
‘মা ইলিশ সংরক্ষণ অভিযান-২০২৫’ উপলক্ষ্যে উপকূলীয় অঞ্চলে জেলে ও মৎস্য ব্যবসায়ীদের মাঝে জনসচেতনতা বৃদ্ধিতে কাজ করছে কোস্ট গার্ড। বৃহস্পতিবার দুপুরে কোস্ট গার্ড পশ্চিম জোনের অপারেশন অফিসার লেফটেন্যান্ট কমান্ডার আবরার হাসান এ তথ্য জানান।
তিনি বলেন, প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকে বাংলাদেশ কোস্ট গার্ড দেশের সুবিশাল সমুদ্র, উপকূলীয় এবং নদী তীরবর্তী অঞ্চলের নিরাপত্তায় গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখে চলেছে। পাশাপাশি বাংলাদেশের মৎস্য সম্পদ রক্ষায় জাটকা নিধন প্রতিরোধ, মা ইলিশ সংরক্ষণ এবং সমুদ্রে মাছ ধরায় নিষেধাজ্ঞা চলাকালীন কঠোর নজরদারি ও প্রতিনিয়ত কোস্ট গার্ডের অভিযান অব্যাহত রয়েছে।
ইলিশ মাছের প্রজনন মৌসুম উপলক্ষ্যে ‘মা ইলিশ’ রক্ষার্থে ইলিশের প্রজনন ক্ষেত্র সংরক্ষণের উদ্দেশ্যে ‘মৎস্য সুরক্ষা ও সংরক্ষণ আইন-১৯৫০’ মোতাবেক ০৪ অক্টোবর থেকে ২৫ অক্টোবর ২০২৫ তারিখ পর্যন্ত মোট ২২ দিন ইলিশের প্রধান প্রজনন মৌসুমে সারাদেশে ইলিশের আহরণ, পরিবহন, মজুদ, বাজারজাতকরণ এবং ক্রয়-বিক্রয় নিষিদ্ধ থাকবে।
এ উপলক্ষ্যে মা ইলিশ সংরক্ষণ কার্যক্রম সফলভাবে বাস্তবায়নের লক্ষ্যে সবরকম ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে কোস্ট গার্ড পশ্চিম জোন। বিধিনিষেধ কার্যকর করতে নদী ও সমুদ্র উপকূলে গোয়েন্দা নজরদারি বৃদ্ধি এবং দিন-রাত ২৪ ঘণ্টা টহল কার্যক্রম পরিচালনা করা হচ্ছে। পাশাপাশি জেলেদের মাঝে সচেতনতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে মাইকিং, লিফলেট বিতরণ ও আলোচনা সভার আয়োজন এবং সকলকে আইন মেনে চলার আহ্বান জানানো হচ্ছে। একই সাথে জেলা প্রশাসন, মৎস্য বিভাগ, নৌবাহিনী, পুলিশ ও মা ইলিশ সংরক্ষণে সক্রিয় অন্যান্য সংস্থার সঙ্গে সমন্বিতভাবে অভিযান পরিচালনা করে আইনভঙ্গকারীদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়ার কার্যক্রম অব্যাহত রয়েছে। পাশাপাশি পার্শ্ববর্তী দেশের মাছ ধরার ট্রলার যেন বাংলাদেশের জলসীমায় প্রবেশ করে মৎস্য আহরণ করতে না পারে, সেজন্য বাংলাদেশ কোস্ট গার্ডের টহলরত জাহাজগুলো সর্বদা সতর্ক অবস্থানে থেকে দায়িত্ব পালন করছে।
এছাড়াও উপকূল ও সমুদ্রে যেকোনো প্রয়োজনে জরুরি সেবা নম্বর ১৬১১১-এ কল করলে অতিদ্রুত সহায়তা প্রদানের জন্য সর্বদা প্রস্তুত রয়েছে কোস্ট গার্ড।
তিনি আরও বলেন, বাংলাদেশ কোস্ট গার্ডের দায়িত্বাধীন উপকূলীয় ও নদী এলাকার মৎস্য অভয়াশ্রমগুলোতে মা ইলিশ রক্ষায় সার্বক্ষণিক টহল কার্যক্রম অব্যাহত থাকবে।
কুশল/সাএ
সর্বশেষ খবর