• ঢাকা
  • ঢাকা, সোমবার, ১০ নভেম্বর, ২০২৫
  • শেষ আপডেট ৩ মিনিট পূর্বে
প্রচ্ছদ / জাতীয় / বিস্তারিত
নিউজ ডেস্ক
বিডি২৪লাইভ, ঢাকা
প্রকাশিত : ১৪ অক্টোবর, ২০২৫, ১২:২৯ দুপুর

ত্বহার 'পরকীয়ার' সাফাই গেয়ে বিপাকে আইনুল হক কাসিমী

ফাইল ফটো

সম্প্রতি আলোচিত ধর্মীয় বক্তা আবু ত্বহা মুহাম্মদ আদনানের বিরুদ্ধে একাধিক অভিযোগ করেন তার দ্বিতীয় স্ত্রী সাবিকুন নাহার। 

নিজের ফেসবুক পেজে এক স্ট্যাটাসে তিনি দাবি করেন, ত্বহা আদনান বর্তমানে জারিন জাবিন নামে এক এয়ার হোস্টেসের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ সম্পর্কে জড়িয়েছেন। আমার বিছানায় বসে তার সঙ্গে প্রেম করেন। এই নারী নাকি ত্বহার কলেজ জীবনের পুরোনো প্রেমিকা। 

তখন পারিবারিক কারণে সম্পর্কটি বিয়ে পর্যন্ত গড়ায়নি। এবার তারা আবার যোগাযোগ শুরু করেছেন এবং নিয়মিত চ্যাট ও ফোনালাপে ব্যস্ত থাকেন। এমনকি রাজধানীর যিন্নুরাঈন সেন্টারে ঘণ্টার পর ঘণ্টা কথা বলা ও সাক্ষাতের কথাও তিনি উল্লেখ করেন। 

সাবিকুন নাহারের এই স্ট্যাটাসটি সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হলে তীব্র সমালোচনার মুখে পড়েন ত্বহা আদনান। বিমানবালার সঙ্গে ত্বহার সম্পর্ককে অনেকেই ‘পরকীয়া’ বলে অভিমত দিয়ে তার শাস্তি দাবি করেন। এছাড়া তার ‘বিবাহবহির্ভূত’ সম্পর্কের খবরে আলেম সমাজ বিব্রত। কেউ কেউ বলছেন, ত্বহার এমন কাণ্ডে আলেমদের প্রতি মানুষের আস্থা হারাবে। 

ত্বহার বিরুদ্ধে সমালোচনার রেশ কাটতে না কাটতেই গতকাল রোববার উলটো আদনানের পক্ষে সাফাই গেয়ে ফেসবুকে একটি দীর্ঘ স্ট্যাটাস দেন লেখক আইনুল হক কাসিমী। ভারতের দারুল উলুম দেওবন্দ মাদ্রাসায় লেখাপড়া করা এই লেখকের উল্লেখযোগ্য বইয়ের মধ্যে রয়েছে- ‘সালাফদের হৃদয়ে রাসুলপ্রেম’, ‘নবি-রাসুলগণের হিজরতের ইতিহাস’ ও ‘গাইরত’। 

আইনুল হকের ভাষ্য, ত্বহা আদনানের দ্বিতীয় স্ত্রী সাবিকুন নাহারের অভিযোগ সত্য হলেও এটা জনসম্মুখে প্রকাশ করা ঠিক হয়নি। পারিবারিকভাবে এটা সমাধান করতে পারতেন তিনি। তিনি মনে করেন, সতীন মেনে না নেওয়ার জেদ ও হিংসা থেকেই সাবিকুন নাহার শুধু ত্বহাকে ডুবিয়েছেন। তার বিশাল দাওয়াহ সার্কেল ডুবিয়ে দিয়েছেন। তিনি নিজেও ত্বহার প্রথম স্ত্রীর জীবনে উড়ে এসে জুড়ে বসেছেন, প্রথম স্ত্রী যেভাবে সাবিকুন নাহারকে মেনে নিয়েছেন, তিনিও চাইলে চুপচাপ ত্বহার সাবেক প্রেমিকাকে (বিমানবালা) মেনে নিতে পারতেন। সাবিকুন চাইলে উদ্যোগী হয়ে স্বামীর গোনাহর পথ বন্ধ করে ওই বিমানবালাকে তৃতীয় স্ত্রী বানিয়ে ত্বহার চোখ শীতল করে দিতে পারতেন! বুকে পাথর চাপা দিয়ে হলেও দ্বীনের জন্য এই আত্মত্যাগ করতে পারতেন!

