
বাগেরহাটে চারটি সংসদীয় আসনের মধ্যে একটি কমিয়ে তিনটি করার চূড়ান্ত গেজেটের প্রতিবাদে সকাল থেকে হরতাল ও সড়ক অবরোধ কর্মসূচি পালন করছে সর্বদলীয় সম্মিলিত কমিটি। তৃতীয় দফার ৪৮ ঘণ্টার হরতালে চরম দুর্ভোগে পড়েছেন সাধারণ মানুষ। এই কর্মসূচি বৃহস্পতিবার (১১ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যা ছয়টা পর্যন্ত চলবে।
জেলার প্রধান প্রধান সড়কসহ নয়টি উপজেলায় অন্তত ১০০টি গুরুত্বপূর্ণ স্থানে গাছের গুঁড়ি, গাড়ি ও বেঞ্চ ফেলে টায়ার জ্বালিয়ে সড়ক অবরোধ করেছেন নেতাকর্মীরা। এর মধ্যে বাগেরহাট মহাসড়কের কেন্দ্রীয় বাসস্ট্যান্ড, জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সামনে, খুলনা-ঢাকা মহাসড়কের দশানী, নওয়াপাড়া, কাটাখালি, মোল্লাহাট সেতু, বাগেরহাট-পিরোজপুর মহাসড়কের সাইনবোর্ড বাজার, খুলনা-মোংলা মহাসড়কের ফয়লা ও মোংলা বাসস্ট্যান্ডসহ বিভিন্ন পয়েন্টে অবরোধ চলছে। হরতালের অংশ হিসেবে নেতাকর্মীরা সকাল সাড়ে আটটার দিকে জেলা নির্বাচন অফিসের প্রধান ফটকে অবস্থান নেয়। পরে মিছিল সহকারে জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সামনে আসেন নেতাকর্মীরা। জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের ও আদালতের প্রধান ফটোকের সামনে অবস্থান নেওয়ায় সকাল থেকে আদালতে কাউকে প্রবেশ করতে দেখা যায়নি।
এসব কর্মসূচিতে বিএনপি কেন্দ্রীয় নেতা কৃষিবিদ শামীমুর রহমান শামীম, জেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি এম.এ সালাম, জেলা বিএনপির সদস্য সচিব মুজাফফর রহমান আলম, জেলা জামায়াতে ইসলামীর আমির মাওলানা রেজাউল করিম, সেক্রেটারি শেখ মুহাম্মদ ইউনুস, বাংলাদেশ জামায়াত ইসলামীর বাগেরহাট জেলা বিভাগের প্রধান মঞ্জুরুল হক রাহাদ, বিএনপি নেতা ফকির তারিকুল ইসলামসহ নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।
দীর্ঘদিন ধরে বাগেরহাটে চারটি সংসদীয় আসন ছিল। কিন্তু গত ৩০ জুলাই নির্বাচন কমিশন প্রাথমিকভাবে প্রস্তাব দেয়, আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বাগেরহাটে চারটির পরিবর্তে তিনটি আসন থাকবে। সেই সিদ্ধান্তের পর থেকেই জেলাজুড়ে তীব্র ক্ষোভ দেখা দেয়। একের পর এক কর্মসূচি ঘোষণা করে সর্বদলীয় সম্মিলিত কমিটি। চারটি আসন বহাল রাখার দাবিতে নির্বাচন কমিশনের শুনানিতেও অংশ নেয় বাগেরহাটের নেতাকর্মীরা। তবে শেষ পর্যন্ত ৪ সেপ্টেম্বর নির্বাচন কমিশন সীমানা পরিবর্তন করে তিনটি আসন বহাল রেখে চূড়ান্ত গেজেট প্রকাশ করে। এর প্রতিবাদেই সর্বদলীয় সম্মিলিত কমিটির ডাকে এ হরতাল ও সড়ক অবরোধ পালিত হচ্ছে।
সালাউদ্দিন/সাএ
সর্বশেষ খবর