মৌলভীবাজার বিজিবি-৫২ ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লে. কর্নেল মোহাম্মদ আরিফুল হক চৌধুরী বলেছেন, সীমান্ত থেকে ৮ কিলোমিটার পর্যন্ত এলাকায় বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ প্রত্যক্ষভাবে দায়িত্ব পালন করে। শুধু পূজাসংক্রান্ত বিষয়ই নয়, সাধারণ জনগণের যেকোনো সমস্যায়ও বিজিবি সরাসরি জড়িত থাকে।
তিনি জানান, দুর্গাপূজা উপলক্ষে ৫২ বিজিবির আওতাধীন তিনটি উপজেলায় বিয়ানীবাজারের গজুকাটা থেকে রাজকি পর্যন্ত মোট ১৫টি বিওপি রয়েছে। পূজার নিরাপত্তায় ব্যাটালিয়ন সদর দপ্তর ছাড়াও ৯টি টহল দল ও ৯টি প্লাটুন বিজিবি মোতায়েন থাকবে। পূজাসংশ্লিষ্ট টহল, নিরাপত্তা, পূজা কমিটিকে সহযোগিতাসহ সবকিছুতেই বিজিবি সক্রিয় থাকবে। পূজা শেষ না হওয়া পর্যন্ত এ কার্যক্রম অব্যাহত থাকবে।
এছাড়া পূজা উপলক্ষে বিজিবি একটি মনিটরিং সেল চালু করেছে। সেখানে যেকোনো সমস্যা, ইস্যু, হুমকি বা দুর্ঘটনা ঘটলে তাৎক্ষণিকভাবে জানানো যাবে। দ্রুততম সময়ে বিজিবির নিকটস্থ টহল দল সর্বোচ্চ সহায়তা দিতে প্রস্তুত থাকবে। সনাতন ধর্মাবলম্বীরা নির্বিঘ্ন ও আনন্দঘন পরিবেশে দুর্গোৎসব উদযাপন করতে পারেন—এজন্য অন্যান্য বাহিনীর সঙ্গে সমন্বয় করে সব ধরনের ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে।
রবিবার (২৮ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যায় মৌলভীবাজার জেলার জুড়ী উপজেলার গোয়ালবাড়ী ইউনিয়নের শিলুয়া চা বাগান পূজামণ্ডপ ও মন্দির পরিদর্শন শেষে পূজা উদযাপন কমিটির নেতৃবৃন্দ, স্বেচ্ছাসেবক, আনসার ও সাধারণ ভক্তদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে এসব কথা বলেন লে. কর্নেল আরিফুল হক। এ সময় তিনি পূজা উদযাপন কমিটির হাতে শারদীয় শুভেচ্ছা হিসেবে মিষ্টির প্যাকেট তুলে দেন এবং সার্বিক নিরাপত্তা বিষয়ে আলোচনা করেন।
এ সময় জুড়ী উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. সমরজিৎ সিংহ, গোয়ালবাড়ী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও উপজেলা বিএনপির সিনিয়র সহসভাপতি আব্দুল কাইয়ুম, জুড়ী প্রেসক্লাবের সভাপতি তানজীর আহমেদ রাসেল, সিনিয়র সহসভাপতি ইমরানুল ইসলাম, সাধারণ সম্পাদক সাইফুল ইসলাম সুমন, সাংগঠনিক সম্পাদক মনিরুল ইসলাম, সদস্য হারিছ মোহাম্মদ, সাংবাদিক আল আমিন, জুড়ী থানার এসআই মো. আল আমিন, স্থানীয় ইউপি সদস্য, পূজামণ্ডপ কমিটির নেতৃবৃন্দ, সাংবাদিকবৃন্দ ও এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন।
অধিনায়ক আরও জানান, ব্যাটালিয়নের আওতাধীন তিন উপজেলায় সীমান্তবর্তী ৫৫টি এবং ব্যাটালিয়ন সদর দপ্তরের দুই কিলোমিটারের মধ্যে আরও ৩টি মিলিয়ে মোট ৫৮টি পূজামণ্ডপের নিরাপত্তায় বিজিবি প্রত্যক্ষভাবে নিয়োজিত থাকবে। এছাড়া অন্যান্য প্রতিটি পূজামণ্ডপের নিরাপত্তায় পুলিশ, র্যাব, সেনাবাহিনী ও উপজেলা প্রশাসনের সঙ্গে সমন্বয় করে বিজিবি মাঠে কাজ করবে।
কুশল/সাএ
সর্বশেষ খবর