ইসলামি ভাবধারা লেখক আইনুল হকের এমন ‘একপেষে’ মন্তব্যে ক্ষুব্ধ হয়েছেন নেটিজেনরা। তারা মনে করছেন, পরকীয়ার মতো জঘন্য কাজে জড়ালেও ত্বহা আদনানের কোনো সমালোচনা করেননি আইনুল হক কাসিমী। উলটো সাবিকুন নাহারকে ‘আত্মত্যাগ’ করে ত্বহার চোখকে শীতল করার কথা বলেছেন। তার বক্তব্যে স্পষ্ট ফুটে উঠেছে- পুরুষ ভুল করলেও নারীকে চুপচাপ মেনে নিতে হবে, তাকেই শুধু ত্যাগ স্বীকার করতে হবে। 

তবে আইনুল হকের এমন মন্তব্যে সোশ্যাল মিডিয়ায় সবচেয়ে বেশি ক্ষুব্ধ হয়েছেন নারীরা। তাদের অভিযোগ, ত্বহা আদনানের সমালোচনা না করে তার স্ত্রীর দিকে আঙুল তুলে এই লেখক আসলে পরকীয়াকে প্রমোট করতে চেয়েছেন।

আইনুল হকের স্ট্যাটাসের সমালোচনা করে এফকে সুহরাব নামে এক ব্যক্তি বলেন, তার মানে পুরুষরা পরকীয়া করতেই পারে, ধরা খেলে বলবে মাসনা/সালাসা করতে আগ্রহী...আর হাদিসে তো আগেই বলা হয়েছে মেয়েরা ফিতনা। বাহ ওস্তাদ বাহ... কী যুক্তি!

সামিয়া মুবাশ্বিরা লেখেন, উনাকে (ত্বহা আদনান) তো ইসলামের নিয়মানুসারে পরকীয়ার জন্য জনসম্মুখে পাথর মেরে হত্যা করা উচিত। তা না করে উলটো বিয়ে দিয়ে দেওয়া লাগবে। বিয়ে দিয়ে দিলেই উনার পরকীয়া মাফ হয়ে যাবে! মানে কী আর বলব... if hypocrite had a face! ইসলাম নিয়ে কিন্তু double standard এর সুযোগ নাই। অতএব সাধু সাবধান!

আইনুল হক কাসিমীকে সানজাক মোহাম্মদ মিরাজ প্রশ্ন করেন- উস্তাজ, আবু ত্বহা আদনান হাফি তো সুলাসার ধার না ধেরে ডিরেক্ট প্রেমে মত্ত হয়েছেন। তাহলে উস্তাজের কী হবে? ইসলামি শরিয়াহ আইন থাকলে ওস্তাদ হাফির শাস্তি কী হতো তা একটু বুঝিয়ে বলবেন, শায়েখ?

জবাবে আইনুল হক তাকে বলেন, ভুল। উস্তাজার (সাবিকুন নাহার) পোস্ট থেকে বোঝা গেছে, আদনান ভাই বিয়ে করতে চাচ্ছেন। আর আদনান ভাইয়ের পোস্টেও তিনি বিয়েতে বিশ্বাসী, সেটাই প্রকাশ করেছেন। বাকি বিয়ের আগের পন্থাটা খারাপ আরকি। 

তবে বিয়ে না করে আদনান ও সাবেক প্রেমিকার (বিমানবালা) সম্পর্ককে খারাপ বললেও শরিয়াহ আইন অনুযায়ী পরকীয়ার শাস্তি কী সে বিষয়ে এড়িয়ে গেছেন আইনুল হক।  

যথাযথ জবাব না পেয়ে মিরাজ আবার আইনুল হককে বলেন, তাহলে বিয়ের পরও বিয়ের উদ্দেশ্যে প্রেম করা জায়েয?

