ফরিদপুর-৪ আসনের পুনর্বিন্যাসের প্রতিবাদে দ্বিতীয় দফায় বৃহস্পতিবার (১১ অক্টোবর, ২০২৫) টানা তৃতীয় দিনের মতো আন্দোলনকারীরা ঢাকা-খুলনা ও ঢাকা-বরিশাল মহাসড়কের পাশাপাশি রেলপথও অবরোধ করেছে। এর ফলে রাজধানীর সঙ্গে দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের ২১টি জেলার সড়কপথে যানবাহন চলাচল বন্ধ হওয়ার পাশাপাশি রেলপথেও ট্রেন চলাচল সম্পূর্ণ বন্ধ হয়ে গেছে।

বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে ৭টা থেকে রেলপথ অবরোধ শুরু হয়। এর জেরে খুলনা থেকে ছেড়ে আসা ঢাকাগামী আন্তঃনগর জাহানাবাদ এক্সপ্রেস মুকসুদপুর রেল স্টেশনে আটকে আছে।

ভাঙ্গা রেলওয়ে ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, ঢাকা-খুলনা রেললাইনের ভাঙ্গা উপজেলার কৈডুবি রেলগেটে গাছের গুঁড়ি ফেলে অবরোধ করে রেখেছে বিক্ষুব্ধ জনতা। সকাল ৭টা থেকে এই অবরোধ শুরু হয়। খুলনা থেকে ঢাকাগামী জাহানাবাদ এক্সপ্রেস ট্রেনের লোকো মুকসুদপুর স্টেশনে রিভার্স করা হয়েছে। বিকল্প পথ হিসেবে ট্রেনটিকে কাশিয়ানী জংশনে গিয়ে কাশিয়ানী থেকে বোয়ালমারী হয়ে কালুখালী দিয়ে রাজবাড়ী অথবা যমুনা সেতু হয়ে ঢাকা যেতে হবে। এছাড়া বেনাপোলগামী রূপসী বাংলা ট্রেনটিও এ পথে আসা বন্ধ করা হয়েছে।

ভাঙ্গার কৈডুবি রেলগেটের গেটকিপার মুস্তাফিজুর রহমান জানান, সকাল সাড়ে ৭টা থেকে গাছের গুঁড়ি ফেলে রেলগেট বন্ধ করে রেখেছে স্থানীয় জনতা। ফলে সকাল থেকে এ পথে কোনো ট্রেন চলাচল করেনি।

ভাঙ্গা রেলওয়ে জংশনের সহকারী ম্যানেজার মোহাম্মদ সাকিব আকন্দ বলেন, খুলনা থেকে ঢাকাগামী জাহানাবাদ এক্সপ্রেসের ভাঙ্গায় ৮টা ১৫ মিনিটে পৌঁছানোর কথা ছিল। কিন্তু রেললাইন অবরোধের কারণে ট্রেনটি ভাঙ্গা পৌঁছতে পারেনি এবং মুকসুদপুর এলাকায় অবস্থান করছে।

এ বিষয়ে ভাঙ্গা রেলওয়ে পুলিশের ইনচার্জ শাবুর হোসেন বলেন, ঢাকাগামী জাহানাবাদ ট্রেন মুকসুদপুর এলাকায় আটকা পড়েছে। এতে যাত্রীদের দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। অবরোধকারীরা অবরোধ না তুললে, পরিস্থিতি শান্ত না হওয়া পর্যন্ত রেল চলাচল স্বাভাবিক হওয়ার সম্ভাবনা নেই।

উল্লেখ্য, গত ৪ সেপ্টেম্বর নির্বাচন কমিশন ফরিদপুরের ভাঙ্গা উপজেলার আলগী ও হামিরদী ইউনিয়নকে ফরিদপুর-৪ আসন থেকে কেটে ফরিদপুর-২ আসনের নগরকান্দায় যুক্ত করে গেজেট প্রকাশ করে। এই সিদ্ধান্তের প্রতিবাদে গত কয়েক দিনে ভাঙ্গায় একাধিকবার মহাসড়ক অবরোধ, মানববন্ধন, হাইকোর্টে রিট দায়ের এবং রেলপথ অবরোধ করা হয়েছে।