
রংপুরের বদরগঞ্জ উপজেলায় এক গর্ভবতী নারীকে মারধর করে রক্তপাতের ঘটনা ঘটেছে।গত (৯ অক্টোবর) রাতে বদরগঞ্জ থানায় পাঁচ জনের নাম উল্লেখ করে মামলা দায়ের করেন ভুক্তভোগী ওই নারী। উপজেলার কুতুবপুর ইউনিয়নের খিয়ারপাড়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। সেই মামলায় চারজনকে গ্রেফতার করেছে বদরগঞ্জ থানার পুলিশ।
গ্রেফতারকৃত আসামিরা হলেন- সামিউল ইসলাম সোহাগ (২৬), মোছা. সাহিনুর বেগম (৪২) ইয়াসমিন বেগম (১৯) ও সুইট মিয়া (১৯)।জামাল উদ্দিন (৫২) নামে একজন আত্মগোপনে রয়েছে।
জানা গেছে, ওই নারী ঢাকায় চাকরি করতেন। সেখানে পরিচয় হয় কুতুবপুর ইউনিয়নের সামিউল ইসলাম সোহাগের সঙ্গে। তাদের মাঝে প্রেমের সম্পর্ক হলে ৩ লাখ টাকার কাবিন নামায় বিয়ে হয়। ঢাকায় কিছু দিন চাকরি করার পর তার স্বামী সামিউল তাকে নিয়ে বাড়িতে চলে আসেন। কিছুদিন সংসার করার পর জীবন বাঁচানোর তাগিদে ঢাকা চলে যান ওই নারী।
সংসার চলাকালীন অবস্থায় ছয় মাসের গর্ভবতী হন ওই নারী। চাকরি করা অবস্থায় জানতে পারেন তার স্বামী দ্বিতীয় বিয়ে করেছেন। খবর পেয়ে স্বামীর বাড়িতে এলে ওই নারীকে বাড়িতে আটক রেখে দীর্ঘ সময় ধরে নির্যাতন করেন স্বামীসহ দ্বিতীয় স্ত্রীর পরিবারের লোকজন। ওই সময় গর্ভবতী নারীকে পরিত্যক্ত সিরিজে পয়জন ঢুকিয়ে হত্যার চেষ্টা করা হয়। দীর্ঘ সময় ধরে নারীকে নির্যাতনের কারণে ওই গর্ভবতী নারীর রক্তপাত হয়। পরে বদরগঞ্জ থানায় এসে পাঁচজনের নাম উল্লেখ করে মামলা দায়ের করেন।
বদরগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ওসি একেএম আতিকুর রহমান জানান, গর্ভবতী নারীকে মারধর করায় রক্তপাত হয়। ওই নারী থানায় এসে মামলা দায়ের করেছেন। সেই মামলায় চারজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। একজন পলাতক রয়েছে।
কুশল/সাএ
সর্বশেষ খবর
জেলার খবর এর সর্বশেষ খবর