ঠাকুরগাঁওয়ের রাণীশংকৈল উপজেলায় বাংলাদেশ হেলথ অ্যাসিস্ট্যান্ট অ্যাসোসিয়েশনের স্বাস্থ্য সহকারীরা ছয় দফা দাবিতে কর্মবিরতি পালন করেছেন। উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়ন থেকে সকল স্বাস্থ্য সহকারী এই কর্মসূচিতে অংশ নেন।

শনিবার দেশব্যাপী ঘোষিত কর্মসূচির অংশ হিসেবে রাণীশংকৈল উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের দেওয়ালে ব্যানার টাঙিয়ে এই কর্মবিরতি পালন করেন বাংলাদেশ হেলথ অ্যাসিস্ট্যান্ট অ্যাসোসিয়েশন রাণীশংকৈল উপজেলা শাখার সদস্যরা।

কর্মবিরতির ফলে টিকা নিতে আসা শিশুসন্তানদের ভোগান্তির শিকার হতে হয়। এতে টিকা না নিয়েই ফিরে যেতে হচ্ছে শিক্ষার্থীসহ অভিভাবকদের।

তাদের দাবির মধ্যে রয়েছে: বেতনবৈষম্য নিরসন, নিয়োগবিধি সংশোধন, শিক্ষাগত যোগ্যতায় স্নাতক ও বিজ্ঞান সংযোজন, ইন সার্ভিস ডিপ্লোমার মাধ্যমে ১১তম গ্রেডে প্রতিকরণ, টেকনিক্যাল পদমর্যাদা প্রদান এবং পদোন্নতির ক্ষেত্রে ধারাবাহিকভাবে উচ্চতর গ্রেড প্রদান।

স্বাস্থ্য সহকারীদের অভিযোগ, তারা দীর্ঘদিন ধরে বৈষম্যের শিকার হয়ে আসছেন। দীর্ঘদিন ধরে ন্যায্য দাবি বাস্তবায়নের জন্য আন্দোলন করেও কোনো সিদ্ধান্ত না পাওয়ায় তারা বাধ্য হয়ে কর্মবিরতিতে গেছেন। বাধ্য হয়ে তারা ১ অক্টোবর থেকে ইপিআইসহ সব কার্যক্রম বন্ধ রেখে অনির্দিষ্টকালের জন্য কর্মবিরতি পালন শুরু করেছেন। তারা দ্রুত ছয় দফা দাবি বাস্তবায়নের জন্য সরকারের প্রতি আহ্বান জানান এবং দাবি পূরণ না হওয়া পর্যন্ত কর্মবিরতি অব্যাহত রাখার ঘোষণা দেন।

রাণীশংকৈল উপজেলার বাংলাদেশ হেলথ অ্যাসিস্ট্যান্ট অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি তৈয়ব আলী ও সম্পাদক আশরাফুল ইসলাম বলেন, ছয় দফা দাবি বাস্তবায়ন না হওয়া পর্যন্ত কেন্দ্রীয় নির্দেশনা মোতাবেক আমাদের কর্মবিরতি অব্যাহত থাকবে। তারা দীর্ঘদিন ধরে পদোন্নতি কাঠামো বাস্তবায়ন, ন্যায্য বেতন স্কেল ও কাজের স্বীকৃতিসহ ছয় দাবি জানিয়ে আসছেন। কর্তৃপক্ষ বারবার আশ্বাস দিলেও তা বাস্তবায়ন হয়নি। এ কারণে তারা কর্মবিরতিতে যেতে বাধ্য হয়েছেন।

কুশল/সাএ