মাহমুদ রবিন বলেন, আপনাদের মতো তথাকথিত আলেমদের পাথর নিক্ষেপ করে মেরে ফেলা উচিৎ। 

মো. ফখরুল ইসলাম শাহীন বলেন, ওস্তাদ পথ হারাবে আর উস্তাজা তা বুকে পাথর চাপা দিয়ে মেনে নেবে! এসব অযুক্তি/কুযুক্তি দিয়ে ইসলামকে আপনারা আর কত ক্ষতবিক্ষত করতে চান? নতুন প্রজন্ম ও বে-দ্বীনদের কাছে ইসলামকে বিতর্কিত উপস্থাপন থেকে ফিরে আসুন। ব্যক্তির অন্ধ অনুকরণ ত্যাগ করে ইসলামের সঠিক শিক্ষা গ্রহণ ও প্রচার করুন।

নাজমুল হাসান লেখেন, ‘আহ, উস্তাজ! আহ!’ শিরোনামে লেখা নেই কেন? সব দায় কেবল নারীদের?

মার্জিয়া মারিয়া বলেন, দ্বীনি ভাইয়ের চক্ষু শীতল করার জন্যে উনার এক্সকে উনার সুলাসা বানাইয়া দিতে হবে? দ্বীনের দাঈ’র এতদিকে চোখ যায় কেন ভাই? মন এত নারী নারী করে কেন? দিলে উম্মাহর ফিকির কই? দিলে দ্বীনের প্রতি মোহাব্বত কই? ১, ২, ৩ খানা নারীকে দিল দিয়ে রাখলে, সেই দিলে আর জায়গা কই? কি লজিকরে ভাই! এই পোস্টের লজিক পড়ে আমি কয়েকবার তব্দা খাইলাম।

হাসিব জাভেদ বলেন, উম্মাহর শ্রেষ্ঠ মানুষদের অনেকে দ্বীনের কাজ করতে গিয়ে বিয়েই করেন নাই। রাসুল (স.) এর অনেক সাহাবা জীবনে বিয়ে করেন নাই৷ আপনাদের ওস্তায এসব উদাহরণ দেখেন না? নাকি খালি মাসনা-সুলাসার (যেগুলো মোটেও দ্বীনের ক্ষেত্রে আবশ্যিক কিছু নয়, বরং কিছু স্পেশাল কেইস ও কন্ডিশন বিবেচনায় অনুমতি আছে) উদাহরণগুলোই দেখেই?

মুজাহিদুল ইসলাম বলেন, আপনি ত্বহাকে নিয়ে লেখেন। অন্যথায় অবিচার হবে। আমি মনে করি, এখানে উস্তাজার চেয়ে ওস্তাদের দোষ বেশি। কারণ উস্তাজা প্রকাশ করেছে। আর উস্তাজ নিজে সে প্রকাশিত কাজগুলো করেছে। দুজন স্ত্রী থাকার পর তৃতীয় আরেকটা প্রেম করা নিশ্চয় ভালো মানুষের কাজ নয়। আপনি ইনসাফের জন্য হলেও ভারসাম্য রক্ষা করুন।

আব্দুল্লাহ রাফি বলেন, উনার স্ত্রীর পোস্টের ওপর বিবেচনা করে উনার পক্ষে থেকে সরাসরি জিজ্ঞাসা করা ছাড়া কোনো কিছু পক্ষে বিপক্ষে লেখা আপনার মতো আলেমের বেমানান বলে মনে হয়।

সাহারিয়া নিঝুম বলেন, আপনি কি ইনিয়ে বিনিয়ে হারাম বা পরকীয়াকে জাস্টিফাই করছেন? আপনার পয়েন্ট অব ভিউ থেকে মানছি, একজন দাঈ’র বিষয় সামনে আসায় ইসলামের ক্ষতি হয়েছে কিন্তু পরকীয়া প্রেম যে হারাম সে বিষয় তো কোনো উল্লেখ দেখছি না। হারামকে ডিফেন্স করে পোস্ট দিয়ে প্র্যাক্টিসিংদেরকে কী মেসেজ দিচ্ছেন?

