
গাইবান্ধা শিক্ষা প্রকৌশল অধিদপ্তরে তথ্য সংগ্রহ করতে গিয়ে এক নারী সাংবাদিক লাঞ্ছনার শিকার হয়েছেন। এ ঘটনায় নির্বাহী প্রকৌশলী মো. বেলাল আহমেদ ও উপ-সহকারী প্রকৌশলী শিশির চন্দ্র দেবনাথের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে।
বুধবার রাতে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন গাইবান্ধা সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শাহিনুর ইসলাম তালুকদার।
দৈনিক মুক্ত খবর পত্রিকার জেলা প্রতিনিধি দিশা আক্তার বাদী হয়ে গাইবান্ধা সদর থানায় মামলাটি দায়ের করেন।
এজাহারে উল্লেখ করা হয়, গত ২৪ সেপ্টেম্বর দুপুরে সংবাদকর্মী দিশা আক্তার তথ্য ও বিজ্ঞাপন সংগ্রহের জন্য শিক্ষা প্রকৌশল অধিদপ্তরে যান। তাঁর সঙ্গে ছিলেন আমাদের সময়ের জেলা প্রতিনিধি খায়রুল ইসলাম, দৈনিক বাঙালির কণ্ঠের শামীম রেজা ও দৈনিক ভোরের আওয়াজের আব্দুর মুনতাকিন জুয়েল।
সহকর্মীরা অন্যান্য কক্ষে গেলে দিশা আক্তার একা উপ-সহকারী প্রকৌশলী শিশির চন্দ্র দেবনাথের কক্ষে প্রবেশ করেন। নিজ পরিচয় দিয়ে তথ্য ও বিজ্ঞাপনের বিষয় বলতেই শিশির চন্দ্র ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠেন। এক পর্যায়ে তিনি দিশা আক্তারের ওপর চড়াও হয়ে অশ্লীল ভাষায় গালিগালাজ করেন এবং শারীরিকভাবে আক্রমণ চালান। এ সময় তিনি দিশা আক্তারের হাত থেকে স্মার্টফোনও কেড়ে নেন।
ঘটনার পর ৩০ সেপ্টেম্বর দিশা আক্তার সদর থানায় নির্বাহী প্রকৌশলী মো. বেলাল আহমেদ ও শিশির চন্দ্র দেবনাথকে আসামি করে মামলা করেন।
মামলায় অভিযুক্ত উপ-সহকারী প্রকৌশলী শিশির চন্দ্র দেবনাথ বলেন, “মামলার বিষয়ে কিছু জানি না, আমি ছুটিতে আছি।”
অপর অভিযুক্ত নির্বাহী প্রকৌশলী বেলাল আহমেদ বলেন, “মামলা হয়েছে, আমরাও ব্যবস্থা নেব।”
গাইবান্ধা সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শাহিনুর ইসলাম তালুকদার বলেন, “নারী সাংবাদিক দিশা আক্তারের করা অভিযোগ আমরা পেয়েছি। মামলাটি নথিভুক্ত করা হয়েছে (মামলা নং-৪৯)। তদন্তের মাধ্যমে পরবর্তী আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”
এদিকে ঘটনার পর গাইবান্ধা সাংবাদিক মহলে তীব্র প্রতিক্রিয়া দেখা দিয়েছে। নারী সাংবাদিকের ওপর হামলার ঘটনায় ক্ষোভ ও নিন্দার ঝড় উঠেছে।
সর্বশেষ খবর