আগে টিক দেয়া ব্যালট বাক্সে না ফেলে শিক্ষার্থীর হাতে কেন দেবে? ধরা খাওয়ার জন্য? এমন অভিযোগ তুলেছেন ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র ওসমান হাদী।
মঙ্গলবার নিজের ফেসবুক আইডিতে এক পোস্টে তিনি এ মন্তব্য করেন
পোস্টে হাদি লেখেন—আগে টিক দেয়া ব্যালট বাক্সে না ফেলে শিক্ষার্থীর হাতে কেন দেবে? ধরা খাওয়ার জন্য? খুব কাঁচা নাটক হয়ে গেল না?
এর আগে ডাকসু নির্বাচনে টিএসসির কেন্দ্রে পূর্বে ক্রস দেওয়া ব্যালট দেওয়ার অভিযোগ তুলেছেন উমামা ফাতেমার প্যানেলের প্রার্থী রূপাইয়া শ্রেষ্ঠা তঞ্চঙ্গা। এ বিষয়ে কেন্দ্রের রিটার্নিং কর্মকর্তা ড. নাসরিন সুলতানা বলেন, ব্যালট পেপার নিয়ে বুথে ডোকার পর এমন অভিযোগ দেওয়ার কোনো সুযোগ নেই।
মঙ্গলবার ভোট চলাকালীন সময়ে সকাল সাড়ে ১০টার দিকে এ ঘটনা ঘটে।
ওই প্রার্থীর অভিযোগ, তার পরিচিত এক ভোটার বুথে গিয়ে দেখেন সেখানে পূর্বেই সাদিক কায়েম এবং এস এম ফরহাদের পক্ষে ক্রস দেওয়া হয়ে গেছে।
এ বিষয়ে ডাকসু নির্বাচন কমিশন সদস্য ও টিএসসি ভোট কেন্দ্রের রিটার্নিং কর্মকর্তা ড. নাসরিন সুলতানা বলেন, ‘অভিযোগের পর আমরা সবগুলো ব্যালট পেপার চেক করেছি। কোথাও এমন সমস্যা পাইনি। অভিযোগকারী ব্যালট পেপার হাতে নিয়েই এটি বলতে পারবেন। কিন্তু তিনি বুথে গিয়ে কিছুক্ষণ থেকে তারপর ফিরে এসেছেন। এরপর আবার এমন অভিযোগ নেওয়ার কোনো সুযোগ নেই। তারপরও আমরা তাকে একটি ফ্রেশ ব্যালট পেপার দিয়েছি।
ড. নাসরিন সুলতানা আরো বলেন, আমাদের ইতোমধ্যে ৬০ শতাংশ ভোট কাস্ট হয়ে গেছে৷ নির্বাচনকে প্রশ্নবিদ্ধ করার জন্য এটি করা হতে পারে। অথবা ওই শিক্ষার্থীই ভুল করেছে।
সেই ব্যালট পেপার যিনি দিয়েছিলেন তিনি রোকেয়া হলের রিটার্নিং অফিসার রুমানা পারভীন এনি। তিনি বলেন, তিনি আমার কাছ থেকে ব্যালট পেপার সংগ্রহ করে বুথে প্রবেশ করেন। কিছুক্ষণ পর এসে তিনি এমন অভিযোগ করেন। তৎক্ষণাৎ আমরা রিটার্নিং অফিসাররা সবগুলো ব্যালট পেপার চেক করব। কোনো অসংগতি আমরা পাইনি।
তিনি বলেন, পরে অভিযোগকারীকে আমরা পুনরায় নতুন ব্যালট পেপার দেই এবং ঘটনা তদন্তে আশ্বস্ত করি।
এ রিটার্নিং অফিসার অভিযোগ করে বলেন, যিনি অভিযোগ করছেন তারও ভুল হতে পারে। কিংবা ঘটনাটিকে ইস্যু বানিয়ে ভোটের পরিবেশ নষ্ট করার চেষ্টা করা হচ্ছে। এ সময় তিনি শিক্ষার্থীদেরকে বিভ্রান্ত না হওয়ার আহ্বান জানান
রার/সা.এ
সর্বশেষ খবর