
কক্সবাজারের বীরশ্রেষ্ঠ রুহুল আমিন স্টেডিয়ামে তাণ্ডবের ঘটনায় দুটি মামলা হয়েছে। এর একটি করেছেন জেলা ক্রীড়া কর্মকর্তা আলাউদ্দিন, অপরটি করেছেন কক্সবাজার সদর মডেল থানার উপপরিদর্শক (এসআই) রাজীব পাল।
রোববার (রবিবার) দুপুরে সদর মডেল থানায় মামলাগুলো রুজু করা হয় বলে জানিয়েছেন থানার তদন্ত কর্মকর্তা মো. ফারুক হোসেন।
তিনি জানান, ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগের ঘটনায় ক্রীড়া সংস্থার পক্ষে দায়ের করা মামলায় দুইজনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাত ৭০০ জনকে আসামি করা হয়েছে। নাম উল্লেখ করা আসামি দুজন হলেন টিকিটের ইজারাদার ইব্রাহিম বাবু ও মুন্না। পুলিশের ওপর হামলা ও সরকারি কাজে বাধা দেওয়ার অভিযোগে দায়ের করা মামলায় আসামিদের নাম-পরিচয় অজ্ঞাত রাখা হয়েছে।
গত শুক্রবার রামু ও টেকনাফ উপজেলা একাদশের ফাইনাল ম্যাচকে ঘিরে সকাল থেকেই স্টেডিয়ামে ভিড় জমে। টিকিটের নির্ধারিত মূল্য ছিল ৫০ টাকা। তবে অতিরিক্ত চাহিদার সুযোগ নিয়ে আয়োজক কমিটি ধারণক্ষমতার ছয় গুণ বেশি টিকিট বিক্রি করে। দুপুর দুইটা পর্যন্ত টিকিট বিক্রি চলতে থাকায় অনেক দর্শক টিকিট কিনেও ভেতরে ঢুকতে পারেননি।
গ্যালারিতে জায়গা না পেয়ে বিকেল আড়াইটার দিকে উত্তেজিত দর্শকেরা গেট ভেঙে মাঠে ঢুকে পড়েন। খেলা আয়োজনের সুযোগ না থাকায় পুলিশ, র্যাব ও সেনাসহ আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে চেষ্টা চালায়। কিন্তু দফায় দফায় চেষ্টার পরও তা সম্ভব হয়নি।
স্টেডিয়ামে ঢুকতে না পেরে বাইরে থাকা দর্শকেরা ভবনে ভাঙচুর শুরু করেন। পরে ভেতরে থাকা দর্শকেরা গ্যালারি, মাঠ ও প্রেস বক্সে হামলা চালিয়ে ভাঙচুর করেন এবং ইটপাটকেল নিক্ষেপ করেন। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী লাঠিচার্জ করে।
এ ঘটনায় সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নিলুফা ইয়াসমিন, পুলিশের তিন সদস্যসহ অন্তত ৩০ জন আহত হন।
অব্যবস্থাপনার কারণে আয়োজক কমিটি ফাইনাল খেলা স্থগিত ঘোষণা করে। পরদিন শনিবার জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ সালাহউদ্দিন, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ সাইফউদ্দিন শাহীনসহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা স্টেডিয়াম পরিদর্শন করেন।
জেলা প্রশাসক সালাহউদ্দিন বলেন, শুধু ভাঙচুর নয়, স্টেডিয়ামে তাণ্ডব চালানো হয়েছে। এ ঘটনার তদন্তে দুটি কমিটি গঠন করা হয়েছে।
সালাউদ্দিন/সাএ
সর্বশেষ খবর
জেলার খবর এর সর্বশেষ খবর