
বরগুনার পাথরঘাটা উপজেলার নাচনাপাড়া বাজারসংলগ্ন দুটি ব্রিজ ভেঙে যাওয়ায় সাপলেজা, কাঠালতলী ও নাচনাপাড়া এই তিন ইউনিয়নের কয়েক হাজার মানুষ চরম ভোগান্তির শিকার হয়েছেন। এতে সবচেয়ে বেশি বিপাকে পড়েছেন নারী, শিশু ও শিক্ষার্থীরা।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, নাচনাপাড়া বাজারের উত্তর পাশে মাঠবাড়িয়া ও পাথরঘাটা উপজেলার সংযোগ কাঠের ব্রিজটি দীর্ঘদিন আগে ভেঙে গেলে এলাকাবাসী নিজ উদ্যোগে একটি সাঁকো নির্মাণ করে চলাচল করছিলেন। কিন্তু সম্প্রতি জোয়ারের চাপে সেটিও ভেঙে যায়। ফলে দুই পাড়ের মানুষ এখন বাধ্য হয়ে খেয়া নৌকায় পারাপার করছেন।
এলাকাবাসী বলেন, প্রায় ২০ বছর আগে সাবেক সংসদ সদস্য আলহাজ্ব নূরুল ইসলাম মনি একটি গার্ডার ব্রিজ নির্মাণ করেছিলেন। তবে পরবর্তী ১৬ বছরেও নতুন কোনো স্থায়ী ব্রিজ নির্মাণ করা হয়নি। প্রায় এক দশক আগে নতুন একটি ব্রিজ নির্মাণের কাজ শুরু হলেও তা এখনও অসমাপ্ত অবস্থায় বন্ধ রয়েছে।
অন্যদিকে, নাচনাপাড়া বাজারের দক্ষিণ পাশে বেড়িবাঁধ ভেঙে যাওয়ায় নৌবাহিনী ও উপজেলা পরিষদের অর্থায়নে স্থানীয় জনপ্রতিনিধিরা মিলে একটি অস্থায়ী সাঁকো নির্মাণ করা হয়েছিল। কিন্তু সেটিও গত ১০ সেপ্টেম্বর জোয়ারের পানিতে ভেঙে পড়ে। এতে তিন ইউনিয়নের হাজারো মানুষের দুর্ভোগ আরও বাড়ে।
দ্রুত সাঁকো পুনর্নির্মাণ ও স্থায়ী ব্রিজ নির্মাণের কাজ চালুর দাবি জানিয়েছেন ক্ষতিগ্রস্ত এলাকাবাসী।
ইউপি সদস্য ও ইউনিয়ন বিএনপির আহ্বায়ক মোঃ মহিউদ্দিন পান্না বলেন, নাচনাপাড়া একটি ঐতিহ্যবাহী বাজার, এখানে দূর দূরান্ত থেকে সাধারণ মানুষ বেচাকেনা করতে আসে। বিশেষ করে আসনাগারা বাজারের দক্ষিণ পাশে বেরিবাদ ভেঙে যাওয়ার কারণে চরম ভোগান্তিতে পড়েছে সাধারণ মানুষ ও শিক্ষার্থীরা। নৌ বাহিনী ও উপজেলা পরিষদের সহায়তায় আমরা একটি অস্থায়ী সাথে নির্মাণ করেছিলাম। বর্তমানে সেটি ভেঙে গেছে। কর্তৃপক্ষ দৃষ্টি আকর্ষণ করছি যাতে করে দ্রুত সাঁকোটি নির্মাণ ও স্থায়ী স্লুইসগেট নির্মাণের জোর দাবি জানাচ্ছি।
সালাউদ্দিন/সাএ
সর্বশেষ খবর
জেলার খবর এর সর্বশেষ খবর