
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদের (ডাকসু) সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও নিষিদ্ধ ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক গোলাম রাব্বানীর এমফিল ভর্তি জালিয়াতির মাধ্যমে সম্পন্ন হয়েছিল বলে তদন্ত কমিটি প্রমাণ পেয়েছে। এর ভিত্তিতে বিশ্ববিদ্যালয়ের সিন্ডিকেট তার ভর্তি সাময়িকভাবে বাতিল করেছে। বৈধ ছাত্রত্ব না থাকায় ২০১৯ সালের ডাকসু নির্বাচনে তার প্রার্থীতাকে অবৈধ ঘোষণার সুপারিশ করেছে কমিটি।
মঙ্গলবার (১৬ সেপ্টেম্বর) রাতে বিডি২৪লাইভকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর সহযোগী অধ্যাপক ড. সাইফুদ্দিন আহমেদ। তিনি জানান, ভর্তি প্রক্রিয়ায় একাধিক অনিয়ম ধরা পড়ায় সিন্ডিকেট তদন্ত কমিটির সুপারিশ গ্রহণ করে বিষয়টি একাডেমিক কাউন্সিলে পাঠিয়েছে।
এদিকে তদন্ত প্রতিবেদনে বলা হয়, ডাকসু ও হল সংসদ নির্বাচন ২০১৯ এ ভোট কারচুপি, কেন্দ্র দখল, অনাবাসিক শিক্ষার্থীদের ভোটে বাধা এবং অবৈধভাবে ভর্তি হয়ে নির্বাচনে অংশ নেওয়ার মতো ঘটনা ঘটেছে। কমিটি নিশ্চিত হয়েছে যে ক্রিমিনোলজি বিভাগের গোলাম রাব্বানীসহ তিনজনের এমফিল ভর্তি সম্পূর্ণ অবৈধ ছিল। তাই রাব্বানীর জিএস নির্বাচিত হওয়া অবৈধ ঘোষণা করার জোর সুপারিশ করা হয়েছে।
ভুক্তভোগী প্রার্থী ও বর্তমান গণঅধিকার পরিষদের সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ রাশেদ খান বলেন, আমি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনকে ধন্যবাদ জানাই যে, তারা গুরুত্বের সহিত আমার অভিযোগ বিবেচনা করেছে। গোলাম রাব্বানী শিক্ষার্থীদের ভোটে জিএস নির্বাচিত হয়নি। তৎকালীন প্রশাসন ফলাফল ছিনতাই করে রাব্বানীকে জিএস ঘোষণা করে। দীর্ঘসময় পরে হলেও আমি ন্যায়বিচার পেতে যাচ্ছি। এতোটুকুতেই আমার তৃপ্তি যে, বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন প্রমাণ পেয়েছে 'গোলাম রাব্বানীর জিএস নির্বাচিত হওয়া অবৈধ ছিলো।
সর্বশেষ খবর
ক্যাম্পাস এর সর্বশেষ খবর