
বরগুনার আমতলী উপজেলার হলদিয়া ইউনিয়নের উত্তর তক্তাবুনিয়া গ্রামে কেরাম বোর্ড খেলাকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষে উভয় পক্ষের ১৪জন গুরুতর আহত হয়ছ।
স্থানীয় ও স্বজনরা আহতদের উদ্ধার করে মুমুর্ষ অবস্থায় বরিশাল শেবাচিম হাসপাতাল নিয়ে ভর্তি করেছে।
শনিবার বেলা আড়াইটার দিকে ওই গ্রামের কালু চৌকিদার বাড়ির সামনে ওই ঘটনা ঘটে।
আহতের স্বজন সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার উত্তর তক্তাবুনিয়া গ্রামের কালু চৌকিদার বাড়ির দরজায় বসে শনিবার বেলা আড়াইটার দিকে
যুব মীরা (১৪), আরাফাত (১৮), সাগর (২০) ওলিউল্লাহ চৌকিদার (১৭) কেরাম বোর্ড খেলছিল। ওই সময় কেরাম বোর্ড খেলা নিয়ে অলিউল্লাহ চৌকিদারর সাথে অন্য তিন জনের বাগবিতন্ডা হয়। বাগবিতন্ডার এক পর্যায়ে উভয়পক্ষ রামদা, দা ও লাঠিসোটা নিয়ে সংঘর্ষে জড়িয়ে পরে। সংঘর্ষে উভয়পক্ষের ১৪ জন আহত হয়।
উভয়পক্ষের আহতরা হলেন মীর আমির হামজা (৩০), মীর রফিকুল ইসলাম (৪০), মীর আলমাছ (৫০), মীর আঃ মালেক (৫০), মীর নাসির (৬২), মীর আলামিন (৬২), মীর শামীম (৩৪) ও মীর মোস্তফা (১৪), মজনু চৌকিদার, (৫০), মাহবুব চৌকিদার (৪০), হাসান চৌকিদার (২৫), আবুল বাশার চৌকিদার (৪৫), রিয়াজুল চৌকিদার (২৮), ও এক দুই তিন নম্বর ওয়ার্ডর সংরক্ষিত আসনের ইউপি সদস্য হেনা বেগম (৪০) গুরুতর আহত হয়।
খবর পেয়ে মীর বংশ ও চৌকিদার বংশের স্বজন এবং স্থানীয় লোকজন আহতদের উদ্ধার করে আমতলী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে আসে।
উভয় পক্ষের আহতদের মধ্যে ১২ জনের অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে মুমুর্ষ অবস্থায় উন্নত চিকিৎসার জন্য বরিশাল শেবাচিম হাসপাতাল নিয়ে ভর্তি করা হয়েছে।
সংবাদ পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ ও ইউনিয়ন বিএনপির নেতৃবৃন্দ পরিদর্শন করেন।
হামলায় গুরুতর আহত নাসির মীর বলেন, অলিউল্লাহ চৌকিদারের সাথে কেরাম বোর্ড খেলা নিয়ে ছেলেদের সামান্য মারামারি হয়। এই অজুহাত তুলে কালু চৌকিদার বাড়ির ৮-১০ জন লোক মিলে তাদের বাড়ির সামনে আমাদের উপর লাঠিসোটা, রামদা, ছেনা, দা নিয়ে হামলা করে কুপিয়ে ৮ জনক গুরুতর জখম করেছে। আমরা এই ঘটনার বিচার চাই।
চৌকিদার বাড়ির আহত মজনু চৌকিদার বলেন, প্রতিপক্ষের ১২-১৩ জন মিলে দা, রামদা নিয়ে আমাদের উপর হামলা করেছে। হামলা করে তারা আবার আমাদেরকে রক্তাক্ত অবস্থায় একটি ঘরের মধ্যে আটকিয়ে রাখে যাহাতে আমরা কোন চিকিৎসা করাতে না পারি। পরে গ্রামবাসী, পুলিশ ও বিএনপির নেতৃবৃন্দরা ঘটনাস্থলে পৌছে আমাদের উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠায়। আমরা এই ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত সাপেক্ষে বিচার চাই।
আমতলী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জরুরী বিভাগর উপ-সহকারী মেডিকেল অফিসার জয়দেব হাওলাদার বলেন, আহতদের মাথা ও শরীরের বিভিন্ন স্থানে রক্তাক্ত জখম ও আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। তাদেরকে উন্নত চিকিৎসার জন্য বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানা হয়েছে।
আমতলী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) দেওয়ান জগলুল হাসান বলেন, খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। অভিযোগ পেলে তদন্ত সাপেক্ষে দোষীদের বিরুদ্ধে আইনী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
সালাউদ্দিন/সাএ
সর্বশেষ খবর
জেলার খবর এর সর্বশেষ খবর