
চট্টগ্রামের চন্দনাইশ উপজেলায় বাস ও দুই সিএনজি অটোরিকশার মুখোমুখি সংঘর্ষে শাশুড়ি ও পুত্রবধূসহ ৩ জন নিহত হয়েছেন। তাদের মধ্যে এলডিপির চেয়ারম্যান সাবেক মন্ত্রী কর্নেল (অব.) অলি আহমদের ভাগ্নিও রয়েছেন।
সোমবার (১৫ সেপ্টেম্বর) সকাল সাড়ে ১১টায় চন্দনাইশের দোহাজারী পৌরসভার সোনাই বটতল বাঁকে সিএনজিচালিত অটোরিকশার সঙ্গে যাত্রীবাহী বাসের মুখোমুখি সংঘর্ষে এ হতাহতের ঘটনা ঘটে।
নিহতরা হলেন- চন্দনাইশ পৌরসভার কারেজি পাড়ার বাসিন্দা ফাতেমা বেগম (৭৫), তার পুত্রবধূ শামিমা আকতার (৪২) ও মো. শরিফ (২৬)। ফাতেমা বেগম এলডিপির চেয়ারম্যান সাবেক মন্ত্রী কর্নেল অলি আহমদের ভাগ্নি। তাঁরা দোহাজারী থেকে অটোরিকশায় চন্দনাইশ পৌরসভাস্থ নিজ বাড়িতে ফিরছিলেন। নিহত মো. শরিফ ওষুধ কোম্পানি অপসোনিনের বিক্রয় প্রতিনিধি এবং তিনি ময়মনসিংহ জেলার বাসিন্দা। গুরুতর আহতরা হলেন-অটোরিকশা চালক মাহবুব, জুকুম বাহার, জাকের হোসেন, মারুফ, পলাশ, রহিম ও বেবি আকতার।
প্রত্যক্ষদর্শী মহিউদ্দিন জানান, কক্সবাজার থেকে আসা চট্টগ্রাম নগরী অভিমুখী ঈগল পরিবহনের (চট্টগ্রাম-জ-১১-০১২০) বাস ও বিপরীতমুখী দুইটি অটোরিকশার মধ্যে সংঘর্ষ হয়। এতে অটোরিকশা দুটি দুমড়ে-মুচড়ে যায়। সেখানে থাকা কমপক্ষে আট থেকে ১০ জন আহত হন। আহতদের মধ্যে ফাতেমা ও শামিমাকে স্থানীয় বিজিসি ট্রাস্ট মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়ার পর কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। আহত আরও পাঁচজনকে সেখান থেকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়। আর ওষুধ কোম্পানি অপসোনিনের বিক্রয় প্রতিনিধি শরিফকে গুরুতর আহত অবস্থায় চমেক হাসপাতালে নেওয়ার পথে মারা যান।
দোহাজারী হাইওয়ে থানার সার্জেন্ট মোহাম্মদ জিয়া বলেন, ‘ঈগল পরিবহনের একটি যাত্রীবাহী বাসের সঙ্গে দুটি সিএনজিচালিত অটোরিকশার সংঘর্ষ হয়। এতে অটোরিকশাগুলোর যাত্রীরা গুরুতর আহত হন। তাদের মধ্যে দুজন নারীসহ ৩ জন মারা যান।’
সালাউদ্দিন/সাএ
সর্বশেষ খবর