
রাজনৈতিক দলের সঙ্গে আঁতাত করে অনেক উপদেষ্টাই নিজের আখের গুছিয়েছেন। অনেক উপদেষ্টা ভেবে রেখেছেন সেফ এক্সিটের বিষয়েও। এমন অভিযোগ করেছেন অন্তর্বর্তী সরকারের সাবেক উপদেষ্টা ও জাতীয় নাগরিক পার্টির আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম।
তিনি আরও জানান, অন্তর্বর্তীকালীন সরকারে থাকা উপদেষ্টাদের অনেককে বিশ্বাস করাই ছিলো গণঅভ্যুত্থানের সবচেয়ে বড় ভুল।
৮ আগস্ট বঙ্গভবনের দরবার হলে শপথ গ্রহণের মাধ্যমে, নতুন বাংলাদেশের পথে যাত্রা শুরু করে অন্তর্বর্তী সরকার। বেশ কয়েকবার সংযোজন-বিয়োজনের পর উপদেষ্টা পরিষদের সবশেষ সংখ্যা দাঁড়ায় ২৩ জনে।
সরকার গঠনের ১ বছরেরও বেশি সময় পর, উপদেষ্টা পরিষদের সাবেক সদস্য ও এনসিপির আহ্বায়ক নাহিদ ইসলামের অভিযোগ- কয়েকজন উপদেষ্টাকে বিশ্বাস করে প্রতারণার স্বীকার হয়েছেন তারা। অভ্যুত্থানের প্রতি শ্রদ্ধাশীল না হয়ে উপদেষ্টাদের কেউ কেউ নিরাপদ প্রস্থান ভেবে রেখেছেন- এমন অভিযোগও করেন তিনি। আর অচিরেই তাদের নাম প্রকাশ করবেন বলে জানান নাহিদ ইসলাম।
জাতীয় নাগরিক পার্টির আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম বলেন, ‘অনেকেই বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের সঙ্গে লিয়াজু করে ফেলেছে। তারা সেইফ এক্সিটের কথা ভাবছে। তারা মনে করছে তাদের ক্ষমতায় টিকিয়ে রাখছে রাজনৈতিক দলগুলোর সাপোর্ট। এটাও সত্য যে রাজনৈতিক দলগুলো নানা বাধা দিয়েছে। তারা যদি দেশের জনগণের ওপর ভরসা করতো তাহলে উপদেষ্টাদের এ বিচ্যুতি হতো না।’
উপদেষ্টাদের নিয়োগের নেপথ্যে ছাত্র-জনতার অবদানই মুখ্য এমন কথা উল্লেখ করে নাহিদের অভিযোগ- কয়েকজন উপদেষ্টা তা ভুলে রাজনৈতিক দলের সাথে লিঁয়াজো করেছেন।
নাহিদ ইসলাম বলেন, ‘যারা উপদেষ্টা হয়েছেন তাদের অনেককেই বিশ্বাস করাটা আমাদের ভুল হয়েছিলো। আমাদের উচিত ছিলো ছাত্র নেতৃত্বকেই শক্তিশালী করা, সরকারে গেলে সম্মিলিতভাবে যাওয়া। নাগরিক সমাজ বা রাজনৈতিক দলগুলোর ওপর যে আস্থা আমরা রাখছিলাম সে জায়গায় আসলে আমরা প্রতারিত হয়েছি৷ অনেক উপদেষ্টা নিজেদের আখের গুছিয়েছে অথবা গণঅভ্যুত্থানের সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতা করেছে। সময় আসলে তাদের নামও আমরা উন্মুক্ত করবো।’
উপদেষ্টার আসনে ছাত্রনেতারা বসার সিদ্ধান্ত ভুল ছিলো কী-না এমন প্রশ্নের জবাবে নাহিদ বলেন- সরকারে ছাত্রদের উপস্থিতি না থাকলে এই সরকার ৩ মাসও টিকতে পারতো না।
নাহিদ ইসলাম আরও বলেন, ‘অভ্যুত্থানের শক্তি সরকারে না থাকলে এ সরকার তিন মাসও টিকতো না। এ সরকারকে উৎখাত করার, প্রতিবিপ্লব করার চেষ্টা চলমান ছিলো প্রথম ছয় মাস। এখনো আছে কিছুটা। যদি রাজনৈতিক দলগুলো সম্মত হয়ে নাগরিক সরকার করতো তাহলে কিন্তু ছাত্রদের কাঁধে এ দায়িত্ব আসতো না। সময়ের প্রয়োজনে এ দায়িত্ব আমাদের নিতে হয়েছিলো।’
সুশীল সমাজের প্রতিনিধিদের নিয়ে সরকার গঠন না করে, জাতীয় সরকার গঠন করলে আক্ষেপ তৈরি হতো না বলেও মন্তব্য করেন তিনি।
সালাউদ্দিন/সাএ
সর্বশেষ খবর