
চট্টগ্রামের কোতোয়ালি থানা এলাকায় জাল নোট দিয়ে মোবাইল কেনার অপরাধে মহিউদ্দিন আল আজাদ (৩০) নামে এক যুবকের ১৪ বছরের সশ্রম কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত।
রোববার (০৫ অক্টোবর) বেলা ১১টার দিকে চতুর্থ অতিরিক্ত চট্টগ্রাম মহানগর দায়রা জজ সিরাজাম মুনীরা এই রায় ঘোষণা করেন। আদালতের সরকারি কৌঁসুলি মোরশেদুর রহমান চৌধুরী রায়ের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। একই মামলায় অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় একজনকে খালাস দিয়েছেন আদালত।
দণ্ডিত মহিউদ্দিন আল আজাদ ওরফে মহিন খান (৩১) কক্সবাজারের পেকুয়া থানার বকশিয়া ঘোনা গ্রামের মৃত শামসুল আলমের সন্তান। তিনি নগরীর বন্দর থানার মুনির নগর ওয়ার্ডের আদর্শপাড়ায় থাকতেন। খালাসপ্রাপ্ত আসামি হলেন মো. জাকির শেখ।
আদালতের বেঞ্চ সহকারী ওমর ফুয়াদ জানান, ছয়জন সাক্ষীর সাক্ষ্যপ্রমাণে জাল নোটের মামলায় অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় আসামি মহিউদ্দিন আল আজাদ ওরফে মহিন খানকে ১৪ বছর সশ্রম কারাদণ্ড এবং ১ লাখ টাকা অর্থদণ্ড, অনাদায়ে আরও ৬ মাস বিনাশ্রম কারাদণ্ড দিয়েছেন ট্রাইব্যুনাল। রায় ঘোষণার সময় আসামি অনুপস্থিত ছিলেন এবং জামিনে গিয়ে পলাতক রয়েছেন। আদালত তার বিরুদ্ধে সাজা পরোয়ানা জারি করেছেন। অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় আসামি মো. জাকির শেখকে খালাস দিয়েছেন ট্রাইব্যুনাল।
আদালত সূত্রে জানা যায়, জালিয়াতির ঘটনাটি ঘটে ২০২০ সালের ২২ ডিসেম্বর। মুঠোফোনটি বিক্রি করেন যুক্তরাষ্ট্রের মেট্রোপলিটন স্টেট ইউনিভার্সিটির শিক্ষার্থী ফাহিম মোর্শেদ। দেশে বেড়াতে এসে তিনি নিজের ব্যবহৃত মুঠোফোনটি বিক্রির জন্য ফেসবুকে পোস্ট দিয়েছিলেন। তার পোস্ট দেখে মহিউদ্দিন আল আজাদ তার সঙ্গে যোগাযোগ করেন। এরপর সন্ধ্যা ৭টার দিকে নগরীর কোতোয়ালি থানার চন্দনপুরা ফেরদৌস টাওয়ারের নিচে রাস্তার ওপর আসামি মহিউদ্দিন আল আজাদ ফাহিম মোর্শেদের কাছ থেকে একটি স্যামসাং গ্যালাক্সি নোট ২০ আল্ট্রা মোবাইল কেনার সময় ৭৮ হাজার টাকার জাল নোট দেন। পরে ফাহিম টাকাগুলো তার মামা এবং মামলার বাদী মো. নিজাম উদ্দিনের কাছে রাখার জন্য দিলে তিনি হিসাব করার সময় বুঝতে পারেন যে টাকাগুলো জাল। এই ঘটনায় বাদী কোতোয়ালি থানায় মামলা দায়ের করেন।
তদন্তে জানা যায়, মহিউদ্দিন আল আজাদ জাল টাকা মো. জাকির শেখের কাছ থেকে সংগ্রহ করে দুজন পরস্পর যোগসাজশে তা ব্যবহার করেন। ২০২৩ সালের ১৫ জানুয়ারি দুই আসামির বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করে বিচার শুরুর আদেশ দেন বিচারক।
কুশল/সাএ
সর্বশেষ খবর