
রাষ্ট্রীয় সংস্থা ন্যাশনাল টেলিকমিউনিকেশন মনিটরিং সেন্টার (এনটিএমসি) প্রতিষ্ঠা করেছিল আওয়ামী লীগ সরকার। প্রতিষ্ঠানটিকে ব্যবহার করে গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি ও বিরোধী মতের ব্যক্তিদের ফোনে আড়ি পাতা হতো। সেই সংস্থাই পরবর্তীতে আড়ি পেতেছিল ক্ষমতচ্যুত সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নিজের ফোনালাপে। এসব কল রেকর্ডে উঠে এসেছে জুলাই আন্দোলনে নিরস্ত্র ছাত্র-জনতাকে দমনে প্রাণঘাতী অস্ত্রের ব্যবহারসহ আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে দেওয়া শেখ হাসিনার নানা নির্দেশনা।
বুধবার ট্রাইব্যুনাল–১–এর বিচারপতি মো. গোলাম মূর্তজা মজুমদারের নেতৃত্বাধীন তিন সদস্যের বেঞ্চে মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় যুক্তিতর্ক উপস্থাপনের সময় তিনি এ তথ্য প্রকাশ করেন।
চিফ প্রসিকিউটর জানান, সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ফোনালাপে জুলাই আন্দোলনের সময় নিরস্ত্র ছাত্র–জনতার ওপর প্রাণঘাতী অস্ত্র ব্যবহারের নির্দেশনা এবং আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে দেওয়া বিভিন্ন নির্দেশ উঠে এসেছে। এই ফোনালাপগুলো তিনি দিয়েছেন সাবেক মন্ত্রী হাসানুল হক ইনু, সাবেক মেয়র শেখ ফজলে নূর তাপস এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য এস. এম. মাসুদ কামালকে।
তাজুল ইসলাম বলেন, “এনটিএমসি থেকেই ফোনালাপের রেকর্ড উদ্ধার করা হয়েছে। যেহেতু এটি রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠান, তাই এর তথ্যের বিশ্বাসযোগ্যতা প্রশ্নাতীত।”
তিনি আরও জানান, ফোনালাপগুলোর ফরেনসিক টেস্টে নিশ্চিত করা হয়েছে যে এগুলো শেখ হাসিনা, ইনু, তাপস ও মাসুদ কামালের আসল কণ্ঠস্বর—এআই দ্বারা তৈরি নয়। আন্তর্জাতিক গণমাধ্যম বিবিসি ও আল জাজিরাও এসব অডিও যাচাই করে একই ফলাফল প্রকাশ করেছে।
চিফ প্রসিকিউটর বলেন, আন্দোলনের সময় ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে হেলিকপ্টার ব্যবহার করে আন্দোলনকারীদের ওপর গুলি চালানো হয়। তদন্তে দেখা গেছে, সেই সময়ে ৩৬ বার হেলিকপ্টার উড্ডয়ন করেছে—যার পরিধি ছিল ঢাকা, চট্টগ্রাম, সিলেট, রংপুর, নারায়ণগঞ্জ ও গাজীপুর পর্যন্ত।
সাজু/নিএ
সর্বশেষ খবর
আইন ও আদালত এর সর্বশেষ খবর