
দীর্ঘ প্রতীক্ষার পর অবশেষে ভোলার নদ-নদীতে মিলছে ঝাঁকে ঝাঁকে ইলিশ। শুক্রবার (১৩ সেপ্টেম্বর) ভোর থেকেই মেঘনা, তেতুলিয়া, ইলিশা, কালাবাদর ও বেতুয়া নদীতে জেলেদের জালে ধরা পড়ছে প্রচুর ইলিশ।
এতে একদিকে যেমন বেড়েছে জেলেদের কর্মব্যস্ততা, তেমনি সরগরম হয়ে উঠেছে স্থানীয় মাছের আড়তগুলো। জেলেদের ভাষ্য, এতদিন সাগর থেকে নদীতে ইলিশ আসতে ডুবোচর বড় বাধা ছিল। তবে প্রবল জোয়ারে এসব চরের আকার ক্ষয় হয়ে ছোট হয়ে যাওয়ায় এবার বাধাহীনভাবে নদীতে ঢুকছে ইলিশের ঝাঁক।
মেঘনা পাড়ের তুলাতলী মাছঘাটে জেলে আবুল বাশার, মনোয়ার মাঝি, শরীফ ও বিল্লাল মাঝি জানান, আগে দিনে এক থেকে দেড় হাজার টাকার মাছ মিললেও এখন প্রতিদিন পাচ্ছেন ১০-১২ হাজার টাকার ইলিশ। এতে তাদের মুখে ফুটেছে হাসি, পাড়ায় ফিরেছে উৎসবের আমেজ।
অন্যদিকে আড়তগুলোতেও লেগেছে কেনাবেচার হিড়িক। আড়তদাররা জানান, আগে তুলাতলী ঘাটে প্রতিদিন সর্বোচ্চ এক লাখ টাকার ইলিশ কেনাবেচা হতো, এখন তা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১৫-২০ লাখ টাকায়। সরবরাহ বেড়ে যাওয়ায় স্থানীয় বাজারে ইলিশের দামও কিছুটা কমতে পারে বলে আশা করছেন ভোক্তারা।
ভোলার ইলিশা জেলে পল্লীর মিরাজ মাঝি, আলম মাঝি ও শাহীন মাঝি বলেন, “এভাবে ইলিশ ধরা পড়তে থাকলে আগামী মৎস্য নিষেধাজ্ঞার আগেই আমাদের ধারদেনা শোধ হয়ে যাবে।”
ভোলা জেলা মৎস্য কর্মকর্তা বিশ্বজিৎ কুমার দেব বলেন, “এ বছর ইলিশ উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে এক লাখ ৮০ হাজার মেট্রিক টন। জেলেদের জালে যেহেতু ইতোমধ্যেই প্রচুর ইলিশ ধরা পড়ছে, আমরা আশাবাদী যে লক্ষ্যমাত্রা অর্জন সম্ভব হবে।”
বাঁধন/সিইচা/সাএ
সর্বশেষ খবর