
বাংলাদেশে স্বাধীন সাংবাদিকতা, সংবাদকর্মীদের নিরাপত্তা ও অধিকার রক্ষায় অন্যতম সংগঠন “সাংবাদিক নির্যাতন-প্রতিরোধ সেল বাংলাদেশ”-এর পরিচালক (প্রশাসন ও এডমিন) পদে নির্বাচিত হয়েছেন অভিজ্ঞ সাংবাদিক খাইরুল ইসলাম আল আমিন। দেশের বহুল প্রচারিত দৈনিক প্রতিদিনের কাগজে বর্তমানে তিনি প্রধান বার্তা সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। এর আগে একই পত্রিকায় বিশেষ প্রতিনিধি হিসেবে মাঠপর্যায়ে নিরলসভাবে সাংবাদিকতার দায়িত্ব পালন করেছেন।
খাইরুল ইসলাম আল আমিন শুধু পেশাগত দায়িত্ব পালন করেই থেমে থাকেননি; পেশাদারিত্ব, নিষ্ঠা ও সাহসিকতার জন্য সহকর্মীদের কাছে তিনি বিশেষভাবে পরিচিত। তার অবদানের স্বীকৃতিস্বরূপ ২০২৩ ও ২০২৪ সালে দৈনিক প্রতিদিনের কাগজ থেকে বর্ষসেরা সাংবাদিক (ক্রাইম ক্যাটাগরি) হিসেবে সম্মাননা পেয়েছেন। এই অর্জন শুধু তার ব্যক্তিগত সাফল্য নয়, বরং দেশের সাংবাদিক সমাজের জন্য অনুপ্রেরণার উৎস হিসেবে কাজ করছে।
তার সাংবাদিক জীবনের কর্মকাণ্ড শুধুমাত্র সংবাদ সংগ্রহে সীমাবদ্ধ নয়। তিনি “দুর্নীতি বার্তা” অনলাইন নিউজ পোর্টালের প্রকাশক হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেছেন। সামাজিক-সাংগঠনিক পর্যায়েও তিনি সক্রিয়; বাংলাদেশ অনলাইন সাংবাদিক কল্যাণ ইউনিয়ন (বসকো)-এর যুগ্ম মহাসচিব এবং বাংলাদেশ অনলাইন সংবাদপত্র সম্পাদক পরিষদ (বনেক)-এর সাংগঠনিক সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন। ফলে খাইরুল ইসলাম আল আমিনের কাজের পরিধি সংবাদপত্রের ভেতরে সীমাবদ্ধ না থেকে সাংবাদিকতার বিস্তৃত ক্ষেত্র ও সাংবাদিক স্বার্থরক্ষার লড়াইয়ে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে।
সাংবাদিক নির্যাতন-প্রতিরোধ সেল বাংলাদেশ সাংবাদিকদের ওপর নির্যাতন, হুমকি ও হয়রানি প্রতিরোধে সক্রিয় ভূমিকা পালন করবে। মাঠপর্যায়ে সত্য উদঘাটনের সময় সাংবাদিকরা নানা চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হন, এমনকি প্রাণনাশের ঝুঁকিতেও পড়েন। সংগঠনটি সাংবাদিকদের পাশে দাঁড়িয়ে ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠা এবং তাদের অধিকার রক্ষায় অগ্রণী ভূমিকা পালন করবে।
নির্বাচিত হওয়ার পর খাইরুল ইসলাম আল আমিন বলেন, “সাংবাদিকরা নিরপেক্ষ সংবাদ পরিবেশনের মাধ্যমে সমাজ ও রাষ্ট্রের কল্যাণে কাজ করেন। কিন্তু দুর্ভাগ্যজনকভাবে অনেক সময় তাদের জীবন নিরাপত্তা, পেশাগত স্বাধীনতা ও মৌলিক অধিকার হুমকির মুখে পড়ে। সাংবাদিক নির্যাতন-প্রতিরোধ সেল বাংলাদেশের দায়িত্ব আমার কাছে একটি বড় চ্যালেঞ্জ, তবে সম্মিলিত প্রচেষ্টার মাধ্যমে সাংবাদিকদের জন্য আরও নিরাপদ পরিবেশ তৈরি করা সম্ভব।”
তার সহকর্মীরা মনে করছেন, খাইরুল ইসলাম আল আমিনের অভিজ্ঞতা, আন্তরিকতা এবং নেতৃত্বের গুণাবলিতে সংগঠনটি আরও গতিশীল হবে। তিনি মাঠপর্যায়ের অভিজ্ঞ সাংবাদিক এবং সম্পাদকীয় দায়িত্বেও সফল, যার ফলে সাংবাদিক নির্যাতন প্রতিরোধ আন্দোলন আরও শক্তিশালী হবে।
সংগঠনটি দেশের বিভিন্ন জেলা ও উপজেলা থেকে নির্বাচিত সদস্যদের মাধ্যমে সাংবাদিকদের নিরাপত্তা, হুমকি, হয়রানি ও আইনি সহায়তা নিশ্চিত করবে। তারা সাংবাদিকদের অভিযোগ সংগ্রহ করে যথাযথ কর্তৃপক্ষের কাছে পৌঁছে দেবে। এছাড়া মানসিক সহায়তা, প্রশিক্ষণ এবং আইনি পরামর্শ প্রদান করার মাধ্যমে সাংবাদিক সমাজকে আরও শক্তিশালী করার পরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়েছে।
গত ৩০ সেপ্টেম্বর দৈনিক প্রতিদিনের ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক খায়রুল আলম রফিককে প্রধান করে দেশের সাংবাদিক সমাজের নিরাপত্তা ও অধিকার রক্ষায় ১০১ সদস্য বিশিষ্ট বাংলাদেশ সাংবাদিক নির্যাতন-প্রতিরোধ সেল গঠন করা হয়। খাইরুল ইসলাম আল আমিনের নেতৃত্বে এই সংগঠন দেশের সাংবাদিক সমাজের কল্যাণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে বলে আশা প্রকাশ করা হয়েছে।
তবে বর্তমান প্রেক্ষাপটের আলোকে সংগঠনটির কাজ কেবল নিয়মিত প্রশাসনিক দায়িত্ব পালনেই সীমাবদ্ধ নয়। সাংবাদিকরা কর্মক্ষেত্রে রাজনৈতিক চাপ, সামাজিক হুমকি এবং অনিশ্চয়তার মুখোমুখি থাকেন। সাংবাদিক নির্যাতন-প্রতিরোধ সেল বাংলাদেশ এই সব চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় কার্যকর ব্যবস্থা নেবে এবং সাংবাদিকদের জন্য নিরাপদ পরিবেশ তৈরি করবে। খাইরুল ইসলাম আল আমিনের নেতৃত্বে সাংবাদিক সমাজ স্বাধীন সাংবাদিকতার পথে এটি একটি নতুন অধ্যায় হিসেবে স্মরণীয় হয়ে থাকবে। তার দক্ষতা, সততা এবং অনন্য অভিজ্ঞতা সাংবাদিকদের অধিকার রক্ষায় সংগঠনটিকে শক্তিশালী করবে এবং দেশের সংবাদ পরিবেশকে আরও নিরাপদ ও স্বচ্ছ করবে বলে আশা করছে।
সর্বশেষ খবর