
পা দিয়ে লিখে উচ্চমাধ্যমিক পাশ করলেও এনআইডি মিলছে না জীবন যুদ্ধে অদম্য জসিমের ভাগ্যে। জন্ম থেকেই দুটি হাত নেই, পা দিয়েই চলছে লেখাপড়া ও দৈনন্দিন কাজকর্ম। নিয়মিত পড়াশোনার পাশাপাশি করছে ব্যবসা। কখনও ফলের ব্যবসা আবার কখনও কাঁচামালের ব্যবসা। বলছিলাম জীবন যুদ্ধে অদম্য এক যুবক জসিম মাতুব্বরের(২৫) কথা। জসিম ফরিদপুরের নগরকান্দা উপজেলার তামলা ইউনিয়নের কদমতলী গ্রামের হানিফ মাতুব্বরের ছেলে। হাত নেই, তবুও পা দিয়ে লিখেই পড়াশোনা করছে অদম্য এই যুবক। সাফল্যের সাথে মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিকের গণ্ডি পেরিয়ে জসিম এখন ফরিদপুর সরকারি রাজেন্দ্র কলেজে ডিগ্রী দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী।
অদম্য জসিম ২০১৬ একটি ভ্যানগাড়ি এবং ২০২২ সালে ৬০ হাজার পুরস্কার পান তৎকালীন জেলা প্রশাসকের কাছ থেকে। যা জসিমের জীবন চলার পথকে আরও বেগবান করে। হাত না থাকায় কোথাও না আটকালেও এবার আটকে দিলো নগরকান্দা নির্বাচন অফিসের কর্মকর্তাগণ। বাবা মায়ের জাতীয় পরিচয়পত্র এবং নিজের জন্মনিবন্ধন থাকলেও দ্বারে দ্বারে ঘুরছে জাতীয় পরিচয়পত্রের জন্য। কিন্তু হাত না থাকায় আঙুলের ছাপ দিতে পারছে না জসিম।
এবিষয়ে ভুক্তভোগী জসিম অভিযোগ করে বলেন, আমার দুটি হাত নেই, পা দিয়ে লিখে এইচএসসি পাস করেছি। এখন আমি ডিগ্রি দ্বিতীয় বর্ষে পড়াশোনা করি। অনেক সময় কলেজের কাজে আমার এনআইডি কার্ডের দরকার হয়। আমি অনেকবার দরখাস্ত করেছি এনআইডি কার্ডের জন্য। কিন্তু হাত নেই বলে আঙুলের ছাপ দিতে পারছি না। এই কারণে নাকি এনআইডি কার্ড হচ্ছে না।
২০২৩ সাল থেকে নির্বাচন অফিসে ঘুরতেছি কোন কাজ হয়নি। তাঁরা আমাকে বলেছিলো অনলাইনে আবেদন করতে, একাধিকবার আবেদন ও জমা দিয়েছি কিন্তু কাজ হয়নি। এখন আর যাই না, হাল ছেড়ে দিয়েছি।
নগরকান্দা উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা(ভারপ্রাপ্ত) শাওন সাগর জানান, আমি ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা হিসেবে কিছুদিন পূর্বে দায়িত্ব গ্রহণ করেছি। যেহেতু ছেলেটির শারীরিক প্রতিবন্ধকতা আছে, কাজেই তার এনআইডি কার্ডটি করে দিতে যতোটুকু যা করা যায় সর্বোচ্চটুকু আমি করবো।
এবিষয়ে নগরকান্দা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) দবির উদ্দিন জানান, বিষয়টি আমার ভালো জানা নেই। এবিষয়ে নির্বাচন কর্মকর্তার সাথে কথা বলে পরে বিস্তারিত জানাতে পারবো।
কুশল/সাএ
সর্বশেষ খবর
জেলার খবর এর সর্বশেষ খবর