
বগুড়ার শেরপুর থানা হেফাজত থেকে চুরি ও মাদকসহ তিনটি মামলার আসামি রাব্বি মিয়া (২৭) পালিয়ে যাওয়ার ২৩ ঘণ্টা পর পুনরায় গ্রেপ্তার হয়েছেন। গতকাল রবিবার ভোর সাড়ে ৬টার দিকে সিরাজগঞ্জের সলঙ্গা থানার বাজার এলাকায় তার খালার বাড়ি থেকে তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়। পরে তাঁকে আবার শেরপুর থানা-পুলিশের হেফাজতে আনা হয়েছে। গ্রেপ্তার হওয়া রাব্বি শেরপুর উপজেলার ভবানীপুর ইউনিয়নের আমিনপুর কলোনি গ্রামের ফরজ আলীর ছেলে।
পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, রাব্বি মিয়া একজন দুর্ধর্ষ চোর এবং তার বিরুদ্ধে চুরি ও মাদকসহ তিনটি মামলা রয়েছে। গত ২৯ জুলাই ভবানীপুর ইউনিয়নের একটি বাড়িতে সংঘটিত চুরির ঘটনায় রাব্বি মিয়াকে গত শনিবার গাজীপুরের কালিয়াকৈর মৌচাক এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়। এরপর তাঁকে শেরপুর থানার নারী, শিশু, বয়ষ্ক ও প্রতিবন্ধী সার্ভিস ডেস্কের একটি কক্ষে রাখা হয়েছিল। রবিবার সকাল সাতটার দিকে রাব্বি বাথরুমে যাওয়ার কথা বললে কর্তব্যরত কনস্টেবল রাশেদুল ইসলাম তাঁকে বাইরে নিয়ে যান। এ সময় রাব্বি হঠাৎ পুলিশকে ধাক্কা দিয়ে পালিয়ে যান।
এই ঘটনার পর দায়িত্বে অবহেলার অভিযোগে এএসআই এরশাদ হোসাইন ও কনস্টেবল রাশেদুল ইসলামকে প্রত্যাহার করে বগুড়ার পুলিশ লাইনসে সংযুক্ত করা হয়। রাব্বি পালিয়ে যাওয়ার পর শেরপুর থানা পুলিশের এসআই সাইফ, এসআই রকিব, এসআই বিকাশ, এসআই শুভ্রত এবং তাদের সঙ্গীয় ফোর্স একটি বিশেষ অভিযান চালায়। তথ্যপ্রযুক্তির সহায়তায় রবিবার ভোরে সলঙ্গা এলাকায় রাব্বির খালার বাড়ি থেকে তাঁকে গ্রেপ্তার করা সম্ভব হয়।
শেরপুর থানার এসআই জাহিদুল ইসলাম জানান, জেলা পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের নির্দেশে অবহেলার ঘটনায় তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। একই সঙ্গে থানার হেফাজত থেকে পালানোর ঘটনায় রাব্বি মিয়ার বিরুদ্ধে নতুন একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে। শেরপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এস এম মঈনুদ্দীন বলেন, পালিয়ে যাওয়া রাব্বির বিরুদ্ধে চুরি ও মাদকসহ তিনটি মামলা রয়েছে। এখন সে থানা পুলিশের হেফাজতে আছে।
সর্বশেষ খবর
জেলার খবর এর সর্বশেষ খবর