
ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আসন ভাগাভাগি নিয়ে মিত্রদের সঙ্গে আলোচনা শুরু করেছে বিএনপি। ইতোমধ্যে যুগপৎ আন্দোলনে যুক্ত মিত্ররা ২১৭টি আসনে সম্ভাব্য প্রার্থীর তালিকা জমা দিয়েছে দলটির কাছে।
তবে এবার জামায়াতে ইসলামীর সঙ্গে জোট বা সমঝোতা করবে না দলটি। তাই অন্য মিত্র দলগুলোর নেতাদের নিজ আসনে জনপ্রিয়তা কেমন-সেই খোঁজ নিচ্ছে দলটির একাধিক টিম।
এর মধ্যে একাদশ জাতীয় নির্বাচনে শরিকদের (জামায়াত ছাড়া) ছাড় দেওয়া আসনগুলোর বেশির ভাগই এবারও ছাড় দেওয়া হতে পারে। কয়েকজনকে মৌখিকভাবে নিজ আসনে কাজ করার জন্য ইতোমধ্যে বিএনপির হাইকমান্ড থেকে বলা হয়েছে। তবে মিত্রদের মধ্যে যাদের এবার মনোনয়ন দেওয়া সম্ভব হবে না, তাদের সংসদের উচ্চকক্ষে মূল্যায়নের চেষ্টা করবে বিএনপি।
সর্বশেষ ২০১৮ সালের একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে শরিকদের ৫৮ আসনে ছাড় দিয়েছিল বিএনপি। এর মধ্যে জামায়াতে ইসলামীকে ২২ আসন ও অন্যদের ৩৬ আসন ছাড় দেয় দলটি।
সংশ্লিষ্ট সূত্র জানিয়েছে, মিত্রদের কয়টি আসন ছাড় দেবে বিএনপি তা চলতি মাসেই জানা যাবে। যাদের ছাড় দেবে তাদের বিএনপির হাইকমান্ড থেকে ‘সবুজ সংকেত’ দেওয়া হবে। পরবর্তী সময়ে নির্বাচনের তফশিল ঘোষণার পর প্রার্থী মনোনয়নের যথাযথ প্রক্রিয়া শেষে আনুষ্ঠানিকভাবে ঘোষণা করা হবে।
তবে সূত্র জানায়, মিত্ররা অনেক আসন চাইলেও বিএনপি তা দিতে পারবে না। কারণ এবার বিএনপির নিজেদের প্রার্থী অনেক। মিত্ররা বিএনপির ঘাঁটি হিসাবে পরিচিত আসন চাইলে নাও পেতে পারেন। আসন ভাগাভাগি নিয়ে মিত্রদের সঙ্গে বিএনপির মতবিরোধ হওয়ারও আশঙ্কা দেখছেন কেউ কেউ।
জানতে চাইলে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমদ বলেন, ‘সংসদ নির্বাচনে বিএনপি মিত্রদের কত আসন ছাড়বে, সেটা আলোচনা ও বিবেচনার বিষয়। আমরা এমন আসনেই শরিকদের প্রার্থী দেব, যেসব আসনে জয়লাভের বাস্তব সম্ভাবনা রয়েছে। আলোচনায় সেই দিকটিই আমরা গুরুত্ব দিচ্ছি।’
কুশল/সাএ
সর্বশেষ খবর
রাজনীতি এর সর্বশেষ খবর