
নরসিংদীর পলাশে পাওনা টাকা পরিশোধের কথা বলে জহিরুল নামে এক যুবককে বাসায় ডেকে নিয়ে গলা কেটে হত্যার চেষ্টার অভিযোগ উঠেছে। সোমবার মধ্যরাতে উপজেলার ডাঙ্গা ইউনিয়নের কাজিরচর গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। আহতের অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় প্রথমে কালীগঞ্জ স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ও পরে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। আহত জহিরুল ইসলাম ওই ইউনিয়নের কাজিরচর গ্রামের মৃত রফিজ উদ্দিনের ছেলে।
এ ঘটনার পর অভিযুক্ত দুই আসামিকে গ্রেপ্তার করেছে পলাশ থানা পুলিশ। গ্রেপ্তারকৃত আসামিরা হলো: একই গ্রামের আলামিনের বাড়ির ভাড়াটিয়া মাসুদের স্ত্রী শেফালী (৩১) ও তার ছেলে রিয়াদ (১৯)।
পলাশ থানা পুলিশ ও অভিযোগের এজাহার সূত্রে জানা যায়, কাজিরচর গ্রামের আহত জহিরুল ইসলামের কাছ থেকে সুদে ১ লাখ ২০ হাজার টাকা ধার নেয় আলামিনের বাড়ির ভাড়াটিয়া মাসুদ মিয়া। ধার নেওয়ার কয়েক মাস সুদের টাকা পরিশোধ করলেও পরবর্তীতে বিভিন্ন অজুহাতে ওই পাওনা টাকা আর পরিশোধ করেননি। মূলধনসহ লাভের টাকা বর্তমানে প্রায় ৫ লাখ টাকায় গিয়ে দাঁড়ায়। এই পাওনা টাকা চাওয়ার জেরে আসামিরা পরিশোধের কথা বলে বাসায় ডেকে নিয়ে জহিরুলকে ধারালো চাকু দিয়ে গলা কেটে হত্যার চেষ্টা করে। আহতের ডাক-চিৎকারে আশপাশের লোকজন এগিয়ে এলে আসামিরা পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে।
এ বিষয়ে পলাশ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মনির হোসেন জানান, এ ঘটনায় থানায় মামলা হয়েছে। ২ ও ৩ নং আসামি গ্রেপ্তার করে বিজ্ঞ আদালতে পাঠানো হয়েছে। ১নং আসামি মাসুদ মিয়াকে গ্রেপ্তারের অভিযান চলছে।
সালাউদ্দিন/সাএ
সর্বশেষ খবর