
ইতিহাসের বাঁকে বাঁকে ঐতিহাসিক ভুল জামায়াতে ইসলামীই করে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির সহ-আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক ব্যারিস্টার রুমিন ফারহানা। তিনি বলেছেন, শেখ হাসিনা যখন জাতীয় বেইমান হিসেবে পরিচিত হয়ে ১৯৮৬ সালে স্বৈরাচারকে ন্যায্যতা দিতে, বৈধতা দিতে নির্বাচন করেছিল, তখন শেখ হাসিনার সঙ্গে জামায়াতও নির্বাচনে অংশ নেয়। '৯৪-'৯৬ সাল পর্যন্তও জামায়াত আওয়ামী লীগের সঙ্গে দুর্বার আন্দোলন গড়ে তোলে বিএনপি সরকারকে বাধ্য করে সংবিধানে তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা আনতে।
সম্প্রতি একটি বেসরকারি টেলিভিশনের টক শোতে রুমিন ফারহানা এসব কথা বলেন।
বিএনপির এই নেত্রী বলেন, জামায়াতের আমির, নায়েবে আমির বা সেক্রেটারি জেনারেল যা বলেন, সেটা একেবারে গ্রামের কর্মী পর্যন্তও জানেন। আমি বহু জায়গায় বলেছি। নিজেরাও স্বীকার করেন— তারা অত্যন্ত সুশৃঙ্খল এবং দলের আনুগত্য ভীষণভাবে মেনে চলেন। একদম টপ লিডারশিপ যা বলবেন, সেটা একেবারে গ্রামের প্রত্যন্ত অঞ্চলের যিনি কর্মী তিনি সেটাকে অক্ষরে অক্ষরে মেনে চলবেন।
তার ভাষায়, সুতরাং যে আহ্বান জামায়াতের সর্বোচ্চ তরফ থেকে অভ্যুত্থানের পর পর এসেছে ‘আমরা আওয়ামী লীগকে ক্ষমা করে দিলাম’, গত এক বছর ধরে তাদের নেতাকর্মীরা সেই আহ্বানে সাড়া দিয়ে কাজকর্ম চালিয়ে গেছেন। সে কারণে ওনাদের কোনো সভা সমাবেশ থেকে যখন বক্তব্য আসে, তখন বক্তব্যের শেষে হঠাৎ করে কেউ কেউ বলে ফেলেন ‘জয় বাংলা’। মানে মুখ ফসকে বেরিয়ে যায়। দীর্ঘদিনের অভ্যাস তো মুখ ফসকে বেরিয়ে যায়।
ছাত্রদল ও ছাত্রশিবির প্রসঙ্গে রুমিন ফারহানা বলেন, গত ১৫ বছর যখন ছাত্রদল ক্যাম্পাসে এক মুহূর্তের জন্যও ঢুকতে পারেনি, তখন শিবিরের নেতাকর্মীরা খুবই চমৎকারভাবে ছাত্রলীগের মধ্যে একীভূত হয়ে রাজনীতি করতে পেরেছে। প্রত্যেকটা হলে হলে শিবিরের কর্মীরা থাকতে পেরেছে, রাজনীতি করতে পেরেছে। তাদের মতো করে আওয়ামী লীগের সঙ্গে মিশে গিয়ে ক্যাম্পাসে একটা দখলও রাখতে পেরেছে। শিবিরের এই রাজনীতি করার একটা সুফল তারা ডাকসু ও জাকসু নির্বাচনে পেয়েছে।
বাঁধন/সিইচা/সাএ
সর্বশেষ খবর