• ঢাকা
  • ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ০২ অক্টোবর, ২০২৫
  • শেষ আপডেট ২ সেকেন্ড পূর্বে
মোঃ শাকিল শেখ
স্টাফ করেসপন্ডেন্ট (সাভার ও ধামরাই)
প্রকাশিত : ০২ অক্টোবর, ২০২৫, ১১:২০ রাত

আশুলিয়া নারী ও শিশু হাসপাতালে ভুল চিকিৎসায় শিশু মৃত্যুর অভিযোগ

ছবি: প্রতিনিধি, বিডি২৪লাইভ

সাভারের আশুলিয়ায় নারী ও শিশু হাসপাতালে ভুল চিকিৎসা ও নার্সদের অবহেলার কারণে মিনহাজ নামে দুই বছরের এক শিশুর মৃত্যু হয়েছে বলে অভিযোগ করেছে শিশুটির পরিবার। তবে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের দাবি, গলায় খাবার আটকে তার মৃত্যু হতে পারে।

বৃহস্পতিবার রাত ৯টার দিকে ওই শিশুর মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেন আশুলিয়া নারী ও শিশু হাসপাতালের সহকারী ব্যবস্থাপক মো. হাবীবুর রহমান।

মৃত শিশু মিনহাজ আশুলিয়ার জামগড়া কাঠালতলা এলাকার মো. নুরুল ইসলামের ছেলে।

পরিবার সূত্রে জানা যায়, বৃহস্পতিবার সকালে হালকা জ্বর ও কাশি নিয়ে ওই শিশুকে আশুলিয়া নারী ও শিশু হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। হাসপাতালে ভর্তি করার পরপরই শিশুটিকে একটি ইনজেকশন দেওয়া হয়। ইনজেকশন দেওয়ার কিছুক্ষণের মধ্যেই তার শারীরিক অবস্থার অবনতি হতে থাকে।

শিশুটির মা অভিযোগ করে বলেন, "আমার ছেলেকে একটি ইনজেকশন দেওয়ার পরই তার শরীর ঠাণ্ডা হয়ে যায়। আমি নার্সদের ডাকলেও তারা সময়মতো আসেনি। একপর্যায়ে তারা বলে, 'কিছু না, ঠিক হয়ে যাবে।' কিন্তু কিছুক্ষণ পরই আমার ছেলে নিস্তেজ হয়ে পড়ে।" তিনি আরও জানান, এর পর প্রায় কয়েক ঘণ্টা তার সন্তান কোথায় ছিল, তা হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ জানায়নি। পরে তিনি খুঁজে দেখেন, তার সন্তান মৃত।

পরিবারের দাবি, ইনজেকশন দেওয়ার আগে কোনো পরীক্ষা-নিরীক্ষা বা ওষুধের প্রতিক্রিয়া সম্পর্কে নিশ্চিত না হয়ে চিকিৎসা দেওয়া হয়েছিল।

শিশুটির চাচা বাঁধন ইসলাম মুঠোফোনে জানান, ডেঙ্গু পজিটিভ নিয়ে তার ভাতিজা মিনহাজকে আশুলিয়া নারী ও শিশু হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। কিন্তু দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে তার মৃত্যু হয়। তিনি বলেন, “আমরা তার লাশ নিয়ে গ্রামের বাড়ি রাণীশৈংকল যাচ্ছি। সেখানেই দাফন করা হবে।” বলেই তিনি ফোন কেটে দেন।

আশুলিয়া নারী ও শিশু হাসপাতালের সহকারী ব্যবস্থাপক হাবীবুর রহমান মুঠোফোনে জানান, শিশুটিকে সকাল ৯টার দিকে হাসপাতালে আনা হয়। এখানে চিকিৎসা দেওয়ার পর তার অবস্থা ভালোর দিকেই ছিল। সম্ভবত শিশুটিকে কোনো খাবার খাওয়ানো হয়েছিল, যা খাদ্যনালীতে আটকে যায় এবং পরে তার মৃত্যু হয়।

শিশুটিকে কেন ২/৩ ঘণ্টা অন্যত্র সরিয়ে রাখা হয়েছিল, এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, "এটা প্রশ্নই আসে না। একটি মৃতদেহ তো আর ওয়ার্ডে রাখা যায় না। তাই মারা গেলে যেখানে লাশ রাখা হয়, সেখানেই রাখা হয়েছিল।"

এ ব্যাপারে আশুলিয়া থানার ওসি মো. আব্দুল হান্নানের মুঠোফোনে বারবার চেষ্টা করেও তাকে পাওয়া যায়নি। তাই এ ঘটনায় প্রশাসনের কোনো বক্তব্য পাওয়া যায়নি।

বিডি২৪লাইভ ডট কম’র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
পাঠকের মন্তব্য:

BD24LIVE.COM
bd24live.com is not only a online news portal. We are a family and work together for giving the better news around the world. We are here to give a nice and colorful media for Bangladesh and for the world. We are always going fast and get the live news from every each corner of the country. What ever the news we reached there and with our correspondents go there who are worked for bd24live.com.
BD24Live.com © ২০২০ | নিবন্ধন নং- ৩২
Developed by | EMPERORSOFT
এডিটর ইন চিফ: আমিরুল ইসলাম আসাদ
বাড়ি#৩৫/১০, রোড#১১, শেখেরটেক, ঢাকা ১২০৭
ই-মেইলঃ info@bd24live.com
ফোনঃ (০২) ৫৮১৫৭৭৪৪
নিউজ রুমঃ ০৯৬০৩২০২৪৩৪
মফস্বল ডেস্কঃ ০১৫৫২৫৯২৫০২
বার্তা প্রধানঃ ০৯৬০৩১৫৭৭৪৪
ইমেইলঃ office.bd24live@gmail.com