
পাবনা-১ (বেড়া আংশিক-সাঁথিয়া) সংসদীয় আসন পুনর্বহালের দাবিতে রোববার সকাল-সন্ধ্যা হরতাল চলছে বেড়া উপজেলায়।
সর্বদলীয় সংগ্রাম কমিটির ডাকে সকাল ছয়টা থেকে শুরু হওয়া এই হরতাল সন্ধ্যা ছয়টা পর্যন্ত চলবে। হরতাল চলাকালে বেড়া পৌর সদরের সকল ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ও যানবাহন চলাচল বন্ধ রয়েছে। এখন পর্যন্ত কোনো অপ্রীতিকর ঘটনার খবর পাওয়া যায়নি।
গত শনিবার (১৩ সেপ্টেম্বর) সকালে বেড়ায় সর্বদলীয় সংগ্রাম কমিটির অস্থায়ী কার্যালয়ে আলহাজ্ব ফজলুর রহমান ফকিরের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় এই হরতালের ডাক দেওয়া হয়।
উল্লেখ্য, গত ৪ আগস্ট ত্রয়োদশ সংসদ নির্বাচনের জন্য ৩০০ আসনের চূড়ান্ত সীমানার প্রজ্ঞাপন জারি করে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। এতে সাঁথিয়া ও বেড়া উপজেলার একাংশ নিয়ে গঠিত পাবনা-১ আসন সংশোধন করে শুধু সাঁথিয়া উপজেলাকে নিয়ে পাবনা-১ আসন করা হয়েছে এবং পাবনা-২ আসনের (সুজানগর ও বেড়া উপজেলার একাংশ) সঙ্গে বেড়া উপজেলাকে পুরোপুরি সংযুক্ত করা হয়েছে।
এরপর থেকেই ক্ষোভে ফেটে পড়ে বেড়া উপজেলাবাসী। তারা পাবনা-১ (সাঁথিয়া ও বেড়া উপজেলার আংশিক) সংসদীয় আসন পুনর্বহালের দাবিতে গত ৭ সেপ্টেম্বর সকালে ঢাকা-পাবনা মহাসড়ক দুই ঘণ্টা অবরোধ করে বিক্ষোভ করেন।
আন্দোলনকারীরা বলেন, "সম্পূর্ণ অন্যায়ভাবে শুধু সাঁথিয়া উপজেলা নিয়ে পাবনা-১ আসন আলাদা করা হয়েছে। আর বেড়া উপজেলাকে পৃথক করে পাবনা-২ আসনের সঙ্গে যুক্ত করা হয়েছে। কিন্তু বেড়া উপজেলার জনগণের ব্যবসা-বাণিজ্য সবকিছু সাঁথিয়ার সঙ্গে যুক্ত। এটা কোনোভাবেই গ্রহণযোগ্য হতে পারে না।"
বেড়া পৌর বিএনপির সভাপতি ফজলুর রহমান ফকির বলেন, "আমরা ৫০ বছর ধরে পাবনা-১ আসন সাঁথিয়ার সঙ্গে বেড়া উপজেলা মিলেমিশে আছি। দেশের মধ্যে এটি একটি গুরুত্বপূর্ণ আসন। অথচ কী কারণে পাবনা-১ আসন থেকে বেড়া উপজেলাকে বাদ দিয়ে আমাদের পাবনা-২ আসনের সঙ্গে দেওয়া হলো তা বোধগম্য নয়। আমরা এটা মানি না। অবিলম্বে গেজেট বাতিল করে পাবনা-১ আসনকে পুনর্বহাল করতে হবে। আমাদের দাবি না মানায় আগামীকাল রোববার বেড়া উপজেলায় সকাল-সন্ধ্যা হরতাল এবং সড়ক ও নৌপথ অবরোধের ঘোষণা দেওয়া হয়েছে।"
সর্বশেষ খবর
জেলার খবর এর সর্বশেষ খবর