
নরসিংদীতে "প্রকৌশলী অধিকার আন্দোলন" ব্যানারে প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ারিং শিক্ষাক্রম ও ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ারদের বিরুদ্ধে চলমান ষড়যন্ত্রের প্রতিবাদে বাংলাদেশ ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ারিং ছাত্র শিক্ষক পেশাজীবী সংগ্রাম পরিষদ ৭ দফা দাবি আদায়ে কর্মসূচি পালন করেছে। এই কর্মসূচির অংশ হিসেবে ০৩/০৯/২০২৫ তারিখে নরসিংদীর ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়াররা অফিস সময়ের পরে অতিরিক্ত ১ ঘণ্টা কর্মস্থলে উপস্থিত থেকে দায়িত্ব পালন করেন।
তাদের ৭ দফা দাবির মধ্যে রয়েছে:
প্রথম: প্রকৌশল কর্মক্ষেত্র ডেস্ক ও ফিল্ড ইঞ্জিনিয়ারিং-এ ভাগ করে বিএসসি ইঞ্জিনিয়ার ও ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ারদের কর্মক্ষেত্র নির্ধারণ করা। ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ারদের জন্য সরকার কর্তৃক নির্ধারিত ১০ম গ্রেডভুক্ত উপ-সহকারী প্রকৌশলী/সমমান পদ শুধু বাংলাদেশ কারিগরি শিক্ষা বোর্ড-এর আওতাধীন পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট ও মনোটেকনিক ইনস্টিটিউট থেকে উত্তীর্ণ ৪ বছর মেয়াদি (সার্ভেয়িংসহ সকল টেকনোলজি) ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ারগণের জন্য সংরক্ষণ অব্যাহত রাখতে হবে।
দ্বিতীয়: সরকারি, আধা-সরকারি ও স্বায়ত্তশাসিত প্রকৌশল সংস্থা, বিভাগ ও বিদ্যুৎ কোম্পানির জনবল কাঠামোতে বিএসসি ইঞ্জিনিয়ার ও ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ারদের হার ১:৫ করা। বর্তমানে এটি অশুভচক্রের কারণে ৫:১-এ রূপান্তরিত করার পাঁয়তারা চলছে।
তৃতীয়: সকল প্রকৌশল সংস্থায় উপ-সহকারী প্রকৌশলী থেকে সহকারী প্রকৌশলী পদে বিদ্যমান ৩৩% পদোন্নতির বিধান ৫০% এ উন্নীতকরণ এবং সকল প্রকৌশল সংস্থায় প্রশাসনিক পদে প্রশাসন ক্যাডার থেকে নিয়োগ প্রদান করা।
চতুর্থ: মেধার অপচয় রোধে প্রকৌশলীদের কারিগরি ক্যাডার ব্যতীত অন্য ক্যাডারে নিয়োগ বন্ধসহ প্রকৌশল পেশা পরিবর্তন কঠোরভাবে নিয়ন্ত্রণ করা।
পঞ্চম: ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ারিং শিক্ষাক্রমের গুণগত মান রক্ষার্থে কোর্স কারিকুলাম ইংরেজিতে প্রণয়নসহ আধুনিকায়ন করা এবং শিক্ষক-শিক্ষার্থীর আনুপাতিক হার ১:১২ নিশ্চিত করে শিক্ষক স্বল্পতা দূরীকরণের উদ্যোগ নিতে হবে। সকল কারিগরি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ল্যাব/ওয়ার্কশপ আধুনিকায়ন এবং কাঁচামালের সরবরাহ নিশ্চিত করতে হবে। সংযুক্ত এসএসসি ভোকেশনাল শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ট্রেড ইন্সট্রাক্টরকে সহকারী প্রধান শিক্ষক (কারিগরি) হিসেবে নিয়োগ প্রদান করতে হবে। বেসরকারি পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের শিক্ষার্থীদের ও সংযুক্ত এসএসসি (ভোকেশনাল), দাখিল (ভোকেশনাল) কোর্সে ইন্ডাস্ট্রিয়াল এটাচমেন্টের কাঁচামাল, শিক্ষার্থী ভাতা ও প্রশিক্ষক ভাতা সরকারি প্রতিষ্ঠানের ন্যায় বরাদ্দ দিতে হবে।
ষষ্ঠ: আন্তঃমন্ত্রণালয় কমিটির সুপারিশ অনুযায়ী ডিপ্লোমা-ইন ইঞ্জিনিয়ারিং শিক্ষা কোর্সে অধ্যয়নরত শিক্ষার্থীদের বৃত্তির টাকার পরিমাণ বৃদ্ধি করতে হবে।
সপ্তম: "কারিগরি ছাত্র আন্দোলন, বাংলাদেশ" কর্তৃক উত্থাপিত ৬ দফা দাবি বাস্তবায়নসহ সকল প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় এবং ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজে ক্রেডিট ট্রান্সফারের মাধ্যমে ডিপ্লোমা-ইন-ইঞ্জিনিয়ারিং সনদধারীদের ভর্তির সুযোগ প্রদান করে উচ্চ শিক্ষা গ্রহণের জন্য সরকারকে কার্যকর ব্যবস্থা নিশ্চিত করতে হবে।
সর্বশেষ খবর
জেলার খবর এর সর্বশেষ খবর