান বলেন, সোমবার সকাল ৬টা পর্যন্ত গত ২৪ ঘন্টায় যমুনা নদীর পানি সিরাজগঞ্জ পয়েন্টে ১১ সেন্টিমিটার বেড়ে বিপদসীমার ১১০ সেন্টিমিটার এবং কাজিপুর পয়েন্টে ১৫ সেন্টিমিটার বেড়ে বিপদসীমার ১৩৫ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। তবে নদীতে পানি বাড়লেও এই মুহুত্বে বন্যার আশংকা নেই বলে জানিয়েছেন পাউবোর এই কর্মকর্তা।
সালাউদ্দিন/সাএ
সর্বশেষ খবর
জেলার খবর এর সর্বশেষ খবর