
গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জের দহবন্দ ইউনিয়নে সপ্তম শ্রেণির এক ছাত্রীকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণের ঘটনা ঘটেছে। শুক্রবার বিকেলের দিকে জরুরি সেবা ৯৯৯-এ কল পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে ভুক্তভোগীকে উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসেন বলে জানিয়েছেন থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আবদুল হাকিম আজাদ।
শুক্রবার (৫ সেপ্টেম্বর) দিবাগত রাত সাড়ে ১২টার দিকে উপজেলার দহবন্দ ইউনিয়নের পূর্ব ঝিনিয়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। ধর্ষণের শিকার ওই কিশোরী স্থানীয় একটি বিদ্যালয়ের ৭ম শ্রেণির শিক্ষার্থী।
এ ঘটনায় অভিযুক্তরা হলেন- দক্ষিণ ধুমাইটারি গ্রামের জাহাঙ্গীর আলমের ছেলে সজিব (২০), একই গ্রামের আনারুলের ছেলে সোহেল রানা (১৮) ও নাহিদ ইসলাম (১৯)।
জানা গেছে, ভুক্তভোগী নিজ বাড়ির একটি কক্ষে ঘুমাতে যায়। রাত সাড়ে ১২টার দিকে একই এলাকার সজীব মিয়া ওই কক্ষের জানালায় এসে ডাকতে থাকেন। এ সময় ৫ হাজার টাকার প্রলোভন দেখিয়ে ভুক্তভোগীকে বাইরে আসতে বলেন। পরে সজীব ভুক্তভোগীকে জোরপূর্বক একটি বাঁশঝাড়ে নিয়ে যান।সেখানে ভয়ভীতি দেখিয়ে সোহেল রানা, মো. নাহিদ মিয়াসহ তিনজনে মিলে তাকে ধর্ষণ করেন বলে অভিযোগ করেন ভুক্তভোগীর পরিবার।
এরপর দুজন চলে যায় এবং ভুক্তভোগীকে সজীব মিয়া তার বাড়িতে নিয়ে যায়। সেখানে শুক্রবার দিনভর আপস-মীমাংসার চেষ্টা করে ব্যর্থ হন। পরে জরুরি সেবা ৯৯৯-এ কল পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে বিকেলের দিকে ভুক্তভোগীকে উদ্ধার করে।
সুন্দরগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আবদুল হাকিম আজাদ বলেন, এ ঘটনায় অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে সুন্দরগঞ্জ থানায় একটি ধর্ষণ মামলা দায়ের হয়েছে।
সালাউদ্দিন/সাএ
সর্বশেষ খবর
জেলার খবর এর সর্বশেষ খবর