
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সদ্য অনুষ্ঠিত ডাকসু নির্বাচনে জামায়াতে ইসলামী-সমর্থিত ছাত্র সংগঠনের অপ্রত্যাশিত সাফল্য নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন ভারতের কংগ্রেস নেতা ও প্রখ্যাত রাজনীতিক শশী থারুর। তবে তার মন্তব্যের জবাবে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন ডাকসুর প্রতিরোধ পর্ষদের সাধারণ সম্পাদক (জিএস) পদপ্রার্থী মেঘমল্লার বসু।
বৃহস্পতিবার (১২ আগস্ট) রাতে নিজের ফেসবুক পেজে দীর্ঘ এক পোস্টে মেঘমল্লার সরাসরি শশী থারুরকে উদ্দেশ্য করে লেখেন—বাংলাদেশে ডানপন্থী রাজনীতি নিয়ে মন্তব্য করার কোনো প্রয়োজন নেই তার। মেঘমল্লার বলেন, ‘রাষ্ট্রীয় সংস্থার সম্পৃক্ততা, ইসলামোফ্যাসিস্ট প্রবণতা ও অর্থনৈতিক বৈষম্যের মধ্যেও আমি পাঁচ হাজার ভোট পেয়েছি। এ থেকেই বোঝা যায় আমি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রগতিশীল ছাত্রদের প্রতিনিধিত্ব করি। কিন্তু আপনার মন্তব্য কেবল অতি-ডানদেরই উপকার করে।’
থারুরকে কটাক্ষ করে মেঘমল্লার আরও লেখেন, ‘আপনি কি সেই একই ব্যক্তি নন, যিনি কেরালার শবরিমালা মন্দির ইস্যুতে ডানপন্থী প্রচারণা করেছিলেন কেবল সিপিআইএমকে হারানোর জন্য? যদি অন্যকে উপদেশ দিতেই হয়, আগে নিজ দেশে হিন্দুত্ববাদী ফ্যাসিস্টদের হারান। যারা তিনবার মোদি-অমিত শাহকে পরাজিত করতে ব্যর্থ, তাদের অন্য দেশের ছাত্র সংসদ নির্বাচন নিয়ে মন্তব্য করা বিলাসিতা ছাড়া কিছু নয়।’
ভারতের ভূমিকাকে বাংলাদেশের জন্য ‘বিষাক্ত’ আখ্যা দিয়ে মেঘমল্লার বলেন, ‘আপনার মন্তব্য শিবিরকেই শক্তি জোগায়। আমাদের সমস্যা আমরা নিজেরাই সমাধান করব। ভারত যদি হিন্দুত্ববাদী ফ্যাসিস্টদের হারাতে না পারে, তবে অন্য দেশের বিষয়ে বক্তৃতা দেওয়া বন্ধ করুন।’
এর আগে, এক্সে (সাবেক টুইটার) পোস্ট দিয়ে শশী থারুর বলেন, ডাকসুতে জামায়াত-সমর্থিত ছাত্র সংগঠনের সাফল্য বাংলাদেশে ভবিষ্যতের জন্য ‘অশনি সংকেত’। তার ভাষায়, ‘দুই প্রধান রাজনৈতিক দলের দুর্নীতি ও কুশাসনে অতিষ্ঠ হয়ে অনেকেই বিকল্প খুঁজছেন। তারা জামায়াতকে বেছে নিচ্ছে ধর্মীয় উগ্রতার কারণে নয়, বরং এজন্য যে দলটি এখনও আওয়ামী লীগ বা বিএনপির মতো দুর্নীতির সঙ্গে যুক্ত হয়নি।’
থারুর আরও প্রশ্ন তোলেন, এই প্রবণতা কি আগামী জাতীয় নির্বাচনে প্রতিফলিত হবে এবং ভারতকে কি তখন প্রতিবেশী হিসেবে জামায়াত সংখ্যাগরিষ্ঠতার মুখোমুখি হতে হবে?
রার/সা.এ
সর্বশেষ খবর
জাতীয় এর সর্বশেষ খবর