
গাজা সিটিতে দুই বছরের রক্তক্ষয়ী যুদ্ধের অবসানের পর ধ্বংসস্তূপ সরাতে বুলডোজারগুলো কাজ শুরু করেছে। গাজার উত্তরাঞ্চলের বহু শহর ও নগরে ফেরার পথে রয়েছেন জোরপূর্বক বাস্তুচ্যুত হাজার হাজার ফিলিস্তিনি, যারা ধ্বংসপ্রাপ্ত ঘরবাড়ি ও ভগ্নস্মৃতি নিয়ে ফিরে আসছেন একসময়ের জীবন্ত শহরগুলোতে। খবর- আল জাজিরার।
ইসরায়েল ও হামাসের মধ্যে যুদ্ধবিরতি চুক্তি কার্যকর হওয়ায় ক্ষতিগ্রস্ত এলাকাগুলোতে উদ্ধার ও পুনর্গঠনের প্রাথমিক কাজ শুরু হয়েছে। ধ্বংসপ্রাপ্ত ভবনের ধ্বংসস্তূপ সরানো, রাস্তাঘাট পরিষ্কার ও জরুরি সহায়তা পৌঁছানোর কাজ চলছে সীমিত আকারে।
এদিকে, যুদ্ধবিরতি চুক্তি আরও মজবুত করতে মিশরের পর্যটননগর শার্ম আল-শেখে একটি গাজা যুদ্ধবিরতি সম্মেলনের প্রস্তুতি চলছে। এতে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প-এর উপস্থিত থাকার কথা রয়েছে বলে কূটনৈতিক সূত্র জানিয়েছে।
যুদ্ধবিরতির অংশ হিসেবে ইসরায়েল ইতোমধ্যে দুইটি কারাগারে ফিলিস্তিনি বন্দিদের স্থানান্তর শুরু করেছে। এই বন্দিদের মুক্তির বিনিময়ে গাজায় আটক **ইসরায়েলি বন্দিদেরও মুক্তি দেওয়া হবে**—এমনটাই রয়েছে চুক্তির শর্তে।
গাজার স্বাস্থ্য কর্তৃপক্ষের তথ্য অনুযায়ী, ২০২৩ সালের অক্টোবর থেকে ইসরায়েলের গাজা অভিযানে এখন পর্যন্ত অন্তত ৬৭,৬৮২ জন ফিলিস্তিনি নিহত ও ১,৭০,০৩৩ জন আহত হয়েছেন। অন্যদিকে, ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর হামাসের হামলায় ইসরায়েলে ১,১৩৯ জন নিহত এবং প্রায় ২০০ জনকে বন্দি করা হয়েছিল।
স্থানীয় বাসিন্দা ও উদ্ধারকর্মীরা বলছেন, ধ্বংসস্তূপের নিচে এখনও অজানা সংখ্যক মৃতদেহ পড়ে থাকতে পারে। পানীয় জল, বিদ্যুৎ ও আশ্রয়ের সংকটে গাজার মানুষের দুর্ভোগ এখনো চরমে। আন্তর্জাতিক সাহায্য সংস্থাগুলো মানবিক সহায়তা জোরদার করার আহ্বান জানাচ্ছে।
বিশ্লেষকদের মতে, এই যুদ্ধবিরতি স্থায়ী শান্তির পথে একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ হলেও, রাজনৈতিক সমাধান ছাড়া গাজায় স্থিতিশীলতা ফিরবে না।
সাজু/নিএ
সর্বশেষ খবর