টাঙ্গাইলের সখীপুরে নয় বছরের এক শিশুকে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে শ্রমিকদল নেতার বিরুদ্ধে।
মঙ্গলবার (১৪ অক্টোবর) সকাল সাড়ে ৭টার দিকে উপজেলার প্রতিমা বংকী পশ্চিম পাড়া গ্রামে এই ঘটনা ঘটে। ধর্ষণের শিকার শিশুটি ওই এলাকার একটি মাদ্রাসার দ্বিতীয় শ্রেণির শিক্ষার্থী।
তাকে উদ্ধার করে টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। অভিযুক্ত ধর্ষক ফজলু মিয়া (৩৮) দাড়িয়াপুর ইউনিয়ন শ্রমিকদলের যুগ্ম আহ্বায়ক। ঘটনার পর থেকে সে পলাতক রয়েছে।
দাড়িয়াপুর ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য নজরুল ইসলাম ও ওই মাদ্রাসার শিক্ষক জোবায়ের হোসেন ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন। এই ঘটনায় শিশুটির মা নার্গিছ আক্তার বাদী হয়ে বেলা বারোটার দিকে সখীপুর থানায় মামলা দায়ের করেছেন। ধর্ষক ফজলু মিয়া প্রতিমা বংকী গ্রামের আমজাদ হোসেনের ছেলে।
পুলিশ, এলাকাবাসী ও শিশুর মাদ্রাসা সূত্রে জানা যায়, মঙ্গলবার সকালে উপজেলার প্রতিমা বংকী গ্রামের সিএনজি চালক ও দাড়িয়াপুর ইউনিয়ন শ্রমিক দলের যুগ্ম আহ্বায়ক ফজলু মিয়া তার চাচাতো বোনের দ্বিতীয় শ্রেণিতে পড়ুয়া শিশু কন্যাকে মাদ্রাসায় নামিয়ে দেওয়ার কথা বলে সিএনজিতে উঠিয়ে নিয়ে যায়।
মাদ্রাসায় যাওয়ার আগে রাস্তার পাশে একটি জঙ্গলে নামিয়ে শিশুটিকে ধর্ষণ করে পালিয়ে যায়। শিশুটি সেখান থেকে উঠে মাদ্রাসায় গিয়ে শিক্ষক ও অন্য এক অভিভাবককে ঘটনা খুলে বললে তাৎক্ষণিকভাবে শিশুটির পরিবার ও পুলিশকে অবহিত করা হয়। পরে পুলিশ গিয়ে শিশুটিকে বাড়ি থেকে উদ্ধার করে প্রথমে সখীপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ও পরে টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করে।
এই ঘটনায় শিশুটির মা বাদী হয়ে সখীপুর থানায় ধর্ষণ মামলা দায়ের করেছেন। অভিযুক্ত ধর্ষক ফজলুকে দাড়িয়াপুর ইউনিয়ন শ্রমিক দলের সদস্য পদসহ সাধারণ সদস্য পদ থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে।
এই প্রসঙ্গে উপজেলা শ্রমিক দলের আহ্বায়ক মোঃ মতিন মিয়া বলেন, কোনো ব্যক্তির অপকর্মের দায় সংগঠন নিতে পারে না, নেবে না। ধর্ষক ফজলুকে শ্রমিক দলের প্রাথমিক সদস্য পদসহ সকল পদ থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে। এছাড়াও তিনি ধর্ষকের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করেন।
এই বিষয়ে সখীপুর থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোঃ আবুল কালাম ভূঞা বলেন, ধর্ষণের ঘটনায় শিশুটির মা নার্গিস আক্তার বাদী হয়ে ধর্ষণ মামলা দায়ের করেছেন। আসামিকে গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।
মুনতাসির/সাএ
সর্বশেষ খবর