
আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে ভোটের মাঠে তৎপর জামায়াতের নারী কর্মীরা। রাজধানী ঢাকা থেকে শুরু করে গ্রামের পাড়া-মহল্লা পর্যন্ত জামায়াতের নারী শাখার নেতাকর্মীরা ব্যাপক তৎপরতা চালাচ্ছেন। নানা কৌশলে দলীয় ও ভোটের প্রচারণা করছেন তারা।
দাঁড়িপাল্লায় ভোট দিলে পরকালের মুক্তি মিলবে এমনটাও বলা হচ্ছে দলীয় বৈঠক বা প্রচারণা থেকে। কর্মসূচির বাইরে কোনো কোনো এলাকায় সরাসরি ভোটের প্রচারণা চালাচ্ছেন নারী কর্মীরা। তারা দলীয় প্রচারপত্র হাতে নিয়ে বাড়ি বাড়ি যাচ্ছেন। নিজেরা পর্দা মেনে প্রচারণা চালালেও নারীদের অভয় দিচ্ছেন ভবিষ্যতে জামায়াত ক্ষমতায় গেলে স্বাধীনভাবেই চলা যাবে। ওদিকে ভোটের সঙ্গে ধর্মীয় বিষয় জড়িতে প্রচারণা চালানোয় কেউ কেউ বিভ্রান্তও হচ্ছেন।
দেশের বেশ কয়েকটি জেলার ভিন্ন ভিন্ন নির্বাচনী এলাকা সরজমিন ঘুরে জামায়াতের নারী শাখার এই তৎপরতার তথ্য পেয়েছেন। এলাকা ঘুরে দেখা যায় জেলা, উপজেলা, ইউনিয়ন এবং ওয়ার্ড পর্যায় পর্যন্ত জামায়াতের মহিলা শাখার কমিটি রয়েছে। নিজ নিজ ইউনিটের কর্মীরা দলবেঁধে এলাকায় নির্বাচনী প্রচারণা চালাচ্ছেন। অংশ নিচ্ছেন দলীয় কর্মসূচিতেও। নির্বাচনী প্রচারণায় নানা কৌশল নেয়া হচ্ছে।
মিরপুরের পল্লবী থানা এলাকায় নারী রুকনদের নেতৃত্বে গ্রুপ ভিত্তিক প্রচারণা চালানো হচ্ছে। স্থানীয় একজন বাসিন্দা জানান, পূর্ব পরিচিত একজনের মাধ্যমে নারী নেত্রীরা দাওয়াত দিতে এসেছিলেন। তারা দলীয় কার্যক্রম নিয়ে কথা বলেন, একইসঙ্গে দলীয় প্রতীকে ভোট দেয়ার কথা বলেন। এখনই ভোটের প্রতিশ্রুতি দেয়া যাবে না এমনটা জানালে ভোটের আগে আবার আসবেন বলে চলে যান তারা।
গাজীপুরের কালিয়াকৈর উপজেলায় জামায়াতের মহিলা শাখার কমিটি রয়েছে। উপজেলার অধীনে ৯ ইউনিয়নেও মহিলা শাখার কমিটি আছে। এ ছাড়া কালিয়াকৈর পৌর জামায়াতের মহিলা শাখার কমিটি রয়েছে। পৌরসভার অধীনে ৯টি ওয়ার্ডেও কমিটি রয়েছে।
উপজেলা জামায়াতের সাধারণ সম্পাদক হারুন অর রশিদ বলেন, মহিলা শাখার কার্যক্রম অডিটোরিয়াম ভিত্তিক পর্দা মেনে অনুষ্ঠিত হয়। সেখানে অনুমতি সাপেক্ষে সাংবাদিকদের ছবি তুলতে পারেন ও মিডিয়া কাভারেজ করতে পারেন। সবগুলো শাখার দলীয় কার্যক্রম চলমান আছে।
সাজু/নিএ
সর্বশেষ খবর