
ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পারিবারিকভাবে সেনাবিদ্বেষী ছিলেন বলে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালকে জানিয়েছেন দৈনিক আমার দেশ পত্রিকার সম্পাদক মাহমুদুর রহমান। তিনি বলেন, ‘ক্ষমতাচ্যুত সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ক্ষমতায় আনতে ২০০৮ সালের ফেব্রুয়ারিতে সাবেক সেনাপ্রধান মঈন ইউ আহমেদের সঙ্গে ভারতের সাবেক রাষ্ট্রপতি প্রণব মুখার্জি প্রস্তাব দিয়েছিলেন।’
সোমবার (১৫ সেপ্টেম্বর) জুলাই-আগস্টে সংঘটিত মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় শেখ হাসিনাসহ তিনজনের বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে তিনি এসব কথা বলেন। এদিন ট্রাইব্যুনালের চেয়ারম্যান বিচারপতি গোলাম মর্তুজা মজুমদারের নেতৃত্বে তিন সদস্যের বেঞ্চে এ সাক্ষ্যগ্রহণ শুরু হয়।
৪৬তম সাক্ষ্যে মাহমুদুর রহমান ট্রাইব্যুনালকে বলেন, ‘সাবেক সেনাপ্রধান মঈন ইউ আহমেদকে ভারতের তৎকালীন রাষ্ট্রপতি প্রণব মুখার্জি শেখ হাসিনাকে পুনরায় প্রধানমন্ত্রী করার প্রস্তাব দেন। সঙ্গে চাকরির নিশ্চয়তা, অর্থনৈতিক সুবিধা ও সেফ এক্সিটের প্রস্তাবও দেন।
মাহমুদুর রহমান বলেন, ‘সেনাবাহিনীকে দুর্বল করতেই বিডিআর বিদ্রোহে ৫৭জন সেনা কর্মকর্তাকে হত্যা করা হয়। প্রমাণ থাকলেও বিচার হয়নি শেখ ফজলে নূর তাপসের।
বিচার বিভাগকে কুক্ষিগত করে সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে ক্যান্টনমেন্টের বাড়ি থেকে উচ্ছেদ করা হয়। তথাকথিত গণজাগরণ মঞ্চের আন্দোলনের মাধ্যমে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের রায় পরিবর্তন করে কাদের মোল্লাকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড থেকে মৃত্যুদণ্ড দিয়ে ফাঁসি দেওয়া হয়।’
সাক্ষ্যগ্রহণের এক পর্যায়ে মাহমুদুর রহমান ট্রাইব্যুনালকে বলেন, ‘শাপলা চত্বরের গণহত্যার পুরস্কারস্বরূপ বেনজীর আহমেদকে আইজিপি ও জিয়াউল আহসানকে মেজর জেনারেল ও আজিজ আহমেদকে পদোন্নতি দেওয়া হয়।’
আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১-এর চেয়ারম্যান বিচারপতি গোলাম মর্তুজা মজুমদারের নেতৃত্বাধীন তিন সদস্যের ট্রাইব্যুনালে আলোচিত এ মামলায় আগামীকাল মঙ্গলবার সাক্ষ্য দেবেন জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম।
রার/সা.এ
সর্বশেষ খবর