• ঢাকা
  • ঢাকা, মঙ্গলবার, ২৩ সেপ্টেম্বর, ২০২৫
  • শেষ আপডেট ৭ মিনিট পূর্বে
এম. সুরুজ্জামান
শেরপুর প্রতিনিধি
প্রকাশিত : ২৩ সেপ্টেম্বর, ২০২৫, ০৭:৪৫ বিকাল

নালিতাবাড়ীতে পাহাড়ি ঢলে সেতু ভেঙে যাওয়ায় ভোগান্তিতে শত শত মানুষ

ছবি: প্রতিনিধি, বিডি২৪লাইভ

শেরপুরের নালিতাবাড়ী উপজেলার ১নং পোড়াগাঁও ইউনিয়নের আমবাগান বাজার সংলগ্ন চেল্লাখালী নদীর ওপর নির্মিত মিনি স্টিল ব্রিজটি গত বছর পাহাড়ি ঢলে ভেঙে পড়ায় নদী পারাপারে এলাকার কয়েকটি গ্রামের শত শত মানুষের দুর্ভোগ বেড়েছে।

বর্ষাকালে এখন একমাত্র বাহন হচ্ছে রশিটানা নৌকা। আমবাগান বাজার থেকে একটু পশ্চিম দিকে চেল্লাখালী নদীর বাতকুচি ঘাটে কয়েক বছর আগে নদী পারাপারের জন্য একটি মিনি স্টিল ব্রিজ নির্মাণ করা হয়েছিল। গত বছরের ভয়াবহ বন্যায় ওই স্টিলের ব্রিজটি ভেসে যাওয়ায় আমবাগান বাজার থেকে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে রয়েছে এই ইউনিয়নের সাথে সংযুক্ত বাকি গ্রামগুলো। এতে চরম দুর্ভোগে পড়েছেন নদী তীরবর্তী কয়েক গ্রামের শত শত মানুষ।

নালিতাবাড়ী উপজেলার ১নং পোড়াগাঁও ইউনিয়নের বুক চিরে বয়ে গেছে উজান থেকে নেমে আসা খরস্রোতা পাহাড়ি চেল্লাখালী নদী। বর্তমানে এই নদী পারাপারে রশিটানা নৌকাই যেন তাদের একমাত্র ভরসা। নদী পার হলেই শুরু হয় পোড়াগাঁও ইউনিয়নের বাতকুচি, টিলাপাড়া, লক্ষিকুড়া, মেষকুড়া, তোয়ালকুচি, ছাইচাকুড়া, ধোপাকুড়া গ্রাম ও ইউনিয়ন পরিষদ কমপ্লেক্স।

এ সকল গ্রামের মানুষকে বাতকুচি ঘাটে রশিটানা নৌকা দিয়ে প্রতিদিন যেতে হয় স্থানীয় হাটবাজার কিংবা উপজেলা সদরে। স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থীদেরও এভাবেই পারাপার হতে হয়। আর পুলিশ, ফায়ার সার্ভিস কিংবা উপজেলা প্রশাসনের কোনো গাড়ি বিশেষ প্রয়োজনে ওই এলাকায় যাওয়ার প্রয়োজন হলে বারোমারী বাজার কিংবা নন্নী এলাকা দিয়ে অতিরিক্ত ৮ থেকে ১০ কিলোমিটার পথ ঘুরে যেতে হয়। পাহাড়ি ঢলে মিনি স্টিল ব্রিজ ভেসে যাওয়ার এক বছর পার হয়ে গেলেও নতুন সেতু নির্মাণে নেই কোনো উদ্যোগ। তাই দুর্ভোগ কমছে না ওই এলাকার বাসিন্দাদের।