সায়মা আহমেদ রিমি বলেন, নিজে পরকীয়া করবে, যিনা করবে কিন্তু বউ তাকে বিয়ে করালে নাকি আল্লাহ খুশি হবে। এখানের দ্বীনের কাজ কী হলো? কী পরিমাণ খারাপ ব্যাখ্যা, এই পোস্টদাতার নামে ইসলাম অবমাননার মামলা করা উচিত। এই বউ তার জীবনে নাকি উড়ে এসে জুড়ে বসেছে, হুজুর নাদান বাচ্চা। হজুর পরকীয়া করলে করুক দোষ নাই, আওয়াজ তুললে দোষ।

সজিব হোসেন ইমন লিখেছেন, পরকীয়া ফাঁস করে দেওয়ায় ‘আহ, উস্তাজা আহ’ টাইটেলে পোস্ট করলেন। পরকীয়া হালাল করতে চাইতেছেন? এরকম একজন পরকীয়া করা লোক দ্বীনের কাজ না করলে দ্বীনের ক্ষতি হয়ে যাবে? যতই দিন যায় পছন্দের লিস্টের সব উলামায়ে কেরামের ফলোয়ার লিস্টে থাকার যোগ্যতা হারিয়ে ফেলতেছি।

আতিকা নাহিদ রুপা বলেন, দ্বীন দ্বীন বলে গলা ফাটাচ্ছেন, একবারও এটা ভাবলেন না যে, কোনো পরকীয়া করা মানুষ কী করে দ্বীনের কাজে আসতে পারে, কিভাবে দ্বীনের খেদমত করতে পারে!

জুনায়েদ আহমেদ শিবলী লিখেছেন, আপনার ভাইয়ের চক্ষু এতো গরম কেন? বার বার ললনা খুঁজে সেই গরম চক্ষু শীতল করতে হয়। প্রথমটায় চক্ষু শীতল হয় নাই দেখে দ্বিতীয়টা করেছেন, দ্বিতীয়টায় শীতল না হওয়ায় আরেকটা ধরেছেন, তাতেও শীতল না হওয়ায় এয়ার হোস্টেস ধরেছেন। উস্তাজা বুকে পাথর দিয়ে সব মেনে নেবে আর ওস্তাদ গরম চক্ষু শীতল করার জন্য বার বার ললনা খুঁজে নেবেন, ক্যান? আপনার ওস্তাদজী উনার দুই পক্ষ দ্বারা দুই চোক্ষে পাথর চাপা দিয়ে সুখে থাকতে পারে নাই? এতো খায়েস ক্যান?

ইরিন সুলতানা মেজরাজ বলেন, যেটা গুনাহ সেটাকে গুনাহ বলতে শিখুন, হাদিস এবং কুরআনের বিভিন্ন মাসালা দিয়ে এটাকে ঢাকার চেষ্টা করবেন না। কী গ্যারান্টি আছে এই মেয়েকে বিয়ে করার পর অন্য মেয়ের দিকে আবার খারাপ দৃষ্টি দেবে না। আপনার ওস্তাদ গুনাহ করছে, পরকীয়া করছে, এটাকে বিভিন্ন মাসালা দিয়ে ঢাকার চেষ্টা করবেন না। আল্লাহর দরবারে দাঁড়াতে হবে আপনাদেরকে। আল্লাহর ভয় নেই আপনাদের মধ্যে?

সাদিয়া নার্গিস বলেন, দ্বীনের জন্য এত কিছু করতে পারেন আপনারা, আর একাধিক নারীর লোভ সামলাতে পারেন না? আল্লাহর জন্য বুকে পাথর চাপা দিয়ে পরকীয়া না করলেই তো হয়। পরের বেলায় যত ফতোয়া হাদিস জুড়ে দেন, আর নিজেরা নিজেদের ঘরটাকে...। শিক্ষিত বুদ্ধিমান নারীরা এজন্যই আপনাদের বড় শত্রু। আপনাদের ভন্ডামি আর মুখোশটা খুলে দিতে পারে।

সাদিয়া সুলতানা বলেন, কি যুক্তিরে ভাই, হারামকে প্রোমট করলেন আপনি?

আইনুল হককে উদ্দেশ করে রুমন হক বলেছেন, আপনারা এবং আপনাদের ওস্তাদরা ইসলামকে দিন দিন হাসির খোরাক বানিয়ে দিচ্ছেন। আগে নিজেদের নফসকে সংযত করেন, নূন্যতম বিবেক-বুদ্ধি মগজে ইনস্টল করার চেষ্টা করেন (যদিও সন্দেহ আছে ইহকালে পারবেন কিনা)। ইসলামকে জানার চেষ্টা করেন ঠিকঠাক মতো। এরপর ইসলামের কথা প্রচার করবেন।’

