চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (চাকসু) নির্বাচনে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল পূর্ণাঙ্গ প্যানেল ঘোষণা করেছে। বুধবার (১৭ সেপ্টেম্বর) বিকেলে এক আনুষ্ঠানিক ঘোষণার মাধ্যমে তালিকাটি প্রকাশ করেন সংগঠনটির কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক নাসির উদ্দিন নাসির। শীর্ষ তিন পদে ভিন্ন তিন সেশনের প্রার্থী মনোনয়ন দিয়ে ছাত্রদল এবারের নির্বাচনে শিক্ষার্থীদের মাঝে আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে এসেছে।
প্যানেলে সহ-সভাপতি (ভিপি) পদে মনোনীত হয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রদলের সাংগঠনিক সম্পাদক ও ১৫–১৬ সেশনের শিক্ষার্থী সাজ্জাদ হোসেন হৃদয়। সাধারণ সম্পাদক (জিএস) পদে রয়েছেন স্পোর্টস সাইন্স বিভাগের ১৭–১৮ সেশনের শিক্ষার্থী মো. শাফায়াত হোসেন। অন্যদিকে সহ সাধারণ সম্পাদক (এজিএস) পদে লড়বেন ইসলামের ইতিহাস বিভাগের ২০–২১ সেশনের শিক্ষার্থী আইয়ুবুর রহমান তৌফিক।
শিক্ষার্থীদের মতে, সিনিয়র, মধ্যম ও নবীন—এই তিন প্রজন্মের সমন্বয়ে নেতৃত্ব গড়ে তোলার মধ্য দিয়ে ছাত্রদল একটি ভারসাম্যপূর্ণ টিম দাঁড় করিয়েছে।
শীর্ষ পদগুলোর বাইরে প্যানেলে বিভিন্ন সম্পাদকীয় দায়িত্ব পেয়েছেন আরও অনেকে। খেলাধুলা ও ক্রীড়া সম্পাদক হিসেবে আছেন আজহারুল ইসলাম বিপস্নব, সহ সম্পাদক জয় বড়ুয়া। সাহিত্য, সংস্কৃতি ও প্রকাশনা সম্পাদক হয়েছেন মো. মোজাম্মেল হক হৃদয় এবং সহ সম্পাদক শহীদুল কায়সার। দপ্তর সম্পাদক হিসেবে আছেন তৌহিদুল ইসলাম ভূইয়া, সহ দপ্তর সম্পাদক শাহরিয়ার উল্লাহ ফাহাদ। ছাত্রী কল্যাণ সম্পাদক মনোনীত হয়েছেন নুজহাত জাহান, সহ সম্পাদক শাফকাত শফিক। বিজ্ঞান ও তথ্য প্রযুক্তি সম্পাদক হয়েছেন মো. ওজায়ের হোসেন, গবেষণা ও উন্নয়ন সম্পাদক ফাইরুজ সাদাফ দ্বীপ।
এছাড়া সমাজসেবা ও পরিবেশ সম্পাদক হয়েছেন ইমাম হাসান, স্বাস্থ্য সম্পাদক মোহাম্মদ আবরার গালিব, মুক্তিযুদ্ধ ও গণতান্ত্রিক আন্দোলন সম্পাদক শাহরিয়ার লিমন। ক্যারিয়ার ডেভেলপমেন্ট ও আন্তর্জাতিক সম্পাদক হিসেবে আছেন শ্রুতিরাজ চৌধুরী, যোগাযোগ ও আবাসন সম্পাদক মো. সায়েম উদ্দিন আহমেদ এবং সহ সম্পাদক ইয়াসিন আরাফাত। আইন ও মানবাধিকার সম্পাদক হয়েছেন আব্দুল্লাহ আল সাকিব, পাঠাগার ও ক্যাফেটেরিয়া সম্পাদক মো. জাবেদ।
প্যানেলে সদস্য পদে আছেন ফয়সাল প্রান্ত বাবর, মিজান মিয়া, নুসরাত জাহান, এস এম তরিকুল ইসলাম রিমন ও তায়েফ হোসেন ইমন।
১৯৬৬ সালে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার পর মোট ছয়টি চাকসু নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে। ১৯৭০ সালে চাকসুর প্রথম নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। এরপর ১৯৭২, ১৯৭৪, ১৯৭৯, ১৯৮১ সালে এবং ১৯৯০ সালের ৮ ফেব্রুয়ারি সর্বশেষ চাকসু নির্বাচন হয়।
১৯৮১ সালে ভিপি পদে জসীম উদ্দিন সরকার ও জিএস পদে আব্দুল গাফফারসহ ছাত্রশিবিরের পূর্ণ প্যানেল জয়ী হয়। এরপর ১৯৯০ সালের সর্বশেষ নির্বাচনে তৎকালীন জাতীয় ছাত্রলীগের নেতা নাজিম উদ্দিন (ভিপি), আজিম উদ্দিন (জিএস) ও ছাত্রদলের মাহবুবুর রহমান শামীম (এজিএস) নির্বাচিত হয়েছিলেন। কিন্তু নির্বাচনকে কেন্দ্র করে ১৯৯০ সালের ডিসেম্বরে সর্বদলীয় ছাত্রঐক্যের নেতা ফারুকুজ্জামান নিহত হলে চাকসুর কার্যক্রম বন্ধ করে দেওয়া হয়। এরপর গত ৩৫ বছরে আর চাকসু নির্বাচন হয়নি।
কুশল/সাএ
সর্বশেষ খবর