ফরিদপুর-৪ আসনের ভাঙ্গা উপজেলা থেকে আলগী ও হামিরদী ইউনিয়ন কেটে ফরিদপুর-২ (নগরকান্দা-সালথা) আসনে যুক্ত করার প্রতিবাদে আবারও মহাসড়ক ও রেলপথ অবরোধ করেছেন স্থানীয় জনতা।

রোববার (১৪ সেপ্টেম্বর) সকাল ৬টা থেকে ভাঙ্গা উপজেলার ছয়টি স্থানে একযোগে ঢাকা-খুলনা ও ঢাকা-বরিশাল মহাসড়ক এবং ঢাকা-বেনাপোল রেলপথ অবরোধ করে বিক্ষোভ শুরু হয়। আন্দোলনকারীরা মহাসড়কে টায়ারে আগুন জ্বালিয়ে এবং ব্যারিকেড দিয়ে অবস্থান নেন। তারা তৃতীয় দফায় পঞ্চম দিনের মতো অবরোধ কর্মসূচি পালন করছেন।

অবরোধের কারণে মহাসড়ক ও রেলপথে যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায় এবং সাধারণ যাত্রীরা চরম ভোগান্তিতে পড়েন। বিশৃঙ্খলা এড়াতে বিপুল সংখ্যক পুলিশ, র‌্যাব, এপিবিএন ও সেনাবাহিনী মোতায়েন রয়েছে।

এর আগে শনিবার (১৩ সেপ্টেম্বর) বিকেলে আলগী ইউনিয়ন পরিষদ ভবনে এক সংবাদ সম্মেলনে এই নতুন কর্মসূচি ঘোষণা করেন আলগী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ম ম সিদ্দিক। ঘোষণায় জানানো হয়, রোববার থেকে টানা তিন দিন সকাল ৬টা থেকে সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত ভাঙ্গা উপজেলায় সড়ক ও রেলপথ অবরোধ করা হবে।

আন্দোলনকারীরা বলেন, দুটি ইউনিয়নকে আগের অবস্থায় ফেরত না দেওয়া পর্যন্ত তাদের আন্দোলন চলবে। তারা আসন পুনর্বিন্যাসের সিদ্ধান্ত বাতিল করে আলগী ও হামিরদী ইউনিয়নকে পুনরায় ফরিদপুর-৪ আসনে ফেরত দেওয়ার দাবি জানান।

গত ৪ সেপ্টেম্বর নির্বাচন কমিশন আসন পুনর্নির্ধারণের তালিকা প্রকাশ করে। এতে ভাঙ্গা উপজেলার আলগী ও হামিরদী ইউনিয়ন ফরিদপুর-৪ থেকে কেটে ফরিদপুর-২ আসনে অন্তর্ভুক্ত করা হয়। সিদ্ধান্ত ঘোষণার পর থেকেই স্থানীয়দের মধ্যে ক্ষোভ ছড়িয়ে পড়ে এবং লাগাতার আন্দোলন শুরু হয়।

প্রসঙ্গত, ২০১৩ সালের আগে সদরপুর ও চরভদ্রাসন উপজেলা ছিল ফরিদপুর-৪ আসনের অংশ এবং ভাঙ্গা উপজেলা ছিল ফরিদপুর-৫ আসনে। পরবর্তী পুনর্বিন্যাসে ফরিদপুরের পাঁচটি আসন কমিয়ে চারটি করা হয়।