আশিক মাহমুদ ফয়সাল বলেন, এমনি এমনি তো আর বলা হয় নাই যে, জাহান্নামে আলেমরা সবচেয়ে বেশি যাবে। আপনার ওস্তাদ যদি ব্যাভিচার করে তাহলে তাকে পাথর মেরে হত্যা করা হোক ইসলামি নিয়ম অনুসারে। 

ইসলামি এই লেখককে সালমান ফারসি প্রশ্ন, আপনার নিজের বোনের স্বামী পরকীয়া করলে, তাকে মাসনা বানাতে পরামর্শ দিয়েন। সঙ্গে নিজ মেয়ের বেলাতেও।

আবু রুকাইয়া বলেন, এই লেবেলের জ্ঞান আর মেন্টালিটি নিয়ে তুমি বই লেখ? স্বামী (ত্বহা) নিজে জানে না এই সব আকাম করলে দ্বীনের, দাওয়ার ক্ষতি হবে? তোমারও আছে নাকি এমন লুকানো খেলা? নইলে ওই লোকরে নসিহত না করে তুমি তার বৌকে দোষ দিলা! 

নিজের ও আলেম সমাজের সম্মান বাঁচাতে আইনুল হককে পোস্ট ডিলেট করার অনুরোধ করেছেন সাদমান রহমান নামে এক নেটিজেন। 

ত্বহা আদনানের পক্ষে সাফাই গেয়ে দেওয়া পোস্টকে ‘অদ্ভুত এবং নির্লজ্জ ব্যাখ্যা’ বলে মন্তব্য করেছেন শিমলা আকতার।

ত্বহা আদনান যিনা করেছেন দাবি করে সাদিকা বিনতে চৌধুরী বলেন, শোনেন, বিবাহিত অবস্থায় এক্সের সঙ্গে লুতুপুতু করাকে সোজা বাংলায় বলে যিনা। আর এটার শাস্তি তো সবারই জানা। এই জঘন্য পাপকে সুলাসার রূপে জায়েজ করতে যায়েন না। 

জেসমিন আরা বেগম বলেন, পরকীয়া করলো আপনার উস্তা,দ আর দোষী হলেন আপনার উস্তাজা! দারুণ সালিশি করলেন তো!

আইনুল হক কাসিমীকে আল্লাহর কাছে ক্ষমা চাওয়ার আহ্বান জানিয়ে তানভীর মেহতাব ফারহান নামে এক ব্যক্তি লেখেন, ভাই, দ্বীনকে আপনারা নিজেদের মতো ব্যাখ্যা করা বন্ধ করেন। শরিয়ত যতটুকু পারেন, মানেন। যতটুকু না পারেন, সেটার জন্য আল্লাহর কাছে ইস্তিগফার করেন।

কেয়া রহমান বলেন, বিয়ের পর কারো সঙ্গে প্রেম করাই তো হারাম, সেটার শাস্তি মৃত্যু, এর বাইরে কোনো সুরাহা নাই৷ এই হাদিস তো আপনাদের ত্বহা সাহেব আজীবন আওড়ায় গেল, এখন উনার ক্ষেত্রে কেন মাসনা হবে? তাইলে কি হুজুরদের জন্য মাসনা আর সাধারণদের জন্য শাস্তি দিতে বলে গেছেন রাসুল (সা.)?

ওয়ানিয়া তাসনিম রায়া বলেন, আজ যদি খলিফা উমর (রা.) থাকতেন, তাহলে সুলাসা, মাসনা আর ধান্দাবাজি বুঝিয়ে দিতেন। একেতো ওয়াজের নামে গিবত করে কুল পায় না আবার...।

ইয়ুশি ফারা বলেন, শুধু মেয়েরাই ফেতনা আর ছেলেরা তুলসি পাতা।

সাদ চৌধুরী বলেন, আইনুল হকের স্ট্যাটাসে শিরোনাম- ‘আহ, উস্তাজা! আহ!’ চরম অশ্লীল। এগুলা কী?

আইনুল হক কাসিমীকে ‘ব্যক্তিপূজারি’ উল্লেখ করে এক ব্যক্তি বলেন, ভিকটিম ব্লেমিং করে এরা নাকি ইসলাম প্রতিষ্ঠা করবে, আল্লাহ আপনার মতো মানুষের হাত থেকে ইসলামকে হেফাজত করুক। ভুলকে ভুল হিসেবে মানতে শেখেন।

পোস্টদাতার ওপর ক্ষোভ প্রকাশ করে তাসনুভা নোমান বলেন, আল্লাহর কাছে অনেক দোয়া থাকবে- আপনার আম্মার আর বোনের আর মেয়ের জীবনও যেন মাসনা, সুলাসা... কয়েক প্রকার বাসনা দিয়ে ভরে যায়!

