
ইসরায়েলের হাতে জিম্মিদের হস্তান্তরের মুহূর্তে গাজায় ব্যাপকভাবে সশস্ত্র যোদ্ধা মোতায়েন করেছে হামাস। বিশ্লেষকদের মতে, এটি সংগঠনটির একটি “শক্তি প্রদর্শনের” কৌশল, যাতে যুদ্ধবিরতির পরও তাদের নিয়ন্ত্রণ ও সামরিক সক্ষমতা স্পষ্টভাবে তুলে ধরা যায়।
আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরা ও রয়টার্সের প্রতিবেদন অনুযায়ী, শনিবার বন্দি বিনিময় প্রক্রিয়া চলাকালে গাজার বিভিন্ন এলাকায় কালো পোশাক ও অস্ত্রসজ্জিত হামাস যোদ্ধাদের টহল দিতে দেখা যায়। তাদের হাতে সংগঠনের পতাকা এবং আধুনিক রাইফেল ছিল।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, জিম্মিদের হস্তান্তরের সময় গাজার রাস্তায় বিপুল সংখ্যক মানুষ হামাসের পতাকা হাতে জড়ো হয়ে উল্লাস প্রকাশ করেন। হামাসের সদস্যরা গাড়িবহর ও মোটরসাইকেল শোভাযাত্রার মাধ্যমে নিজেদের উপস্থিতি জানান দেন।
এক বিবৃতিতে হামাসের সামরিক শাখা ইজ্জেদিন আল–কাসসাম ব্রিগেড বলেছে, “আমাদের যোদ্ধারা এখনো গাজার প্রতিটি ইঞ্চিতে অবস্থান করছে। যুদ্ধবিরতি আমাদের আত্মসমর্পণ নয়, বরং জনগণের রক্ষার একটি মানবিক পদক্ষেপ।”
এদিকে, ইসরায়েলি নিরাপত্তা বিশ্লেষকরা বলছেন, বন্দি বিনিময়ের সময় হামাসের এ ধরনের প্রদর্শন মূলত রাজনৈতিক বার্তা বহন করছে—যুদ্ধের ক্ষয়ক্ষতি সত্ত্বেও তারা গাজায় তাদের প্রভাব অটুট রেখেছে, এমন ইঙ্গিতই দিচ্ছে সংগঠনটি।
মিসর ও কাতারের মধ্যস্থতায় সম্পন্ন সাম্প্রতিক যুদ্ধবিরতি চুক্তির আওতায় হামাস ধাপে ধাপে ইসরায়েলি জিম্মিদের মুক্তি দিচ্ছে, আর ইসরায়েল পশ্চিম তীরে ফিলিস্তিনি বন্দিদের ছেড়ে দিচ্ছে।
জাতিসংঘ জানিয়েছে, যুদ্ধবিরতি চলমান থাকায় গাজায় মানবিক সহায়তা কার্যক্রম কিছুটা গতিশীল হয়েছে। তবে উভয় পক্ষের মধ্যে উত্তেজনা এখনো পুরোপুরি কমেনি।
সাজু/নিএ
সর্বশেষ খবর
সারাবিশ্ব এর সর্বশেষ খবর