সরেজমিনে দেখা গেছে, রশিটানা নৌকায় জনপ্রতি ৫ টাকা দিয়ে নদী পারাপার হচ্ছেন স্থানীয়রা। নৌকায় ওঠার জন্য কোনো অবকাঠামো না থাকায় বৃদ্ধ, স্কুল পড়ুয়া শিক্ষার্থী ও মহিলারা নৌকায় ওঠার সময় দুর্ঘটনার শিকার হচ্ছেন। ফলে মানুষের যাতায়াত বিড়ম্বনা বেড়ে গেছে অনেকটা।

স্থানীয় বাসিন্দা বীর মুক্তিযোদ্ধা আছমত আলী বলেন, ‘ব্রিজটি ভেসে গেছে এক বছর হলেও কেউ এখনো খোঁজ নিতে আসেনি। ছেলেমেয়েদের স্কুলে যেতে খুব কষ্ট হয়। কেউ অসুস্থ হলে দ্রুত ডাক্তারের কাছেও নিয়ে যেতে পারি না। দ্রুত এই ব্রিজটি নির্মাণ করা না হলে আমাদের দুর্ভোগ কমবে না।’ একই এলাকার অবসরপ্রাপ্ত স্কুল শিক্ষক হাতেম আলী বলেন, ‘বাতকুচি ঘাট দিয়ে স্কুলে যাতায়াত করি। আগে একটা স্টিলের ব্রিজ ছিল। গত বন্যায় এটাও ভেসে গেছে। এখন চলাচল করতে কষ্ট হয়।’

১নং পোড়াগাঁও ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান মাওলানা মো. জামাল উদ্দিন জানান, এই ইউনিয়নের অধিকাংশ গ্রামই নদীর ওপারে। আমবাগান বাজার সংলগ্ন বাতকুচি ঘাটে নতুন করে সেতু নির্মাণ করা হলে এলাকার বাসিন্দাদের ব্যবসা-বাণিজ্যসহ স্কুল-কলেজের শিক্ষক ও ছাত্রছাত্রীদের আর অসুবিধা থাকবে না। চব্বিশের ভয়াবহ বন্যায় ক্ষতির তালিকায় এই সেতুর নাম উল্লেখ করে আমরা উপজেলায় জমা দিয়েছি।

এ ব্যাপারে নালিতাবাড়ী উপজেলা এলজিইডি এর প্রকৌশলী মো. গোলাম কিবরিয়া পিয়াল জানান, এলাকার মানুষের যাতায়াতের জন্য সেখানে একটি নতুন ব্রিজ নির্মাণ করা খুবই প্রয়োজন। আমরা ব্রিজটি নির্মাণের জন্য গ্রামীণ অবকাঠামো উন্নয়ন প্রকল্পের আওতায় অর্থ বরাদ্দ চেয়ে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে আবেদন করেছি। প্রকল্প অনুমোদন পেলে তা বাস্তবায়ন করে ব্রিজটি নির্মাণ করা হবে।

সালাউদ্দিন/সাএ

বিডি২৪লাইভ ডট কম’র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
পাঠকের মন্তব্য:

BD24LIVE.COM
bd24live.com is not only a online news portal. We are a family and work together for giving the better news around the world. We are here to give a nice and colorful media for Bangladesh and for the world. We are always going fast and get the live news from every each corner of the country. What ever the news we reached there and with our correspondents go there who are worked for bd24live.com.
BD24Live.com © ২০২০ | নিবন্ধন নং- ৩২
Developed by | EMPERORSOFT
এডিটর ইন চিফ: আমিরুল ইসলাম আসাদ
বাড়ি#৩৫/১০, রোড#১১, শেখেরটেক, ঢাকা ১২০৭
ই-মেইলঃ [email protected]
ফোনঃ (০২) ৫৮১৫৭৭৪৪
নিউজ রুমঃ ০৯৬০৩২০২৪৩৪
মফস্বল ডেস্কঃ ০১৫৫২৫৯২৫০২
বার্তা প্রধানঃ ০৯৬০৩১৫৭৭৪৪
ইমেইলঃ [email protected]