
সবার জীবনেই বন্ধু-বান্ধব আছে। বন্ধু-বান্ধব ছাড়া স্বাভাবিক জীবনযাপন সম্ভব নয়। একান্ত প্রয়োজন, সুখ-দুঃখের ভাগাভাগি, যেকোনো পরামর্শের জন্য জীবনে একজন বন্ধুর দরকার হয়।
বন্ধুত্ব করার ক্ষেত্রে আমরা সাত-পাঁচ খুব একটা ভাবি না। যেই পরিবেশে বসবাস করি সেখানেই মনের মিল আছে এমন এক বা একাধিক মানুষের সঙ্গে বন্ধুত্ব গড়ে উঠে। তবে সবাই নিজের মতো করে নিজের সার্কেলের ভালো মানুষটার সঙ্গে বন্ধুত্ব গড়ার চেষ্টা করেন।
বন্ধু নির্বাচনে ভালো বা মন্দের সঙ্গা একেকজনের কাছে একেক রকম হতে পারে। আমার কাছে ভালো মানুষটি অন্য কারো কাছে তেমন ভালো নাও হতে পারেন, আবার অন্য কারো সব থেকে ভালো বন্ধুটি আমার পছন্দের মানুষ নাও হতে পারেন।
পছন্দ, ভালো-মন্দ নির্বাচনের দিকটি ব্যক্তি ও রুচি ভেদে ভিন্ন হতে পারে—এটাই স্বাভাবিক। রুচি-বৈচিত্র্যের ভিন্নতার মাঝেও বন্ধু-নির্বাচনে কিছু বিষয় মেনে চলা উচিত এবং বন্ধু নির্বাচনের আগে বিষয়গুলো ভাবা উচিত।
বন্ধু নির্বাচনে যে দিকগুলো নিয়ে ভাবা উচিত চলুন তা জেনে নেই হাদিসের আলোকে—
হজরত আবু হুরায়রা রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত হাদিসে রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, প্রত্যেক মানুষ অভ্যাসগতভাবে বন্ধুর ধর্ম ও চালচলন অবলম্বন করে। তাই কেমন লোককে বন্ধু হিসেবে গ্ৰহণ করা হচ্ছে, তা আগেই ভেবে দেখা উচিত। (আবু দাউদ, হাদিস : ৪৮৩৩, তিরমিজি, হাদিস : ২৩৭৮)
অন্য হাদিসে রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, তোমাদের সর্বোৎকৃষ্ট সাথী সে— ১. যার সাক্ষাৎ তোমাদেরকে আল্লাহর কথা স্মরণ করিয়ে দেয়। ২. যার কথায় (শ্রবনে) ইলম (জ্ঞান) বৃদ্ধি পায়। ৩. যার কাজ-কর্ম তোমাদের আখিরাতের কথা স্মরণ করিয়ে দেয়। (ইমাম বুসিরি, ইতহাফুল খিয়ারাহ: ৮/১৬৩; হাদিসটির বিশুদ্ধতা যাচাই করা যায়নি, তবে অর্থের দিক থেকে কোনো সমস্যা নেই)
রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আরও বলেন, ‘মানুষ তার বন্ধুর চিন্তা-চেতনার উপর (প্রভাবিত হয়ে) থাকে। সুতরাং তোমাদের লক্ষ রাখা উচিত, সে কার সাথে বন্ধুত্ব স্থাপন করছে।’ (ইমাম আবু দাউদ, হাদিস : ৪৮৩৩; তিরমিজি, হাদিস : ২৩৭৮)
মুনতাসির/সাএ
সর্বশেষ খবর