মাসনা আর পরকীয়ার ব্যাখ্যায় আফসানা নূরাইনা বলেন, মাসনা আর পরকীয়া এক না। দ্বিতীয় বিয়ের প্রয়োজন হলে অবশ্যই করবে। তার মানে এই না যে, পরকীয়া করে ধরা খেলে মাসনা করতে চাইবে কিংবা মাসনা বলে চালিয়ে দেবে।

আইনুল হককে শাইমা জেরিন প্রশ্ন করেন, আমি উস্তাজা নিয়ে লিখে দিলেন, ওস্তাদকে সংশোধন হওয়ার জন্য কিছুই বললেন না!

আইনুল হকের পোস্টের সমালোচনা করে তামান্না সাদিক লেখেন, স্বামী লুচ্চামি করবে আর বউ বুকে পাথর চাপা দেবে! আহ কি সুন্দর দ্বীন শেখাচ্ছেন হুজুর!

হায়, আল্লাহ এরকম পোস্টও দেখতে হলো মন্তব্য করে মুহসিনা তামান্না লেখেন, ভদ্রলোক ইনিয়ে বিনিয়ে হারামের সাফাই গাইলেন বাহ! স্বামী যিনা করলে আগে স্বামীর বিচার হবে, তা না করে স্বামীর যিনা ঢাকতে হবে!

ক্ষোভ প্রকাশ করে জান্নাতুল মাওয়া মিসফা বলেন, পুরুষ পরকীয়া করবে, ধরা খেলে মাসনা/সুলাসা বলে চালিয়ে দেবে- শুধুমাত্র ফ্যান-ফলোয়ার বাঁচানোর জন্য? আমি একবাক্যে স্বীকার করছি, উনার মাধ্যমে হাজারো যুবক-যুবতী হিদায়াতের স্বাদ পেয়েছেন! তাই বলে উনি যা ইচ্ছা তাই করতে পারবে? এটা ইসলামের সঙ্গে যায়?

নওশিন তাসনিমা লেখেন, আপনার ওস্তাদকে সঠিক পথে ফিরিয়ে আনার একদম সঠিক রাস্তাটা বেছে নিয়েছেন সাবিকুন নাহার। এরপরও যদি ভালো না হয়, বুঝবেন উনি (ত্বহা) আরও ১০টা বিয়ে করলেও ভালো হবে না।মামা বাড়ির আবদার, উনার (ত্বহা) গুনাহ বাঁচাতে স্ত্রীকে বুকে পাথর চাপা দিয়ে সতীন মেনে নিতে হবে!

যাররাহ বিনতে নূর বলেন, বাহ! পরকীয়ার কতো সুন্দর বিবরণ হয়, আগে না পড়লে জানতাম না।

মেহেরুন নেসা বলেন, খুব সুন্দরভাবে হারাম প্রমোট করলেন!

মুনতাসির/সাএ

বিডি২৪লাইভ ডট কম’র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
পাঠকের মন্তব্য:

BD24LIVE.COM
bd24live.com is not only a online news portal. We are a family and work together for giving the better news around the world. We are here to give a nice and colorful media for Bangladesh and for the world. We are always going fast and get the live news from every each corner of the country. What ever the news we reached there and with our correspondents go there who are worked for bd24live.com.
BD24Live.com © ২০২০ | নিবন্ধন নং- ৩২
Developed by | EMPERORSOFT
এডিটর ইন চিফ: আমিরুল ইসলাম আসাদ
বাড়ি#৩৫/১০, রোড#১১, শেখেরটেক, ঢাকা ১২০৭
ই-মেইলঃ [email protected]
ফোনঃ (০২) ৫৮১৫৭৭৪৪
নিউজ রুমঃ ০৯৬০৩২০২৪৩৪
মফস্বল ডেস্কঃ ০১৫৫২৫৯২৫০২
বার্তা প্রধানঃ ০৯৬০৩১৫৭৭৪৪
ইমেইলঃ [email protected]